কোচ কে, সবুজ-মেরুন জুড়ে এখন শুধুই জল্পনা
ন্তোষ কাশ্যপের পদত্যাগপত্র জমা পড়ার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও কোচ নিয়ে জট ছাড়ল না মোহনবাগানে। উল্টে মহালয়ার আগের দিন সবুজ-মেরুনের সম্ভাব্য কোচের তালিকা নিয়ে সরগরম ময়দান। ক্লাব সূত্রের খবর, মূলত তিন জনের মধ্যে লড়াই চলছে। বিদেশি হলে করিম বেঞ্চারিফা কিংবা ডেভিড বুথ। আর স্বদেশি হলে সুখবিন্দর সিংহ। কেননা, ওডাফাদের নতুন কোচ হিসেবে আই লিগ জয়ী কোনও কোচই পছন্দ মোহন কর্তাদের।
সকাল-দুপুর ফোন। কখনও গোয়া, কখনও কম্বোডিয়া, কখনও বা লুধিয়ানায়। রবিবার রাত পর্যন্ত যা খবর, তাতে মরোক্কান কোচ করিমের দিকেই ঝুঁকে দাঁড়িপাল্লার কাঁটা। সেখানেও আবার প্রশ্ন, ওডাফা-করিম জুটি কি একসঙ্গে কাজ করতে পারবে? চার্চিল ব্রাদার্সে থাকাকালীন দু’জনের ‘ইগো’র সংঘাত বহুচর্চিত। যদিও শোনা যাচ্ছে, সন্তোষ বিদায়ের পরে ওডাফা-টোলগেদের ভোট করিমের দিকেই পড়েছে। এমনকী এ ব্যাপারে ক্লাব-কর্তারা দুই মহাতারকার থেকে সবুজ সঙ্কেতও আদায় করে নিয়েছেন।
রবিবার কোচের ভূমিকায় ওডাফাই।ছবি: উৎপল সরকার
নবি, স্নেহাশিসদের মতো মোহনবাগানের স্বদেশি ফুটবলাররাও নাকি করিমে ঝুঁকে। রবিবার সকাল থেকে জল্পনা বাড়ে যে, সালগাওকরের পাট চুকিয়ে গঙ্গাপারের তাঁবুতে প্রায় ঢুকেই পড়েছেন করিম। এমনকী রাতে সালগাওকর কর্ণধার শিবানন্দের সঙ্গে দেখা করে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! প্রাক্তন বাগান কোচ করিম অবশ্য জল্পনায় পা দিতে চাইছেন না। গোয়া থেকে ফোনে দাবি করলেন, “মোহনবাগানের সঙ্গে আমার এখনও কোনও কথা হয়নি। আমি সালগাওকরেই আছি।” সালগাওকর সচিব রাজ গোমসও বলছেন, “ইস্টবেঙ্গল মর্গ্যানকে যা যা সুযোগ-সুবিধে দেয়, আমরা তার চেয়েও হয়তো বেশিই দিচ্ছি করিমকে। গাড়ি, ফ্ল্যাট, টাকা কোনও কিছুর অভাব রাখিনি। সোমবারই গোয়া লিগে ভাস্কো-সালগাওকর ম্যাচ। সেই ম্যাচে কোচের দায়িত্বে থাকবেন করিমই।”

নতুন বাগান কোচকে ‘জীবিত’ থাকতে হলে
অমল দত্ত
“দল গঠনে ‘জো হুজুর’ ‘জো হুজুর’ করে যেতে হবে।”
(১৯৯৮: পাঁচ তারা হোটেলে স্ন্যাক্সের প্যাকেট-সহ ধরিয়ে দেওয়া হয় ছাঁটাইয়ের চিঠি)
সৈয়দ নইমুদ্দিন
“মেরুদণ্ডহীন কোচ হয়ে আসতে হবে।”
(১৯৯৩: বিকেলের অনুশীলনের পরেই নাটক শুরু। সাউথ ক্লাবের বাইরে গাড়ি থেকে নামিয়ে বলে দেওয়া হয়, আপনাকে বিশ্রাম দেওয়া হল। সেই গাড়িই ফের ছুটল পরবর্তী কোচ শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে।)
টি কে চাত্তুণ্ণি
“লাইফলাইন ছিলেন মান্নাদা, এখন তিনিও নেই।”
(১৯৯৮: সাতসকালে বলা হয় স্ত্রীকে নিয়ে আসুন। বাড়িতে রান্নাবান্নার জন্য গ্যাসের ব্যবস্থা কোথায় হবে, সেই হদিসও ক্লাব থেকেই দেওয়া হয়। গ্যাস বুকিং করে বাড়ি ফিরে দেখেন দরজার তলা দিয়ে ছাঁটাইয়ের চিঠি কে বা কারা রেখে গিয়েছে। পনেরো বছর ধরে ‘হৃদয়-ভাঙা’-র রহস্য খুঁজছেন।)
সুব্রত ভট্টাচার্য
“কোচকে মুখে আঙুল চেপে মাঠে আসতে হবে।”
(২০০৩: ফুটবল-বিরোধী কাজের অভিযোগে পয়লা বৈশাখে বারপুজোর সকালেই ছাঁটাইয়ের চিঠি হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১১: চুক্তি নবীকরণ হয়নি।)
এ সবে অবশ্য মোহন-কর্তাদের মুখে কুলুপ। ফোন ধরছেন না। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, তলে তলে করিমের পাশে ডেভিড বুথের সঙ্গেও কথা চালাচ্ছেন তাঁরা। ‘স্টপগ্যাপ’ হিসেবে ভেসে উঠেছে প্রাক্তন ভারতীয় কোচ সুখবিন্দর সিংহের নামও। লুধিয়ানায় সুখবিন্দরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও অবশ্য বললেন, “আমাকে কেউ কোনও প্রস্তাব দেয়নি।” মোহন-কর্তারা স্বদেশি কোচ নিয়ে আলোচনা চালালেও, ক্লাবের প্রধান স্পনসর ইউবি গ্রুপ ‘স্টপগ্যাপ’ থিওরি মানতে চাইছেন না। তাঁদের পছন্দ কোনও বিদেশি কোচ। আর সে কথা বাগানের শীর্ষ কর্তাদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
যা দাঁড়াচ্ছে, শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানের দরজা দিয়ে কে ঢুকবেন, তা সম্ভবত মঙ্গলবারের আগে জানা যাচ্ছে না। কেন না ক্লাব প্রেসিডেন্ট টুটু বসু বিদেশে থেকে সোমবার রাতে শহরে ফিরছেন। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.