|
|
|
|
প্রশাসনকে জনমুখী করতে এ বার জেলা সফরে মুন্ডা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
এক ঢিলে দুই পাখি মারার লক্ষ্যে আগামী মঙ্গলবার থেকে জেলা সফর শুরু করছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। একই সঙ্গে প্রশাসন এবং নিজের দল বিজেপিকে জনমুখী করাই মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের মূল উদ্দেশ্য।
জামশেদপুর লাগোয়া সরাইকেলা খরসোঁওয়া জেলার কান্ড্রায় মঙ্গলবার মুন্ডার জেলা সফরের প্রথম পর্বের সূচনা হচ্ছে। ওই দিন কান্ড্রায় বেসরকারি উদ্যোগে নবনির্মিত কটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করবেন তিনি।
ঝাড়খণ্ড প্রশাসন এবং রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, ১৬ থেকে ১৮ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন সরাইকেলা খরসোঁওয়া এবং পূর্ব সিংভূম জেলায়। সরকারের হাতে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা। বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে সাধরণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বিভিন্ন পরিষেবামূলক প্রকল্পের দ্রুত রূপায়ণে। সফরে বেরিয়ে প্রতিটি জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে একাধিক জনসভা করানোর কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির রাজ্যসভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী বলেন, “সরকারের কাজে গতি আনার পাশাপাশি দলের জনসংযোগের ভিত্তি দৃঢ় করাও মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে অন্যতম লক্ষ্য। প্রতিটি জেলায় জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের জনবিরোধী নীতির সবিস্তার ব্যাখ্যা করবেন।
রাজ্য বিজেপি এবং সরকারি সূত্রের খবর, ১৭ অক্টোবর পূর্ব সিংভূম জেলার কর্মসূচি সেরে ১৮ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী যাবেন সরাইকেলা খরসোঁওয়া জেলায়। পরের দিন অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর সফর পশ্চিম সিংভূম (চাইবাসা) জেলায়। সেখান থেকে ২০ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার খুঁটি জেলা সফরে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। শারদোৎসবের আগে ওইটি হবে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের শেষ কর্মসূচি।
মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরকে এ দিন ব্যাঙ্গাত্মক সুরে সমালোচনা করেছে কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (প্রজাতান্ত্রিক) জেভিএম (পি)। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জেভিএম প্রধান বাবুলাল মরান্ডি বলেছেন, সাধারণ “মানুষের স্বার্থে তো কোনও কাজই হয়নি। রাজ্যের গরিব পরিবারের কচিকাঁচাদের স্কুলের পড়াও তো বন্ধ।” উল্লেখ্য পার্শ্ব-শিক্ষকদের ধর্মঘটে মাস দেড়েক ধরে রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ হওয়ার মুখে। এর পরই মরান্ডির মন্তব্য, “এই অবস্থায় জেলা সফরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।” একই বক্তব্য কংগ্রেস নেতা তথা কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী সুবোধকান্ত সহায়েরও। |
|
|
|
|
|