|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
পরিশ্রমী মৌমাছি |
স্কুলের গরমের ছুটি চলছিল, এমন এক সকালে আমি উত্তরের জানলার ধারে দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ দেখি প্রায় শ’খানেক মৌমাছি বাড়ির উত্তর দিকের বাগানের নিমগাছের একটি নির্দিষ্ট মোটা ডালের চার পাশে উড়ছে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম এবং ছুটে গিয়ে মাকে ডেকে নিয়ে এলাম। মা বলল, ওরা বাসা তৈরি করবে। কিছুক্ষণ পর দেখি ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি হাজির হয়ে মৌচাক তৈরি করতে লাগল। আমিও ওদের কর্মকাণ্ড দেখার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। এই ভাবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সুন্দর একটি মৌচাক তৈরি করল। এই ভাবে আমরা পাশাপাশি থাকতে লাগলাম। প্রতিদিন আমি ওদের জীবনের ব্যস্ততা দেখতাম। কিছু দিন বাদে মৌমাছিরা যেমন এসেছিল তেমন চাক শূন্য করে চলে গেল। তার পর দেখলাম মৌচাকটি জুড়ে সাদা মোমের আস্তরণ। আজও সেই চাক গাছে রয়ে গিয়েছে।
জয়িতা মুখোপাধ্যায়। সপ্তম শ্রেণি, বিনোদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় |
|
|
কাঠবিড়ালির কাণ্ড |
বাগানের একটা আমগাছের গর্তে দু’টি কাঠবেড়ালির বাসা। আমি তাদের কাছে গেলেই তারা বেরিয়ে আসে। তারা সারাদিন আমার সঙ্গে ছুটেবেড়ায়। যখন আম হয়, তখন তারা আমগুলিকে গাছ থেকে পেড়ে নিজের গর্তে ঢুকে পড়ে। এক দিন দেখলাম তাদের দু’টি ছোট ছোট ছানা হয়েছে। দেখে খুব খুশি হলাম। এক দিনে খুব জোরে বৃষ্টি হল এবং তাদের গর্তে জল ঢুকে গেল। পর দিন আমি নিজে সেই গর্তের কাছে গিয়ে একটা মগ নিয়ে সেই জল বার করে দিলাম এবং একটি কাপড়ে করে সেই গর্তের এক অংশ ঢাকা দিয়ে দিলাম ফলে আর সেখানে জল ঢোকে না। এখন তারা খুব সুখে আছে।
সাত্যকি ঘোষ। সপ্তম শ্রেণি, আউশগ্রাম হাইস্কুল, বর্ধমান |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|