|
|
|
|
মিছিলের ঠিক পরের দিনই গড়বেতায় আক্রান্ত সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দীর্ঘদিন পরে সিপিএমের মিছিল ও কিছু কার্যালয় খোলার পরদিনই রক্তাক্ত হল গড়বেতা। একাধিক জায়গায় সিপিএম নেতা-কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
প্রচণ্ড মারধরে বড়মুড়ার সিপিএম কর্মী চিত্তরঞ্জন রক্ষিত (৫২) মারা যান বলে অভিযোগ। গিলাবনিতে সিপিএমের ধাদিকা লোকাল কমিটির সম্পাদক কিরীটী হাজরার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। গুলি চলে। কিরীটীবাবু এলাকাছাড়া। তাঁর বৌদি ঝর্না হাজরার পেটে গুলি লাগে। আর এক বৌদি চাঁপা হাজরাকে মারধর করা হয়। দু’জনেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “কয়েকটি জায়গায় গোলমাল হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।” |
|
হাসপাতালে আহত ঝর্না হাজরা। —নিজস্ব চিত্র |
গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “গড়বেতার মানুষ প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করছেন। সে জন্যই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল।” দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকারেরও অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার কিছু এলাকায় মিছিলের পর থেকেই তৃণমূল হামলা চালাচ্ছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের পাল্টা অভিযোগ, “শান্ত গড়বেতাকে ফের অশান্ত করার চেষ্টা করছে সিপিএম-ই।”
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সংলগ্ন বড়মুড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সিপিএমের মিছিলে ছিলেন দলের প্রবীণ কর্মী চিত্তরঞ্জন রক্ষিত। অভিযোগ, সেই ‘অপরাধে’ই তৃণমূলের লোক জন তাঁকে মারধর করে। বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে দেহ কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
সিপিএমের গড়বেতা জোনাল সদস্য আদিত্য সাহা বলেন, “চিত্তরঞ্জনবাবু আমাদের দলীয় সদস্য। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের প্রচণ্ড মারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দিলীপ পালের মতে, “গাছ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই প্রৌঢ়ের।” পুলিশ মৃত্যুর কথা মেনেছে, তাঁদেরও দাবি, গাছ থেকে পড়ে মারা গিয়েছেন চিত্তরঞ্জনবাবু।
সিপিএমের ফতেসিংপুর লোকাল সম্পাদক প্রদ্যোৎ দে-কেও মারধর করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষক প্রদ্যোৎবাবু গত বিধানসভা ভোটে সুশান্তবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষও হয়েছে। তার জেরেই গড়বেতা সদরের পুরনো হাটতলার বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী মনোজ লাহা জখম হন। বৃহস্পতিবার সিপিএমের যে ৫টি কার্যালয় খোলা হয়েছিল, এ দিন গোলমালের পর ফের সেগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবারের ঘটনায় রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। |
|
|
|
|
|