জননী সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের টাকা বিলির কাজে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও হেনস্থা করার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হল। শুক্রবার বিকেল নাগাদ এক প্রসূতির পরিবারের লোকজন ওই অভিযোগ তুলে হাসপাতালের সুপারের ঘরের সামনে প্রায় এক ঘন্টা বিক্ষোভ দেখায়। পরে সুপার অভিযোগের তদন্ত করার পাশাপাশি প্রসূতির পরিবারের হাতে প্রকল্পের টাকা তুলে দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “প্রসূতিদের হাতে প্রকল্পের টাকা তুলে দেওয়ার নিয়ম। কেন ছুটি হওয়ার সময়ে ওই প্রসূতির হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়নি সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপিএল তালিকাভূক্ত প্রসূতিদের জননী সুরক্ষা, বিপিএল কার্ড এবং প্রসূতি যে এলাকার বাসিন্দা সেখানকার পুরসভার চেয়ারম্যান অথবা পঞ্চায়েত প্রধানের সংশাপত্র থাকলে প্রসবের পরে হাসপাতাল থেকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাত ২টা নাগাদ রায়গঞ্জের মহিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বলেগাঁও এলাকার বাসিন্দা অঞ্জলি বর্মন নামে এক প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। ওই দিন বিকেল ৫টা নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রসূতিকে ছুটি দেন। প্রসূতির স্বামী পেশায় উত্তর দিনাজপুর জেলা গ্রামোন্নোয়ন সেলের অস্থায়ী কর্মী গোবিন্দচন্দ্র বর্মনের অভিযোগ, স্ত্রীকে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পরে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি নিয়ে জননী সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের ৫০০ টাকা নেওয়ার জন্য তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নার্সদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে শুক্রবার টাকা নিতে হাসপাতালে যেতে বলেন। ওই দিন ৫২০ টাকা দিয়ে ট্যাক্সি ভাড়া করে স্ত্রী ও সদ্যোজাতকে বাড়িতে নিয়ে যান। এ দিন প্রকল্পের টাকা নিতে হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়ে দেন টাকা নিতে হলে স্ত্রীকে হাসপাতালে আনতে হবে। তিনি বলেন, “স্ত্রীর হাতে টাকা দেওয়ার নিয়ম হলে কেন তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলা হল! কেন আমাকে এ দিন ডাকা হল! হাসপাতাল সুপারের কাছে প্রকল্পের টাকা বিলির কাজে অনিয়ম ও হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছি।”
|
ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে স্কুলের পোশাক বদলের পরামর্শ দিলেন গুলাম নবি আজাদ। মশার কামড় থেকে বাঁচাতে বাচ্চাদের শরীর ঢাকা পোশাক পরানোর কথা বলেন তিনি। |