...ঢাকে পড়ল কাঠি

পল্লিশ্রী সর্বজনীন দুর্গোৎসব:
থার্মোকল, চট ও রং দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ। সাবেক সাজের প্রতিমা। রাজবাড়ির বিভিন্ন ঘুলঘুলিতে থাকবে পায়রা। পুজোর চার দিন হবে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ও সঙ্গে খাওয়াদাওয়া।

গল্ফগ্রিন শারদোৎসব কমিটি: থিম শক্তিপীঠ। গ্রামীণ মেলার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে এই পুজোর মণ্ডপে। সাঁওতাল গ্রামের মন্দিরের অনুকরণে মণ্ডপ। দেবী মূর্তিও আদিবাসীদের আরাধ্য দেবীর আদলে। পুজোর উদ্যোক্তাদের দাবি, আলোকসজ্জা এবং আবহেও থাকছে চমক।

যাদবপুর শ্যামাপল্লি শ্যামা সঙ্ঘ: মণ্ডপে কবিগান শোনাতে বাঁকুড়া থেকে আসছেন কবিয়ালরা। থিম তাই কবিয়াল ও কবিয়াল। মণ্ডপে মাটির মূর্তির সাহায্যে তুলে ধরা হবে ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’র বিভিন্ন দৃশ্য। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হয়েছে ভেষজ রং। প্রতিমা গ্রাম্য রমণীর আদলে।

বাঘাযতীন উদয়ন: থিম: মন-বাউল। মণ্ডপটি লোকগানের সঙ্গে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রের আদলে। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে একতারা। পুজো প্রাঙ্গণে শোনা যাবে বাউলগান। বাউলেরা আসছেন বীরভূম ও বর্ধমান থেকে।

বাঘাযতীন রিক্রিয়েশন ক্লাব পল্লিশ্রী সর্বজনীন দুর্গোৎসব বাঘাযতীন উদয়ন

বাঘাযতীন রিক্রিয়েশন ক্লাব:
এখানকার থিম পুতুল ঘরে আলোর ঝলক। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি রাজস্থানী পুতুল, বাঁকুড়ার কাঠের পুতুল, বিভিন্ন রঙের কাগজ, অসমের জাভা বাঁশের তৈরি প্রদীপ। প্রতিমাও পুতুলের আদলে।

নাকতলা সম্মিলনী: মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। মণ্ডপ চত্বর জুড়ে থাকছে মনীষীদের ছবি এবং শান্তি সম্পর্কে তাঁদের উক্তি। প্রতিমা সাবেক সাজের।

নাকতলা পল্লি উন্নয়ন সমিতি: খাজুরাহোর মন্দিরের অনুকরণে মণ্ডপ। মণ্ডপের উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টার অফ প্যারিসের তৈরি মডেল, চট ও বাঁশ। মাটির সাজের প্রতিমা।

আজাদগড় সেবক সঙ্ঘ: মহিষাসুর বধের কাহিনি তুলে ধরা হবে প্রাচীন মুদ্রার প্রতিলিপিতে। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হচ্ছে মেটাল শিট, থার্মোকল, ছিপের বাঁশ, ঘুঙুর।

নেতাজি জাতীয় সেবাদল, এনএসসি বোস রোড: অসুরের অত্যাচারে নির্যাতিত দেবতারাই সৃষ্টি করেছিলেন শক্তির রূপ। পুরাণে বর্ণিত এই কাহিনির কাল্পনিক রূপ তুলে ধরা হবে মণ্ডপে। ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশের বেড়া, প্লাই এবং রঙিন কাগজ।

অভিযান, রানিকুঠি: থিম ‘সবার উপরে মানুষ সত্য।’ প্যাগোডার আদলে তৈরি ৪৫ বছরের পুরনো এই পুজোর মণ্ডপের দেওয়াল জুড়ে থাকবে মানুষের বিবর্তনের কাহিনি। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ ও প্লাইয়ের কারুকার্য।

আজাদগড় সেবক সঙ্ঘ নাকতলা পল্লি উন্নয়ন সমিতি

রায়নগর পল্লিউন্নয়ন সমিতি: পুজোর সর্বত্র ছড়িয়ে আছে বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ‘প’। তাই মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হচ্ছে পাখা, প্রদীপ, পিলসুজ, পাত্র ও পট। মণ্ডপে পটচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বাংলার ছ’টি পার্বণ।

লেক গার্ডেন্স পিপলস অ্যাসোসিয়েশন: কেরলের ‘কলামণ্ডলম’-এর অনুকরণে তৈরি হচ্ছে এই পুজোর মণ্ডপ। মণ্ডপ চত্বরে তুলে ধরা হবে কেরলের লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন আঙ্গিক।

মিলন সঙ্ঘ, চারুচন্দ্র প্লেস ইস্ট: ৬৬ বছরের এই পুজোর আকর্ষণ মণ্ডপ এবং সাবেক প্রতিমা। অষ্টমীর দুপুরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ভোগ বিতরণ করা হয়।

ভবানীপুর দুর্গোৎসব কমিটি: সাতচল্লিশ বছরের পুরনো এই মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে খাদির কাপড় দিয়ে। খাদি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরা হবে এখানে। প্রতিমার সাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে খাদির কাপড়।

গল্ফগ্রিন শারদোৎসব কমিটি নাকতলা সম্মিলনী

৭৮ পল্লি সর্বজনীন:
গোপালনগর কল্যাণ সঙ্ঘ আয়োজিত এই পুজোয় তুলে ধরা হবে কবি দীনেশ দাসের জীবনের নানা দিক। উদ্যোক্তারা জানান, এ বছর কবির জন্মশতবর্ষ।

স্প্রিংডেল আবাসিক পুজো: মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ, বাটাম এবং গরদের শাড়ি। থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রীতিভোজের আসর।

শহিদনগর দেবালয়: একত্রিশ বছরের পুরনো এই পুজোয় চার দিনই দুপুরে বসে প্রীতিভোজের আসর। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিমা সাবেক। এ ছাড়াও এই এলাকার উল্লেখযোগ্য পুজোর তালিকায় রয়েছে বিজয়গড় এবং চণ্ডীতলা ভরাটমাঠের ভারতমাতার পুজো, রামগড় ৪৭ পল্লির পুজো, নেতাজিনগর কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচালিত দুর্গোৎসব, রায়পুর ভ্রাতৃমিলন সঙ্ঘ, নেহরু কলোনি সর্বজনীন, অশোকনগর পার্ক এবং গ্রাহামস রোডের পুজো।

ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.