...ঢাকে পড়ল কাঠি
লালমাটির গন্ধ

কামারডাঙা শীতলাতলা পুজা কমিটি:
দেখতে চান হিমাচলের সবুজ পাহাড়ের কোলে এক গ্রামের স্নিগ্ধ পরিবেশ ও সমাজ? তবে আসতেই হবে কামারডাঙা রোডের রজতজয়ন্তী বর্ষের এই পুজোর মণ্ডপে। সবুজের বন্যায় দেখা মিলবে সেখানকার মানুষের ধর্মীয় আচরণ ও জীবিকার অনবদ্য শিল্প নিদর্শন।

আড়ুপাড়া মিলন সঙ্ঘ: কামারডাঙা রোড থেকে লেভেল ক্রসিং পেরোলেই পৌঁছে যাবেন নেপালে। দেখা মিলবে প্যাগোডায় দেবী দুর্গার তিনটি বিভিন্ন রূপ। প্রতিটি প্রতিমার উচ্চতা হবে ১৮ ফুট। থাকবে ড্রাগনের মূর্তি।

ইস্ট ইন্ডিয়া রক লাইনস অ্যাসোসিয়েশন: এ বারের থিম ‘ঈশ্বর কণা’। অনুগুলি কী ভাবে পরস্পরের সঙ্গে লড়ছে মার্বেল ও আলোর মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তোলা হবে মণ্ডপে।

চিত্তরঞ্জন স্মৃতিমন্দির:
এই ক্লাবের থিম ‘সাবেকিয়ানা-চিরনতুন’। সাবেক রীতির পুজোর প্রতিফলন ৬৩ বছরে পা দেওয়া এই পুজোর মণ্ডপে। আধুনিকতার দৌড়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসা সাবেক দুর্গাপুজোর ভাবনাকে ফের উস্কে দিতেই এই থিম।

আড়ুপাড়া মিলন সঙ্ঘ

সুবল স্মৃতি সঙ্ঘ:
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষকে স্মরণ করে এ বার উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বসতবাড়ির অনুকরণে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। সামনের বাগানে থাকছে শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদাদেবী ও বিবেকানন্দের মূর্তি।

ব্যাঁটরা নবীন সঙ্ঘ: ভূস্বর্গ কাশ্মীরের প্রতি বাঙালির আকর্ষণ বাড়াতে এ বারের থিম কাশ্মীর। মণ্ডপের ভিতরে থাকছে ডাল লেক, শিকারা, এমনকী আপেল ও ন্যাসপাতির বাগানও।

সহযাত্রী:
গ্রামবাংলার লোকশিল্প, চিত্রপট এবং লালমাটির সামগ্রী নিয়েই বিষয় ভাবনা। পুজোকে কেন্দ্র করে প্রাচীন লোকশিল্পের ছোঁয়া লেগে থাকত মণ্ডপের পরতে পরতে। সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে মণ্ডপে থাকছে নানা রঙে রঞ্জিত নানা ধরনের ঘট ও চিত্রপট।

নেতাজি বালক সঙ্ঘ: থিম ‘চলো পাল্টাই’। আধুনিকতার ছোঁয়া এড়িয়ে সঙ্ঘ ময়দানে তৈরি হচ্ছে জমিদারবাড়ির ঠাকুরদালানের অনুকরণে মণ্ডপ। থাকছে ১৫১ বাতির ঝাড়লন্ঠন। মণ্ডপের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিমা।


ইস্ট ইন্ডিয়া রক লাইনস অ্যাসোসিয়েশন

হাওড়া সরস্বতী ক্লাব:
মধ্য হাওড়ার কৈলাস ব্যানার্জি লেনে এই পুজোতেও থাকছে সাবেকিয়ানা ছাপ। গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হচ্ছে মূর্তি ও মণ্ডপের পরিবেশে। থাকছে পুরাতনী গানের আসর। এ জন্য পূর্ব মেদিনীপুর থেকে সাত জন শিল্পী আসছেন মণ্ডপে পট দেখিয়ে পুরাতনী গান শোনাতে। প্রতিমাও সাবেক ধাঁচের।

পাগলা ফৌজ: বিশ্ব উষ্ণায়ন, লাগামছাড়া দূষণ ও মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণের প্রভাবে দ্রুত কমছে কীটপতঙ্গের সংখ্যা। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। এই পতঙ্গকূলকে রক্ষা করতে এ বারের পুজোর থিম: ‘ওরাও আমাদের বন্ধু’।

হাওড়া সেবা সঙ্ঘ:
বাংলার বহু মনীষীর স্মৃতিধন্য হাওড়া সেবা সঙ্ঘ তার ৮৩তম বর্ষে সঙ্ঘের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ বারেও সাবেক ধারায় একচালা মূর্তি, ডাকের সাজে সজ্জিতা ১৮ ফুটের প্রতিমা। পুজোর বিভিন্ন দিনে রাখা হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান।

উত্তর খুরুট বারোয়ারি:
আরব্য রজনীকে ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। ‘আলিবাবা চল্লিশ চোর’-এর মতো দরজার সামনে দাঁড়ালেই প্রবেশ পথ খুলে যাবে।

কোঁড়ার বাগান বারোয়ারি বাগবাদিনী ব্যায়াম সমিতি:
শৈশব থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঘুড়ি, লাটাই, গুলতি, লাট্টু, লেত্তিরা। দেখা মেলে না লুডো, দাবা, ব্যাগাডুলিরও। তাই এঁদের ভাবনা খেলাঘর।

ওলাবিবিতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি সদানন্দ স্মৃতি সঙঘ

রামকৃষ্ণ অ্যাথলেটিক ক্লাব:
নগর সভ্যতার চাপে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই, টুনটুনি, টিয়ারা। ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমীর গল্পও আজ আর বিশেষ শোনা যায় না। এ থেকেই এই ক্লাবের থিম ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী।

হাওড়া অনুশীলন সমিতি:
আধুনিক সভ্যতার জন্য অনেক পশু বিপন্ন। কিন্তু পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য এদের দরকার। বিপন্ন পশুদের বাঁচানোর আবেদন করবে এ পুজো।

ব্যাঁটরা নবীন সঙ্ঘ কামারডাঙা শীতলাতলা পুজা কমিটি

হাওড়া তরুণ সমিতি:
নর্মদার তীরে অমরকন্টক। এখানে নর্মদাকে দুর্গা রূপে পুজো করা হয়। একে ভিত্তি করে দুর্গার বিভিন্ন রূপকে তুলে ধরা হবে এ পুজোয়।

সদানন্দ স্মৃতি সঙঘ:
পরিবেশ দূষণ ও বিশ্ব উষ্ণায়নকে তুলে ধরা এ পুজোয়। দেখানো হবে প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ, কলকারখানার ধোঁয়া, ময়লা-আবর্জনা কী ভাবে পরিবেশকে দূষিত করছে।

ওলাবিবিতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি:
সকল রঙের উৎস হল প্রকৃতি। সেই রঙের উৎসবে মাতবে এ পুজো। মণ্ডপ নানা রঙে সাজানো হবে। কোন রাসায়নিকের ব্যবহার নয়, ভেষজ রঙে সেজে উঠবে মণ্ডপ।

হাওড়া সরস্বতী ক্লাব

মুক্তিক:
কুটিরশিল্পকে উজ্জীবিত করতে মুক্তিকের এ বারের ভাবনা বর্ধমানের নতুন গ্রামের শিল্পীদের তৈরি কাঠের পুতুল দিয়ে সাজানো নৌকার উপর দেবী দুর্গার পুজো।

ব্যাঁটরা সম্মিলনী:
চ্যাটার্জিপাড়ায় উত্তর ব্যাঁটরা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি আয়োজিত এই ক্লাবে এ বার টেরাকোটার প্রতিমা। থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা।

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.