ফুটপাথ উজিয়ে অবশেষে আলো এল ওঁদের ঘরে।
বাগবাজারের শ্রমজীবী কলোনির সাবেক ঠিকানা, পি-২৭ ক্ষীরোদ বিদ্যাবিনোদ অ্যাভিনিউ। সাড়ে আঠারো কাঠা জমিতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে ১০২টি পরিবারের বসত। খাস কলকাতার ৫৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় একমাত্র নিষ্প্রদীপ পাড়া।
সাতষট্টি বছরের পুরনো সেই বসত এত দিন ফুটপাথের ভেপার ল্যাম্পের ভরসাতেই সন্ধে কাটিয়েছে। প্রশস্থ ফুটপাথে ল্যাম্পপোস্টের আলোই ছিল কলোনির পড়ুয়াদের সান্ধ্য-পাঠের সম্বৎসরের সম্বল।
বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য গত তিন দশক ধরে বহু বার সিইএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেও সুরাহা হয়নি। পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বসত থেকে মুখ ফিরিয়ে ছিল পুরসভা কিংবা রাজ্য সরকারও।
তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে সম্প্রতি সৌর-ল্যাম্পে আলোয় ফিরলেও বাগবাজারের ওই কলোনিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা অধরাই ছিল।
এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজার পত্রিকায়। তারপরেই নড়েচড়ে বসে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। দিন কয়েক আগে সেখানে সরজেমিন ঘুরে দেখেন সিইএসসি কর্তারা। তারপরেই তড়িঘড়ি কলোনির ২০টি বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার বসানো হয়। ওই তিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষে সুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিইএসসি-র কর্তারা আপাতত ২০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে।”
সিইএসসি-র কার্যনির্বাহী আধিকর্তা অনিরূদ্ধ বসু বলেন, “যে কোনও কারনেই হোক কলকাতার ওই এলাকায় এত দিন বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়নি।
এটা খুবই দুঃখজনক। তবে, বাগবাজারের ওই কলোনির ২০টি বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।” কালী পুজোর মধ্যে আরও অন্তত ৬৫টি পরিবারে মিটার বসানো হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। |