বোলপুর থানায় একটি বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হল। শহরে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা বৃদ্ধি ও মাদকের রমরমা ব্যবসাকে ঘিরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন যুব তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। তখনই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীদের একাংশ পুলিশকর্মীদের নিগ্রহ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও জেলার পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ দিন বোলপুর থানায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভ চলার সময়ই বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার একটি ডাকাতির ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার করার দাবিতে ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে সরব হন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। ওই সময় বোলপুর থানার আইসি কমল বৈরাগ্য শহরের টহল সেরে থানায় ঢুকতে গেলে বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে পড়েন। পরে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুদীপ্ত ঘোষকে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। |
পুলিশকে নিগ্রহ করার অভিযোগ অস্বীকার করে সুদীপ্তবাবু বলেন, “শহরে অপরাধের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পুলিশ যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়, সে জন্য কর্মী-সমর্থকেরা থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মাত্র।”
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে বাহিরী-পাঁচশোয়া গ্রামপঞ্চায়েতের পালপাড়ার বাসিন্দা কাজী নজরুল ইসলামের বাড়িতে। অভিযোগ, বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডাকাতেরা ঘণ্টাখানেক ধরে লুঠপাট চালায়। পরিবারের লোকজনদের মারধরও করে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একজন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের কাছে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। |