মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন সংখ্যালঘুদের জন্য ৫৬টি ‘মার্কেটিং হাব’ গড়া হবে। এই হাব তৈরি হলে সংখ্যালঘুদের কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ঋণ ও অন্যান্য সরকারি সাহায্য দানের একটি অনুষ্ঠানে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেক মার্কেটিং হাবে এক হাজার করে মোট ৫৬ হাজার মানুষের কাজের সংস্থান করা যাবে।” তিনি জানান, সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের গুরুত্ব আছে বলেই তিনি তা নিজের হাতে রেখেছেন। এ দিনের অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘু মানুষদের ঋণ, স্কলারশিপ, মাদ্রাসার ছাত্রীদের সাইকেল ইত্যাদি দেওয়া হয়। |
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: রাজীব বসু |
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সংখ্যালঘুদের জন্য কী কী করেছে, এ দিন তার খতিয়ান দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, অনগ্রসরদের জন্য ১৭% সংরক্ষণ চালু করেছে রাজ্য। পাশাপাশি, যে সব অঞ্চলে ১০% উর্দুভাষী রয়েছেন, সেখানে উর্দুকে দ্বিতীয় ভাষায় মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মমতা বলেন, “এই দফতরের জন্য ৬৮০ কোটি টাকা খরচ করেছি।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, সংখ্যালঘুদের জন্য আলাদা ভবন তৈরি হচ্ছে। দরকারে সেখান থেকে সাহায্য পাবেন তাঁরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই সরকারি পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সংখ্যালঘুদের ডব্লুবিসিএস, ডব্লুবিপিএস, আইএএস, আইপিএস করে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে রাজ্য। তাঁর কথায়, “আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস গড়ার জন্য ৩৫০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। কলকাতায় কর্মরত মহিলাদের জন্য ৬০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হস্টেল গড়া হচ্ছে।” ওয়াকফ বোর্ডের বিতর্কিত বিষয়গুলির মধ্যে ১৪টির তদন্ত-ভার সিবিআই-কে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাকিগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে। তাঁর দাবি, ক্ষমতায় আসার আগে যে সব কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এক বছরেই তা করা হয়ে গিয়েছে। আর কী করা যায়, সরকার এখন তা ভাববে। |