সম্পাদক সমীপেষু ...
ফুটপাথ তুমি কার?
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়
ফুটপাথ কার? দখলদারের না পথচারীর? রাস্তায় যানবাহনের দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক সময় বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে ফুটপাথ ব্যবহার করুন। কিন্তু দমদম নাগেরবাজারের কাছে ফুটপাথগুলি দেখুন। প্রায় সমস্ত ফুটপাথের অংশ হকারদের দখলে চলে গেছে। এ ছাড়া সাতগাছি মোড়, অমরপল্লি, বাপুজি কলোনি, গরুহাটার মোড়, প্রাইভেট রোড, দমদম স্টেশনের কাছে ফুটপাথ পথচারীদের ব্যবহারের অযোগ্য। বাধ্য হয়ে রাস্তার উপর দিয়েই বিপদের ঝুঁকি নিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়। নাগেরবাজারের কাছে দমদম রোড এবং যশোহর রোডের ফুটপাথ ফাঁকা পাওয়া খুবই মুশকিল। রাস্তায় যানবাহনের চাপ, ফুটপাথে হকারদের চাপ, তা হলে পথচারীরা কোথায় যাবে? আবার রাজনৈতিক নেতারা বলেন, হকার উচ্ছেদ করলে ওরাই বা কোথায় যাবে। মাননীয় পুরপিতার কাছে অনুরোধ, উচ্ছেদ না-করে পুনর্বাসন দিয়ে ফুটপাথ মুক্ত করুন। পথচারীরা একটু শান্তিতে ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে পারবে।


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া স্টেশন রোডের উপর অসংখ্য সবজি বিক্রেতা, মাছ-ব্যবসায়ী ও মেশিন ভ্যান চালকেরা একসঙ্গে ভিড় করে যাতায়াতের পরিস্থিতি দুর্বিষহ করে তুলেছেন। স্টেশন রোড হওয়ায় বিভিন্ন রুটের গাড়ি এখান দিয়ে যাতায়াত করে। শুধু ফুটপাথ নয়, মেন রাস্তার অর্ধেক জুড়ে এদের পশরা। যাতায়াতে অসুবিধা হয়। পাঁশকুড়া পুরসভা ব্যবস্থা নেবে না কেন?
মনসাতঙ্ক
কারও ভাদ্র মাস, কারও সর্বনাশ। কারণ ভাদ্র মাস এলেই আমরা ‘মনসাতঙ্কে’ ভুগতে থাকি। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে যে মনসাপুজোর আয়োজন হয়, তার ঠেলায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়। দিন তিনেক গ্রামে বাস করাই দায় হয়। মাইকের অমায়িক ব্যবহার আর চোলাই মদের স্রোতে আমরা দিশেহারা হয়ে যাই। আমাদের গ্রামে চারটে মনসাপুজো হয়। শ’খানেক মাইক বাজে, তীব্র আওয়াজ। পুজোমণ্ডপে চার ফুট উচ্চতার বাঁশের মাচার ওপরে গোটা চারেক ৬-৭ ফুটের সাউন্ড বক্স লাগানো হয়, ১৬-১৮টি মাইকের লম্বা চোঙ মালার মতো গোল করে বেঁধে দেওয়া হয়। পাশাপাশি গাছে যত দূর সম্ভব একটা করে চোঙ বেঁধে দিয়ে ফুল স্পিডে বাজানো হয়। সঙ্গে চলে চোলাই মদের ফোয়ারা সমেত উন্মাদ নৃত্য।
অবস্থা চরমে ওঠে বিসর্জনের সন্ধ্যায়। আমার বাড়ির পাশেই প্রতিমা নিরঞ্জন হয় একটি পুকুরে। সে জন্য ওই তিন দিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত গ্রামের ৪টি প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা চলে। সঙ্গে জড়ো হয় সমস্ত মাইক ও বাজনা। আমরা সমস্ত দৃশ্য হজম করি। প্রতিবাদের সাহস হয় না। মনে মনে ভাবি, কোথায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ! আর কে মাপছে শব্দ দূষণের মাত্রা। দিন দিন মনসাতঙ্কের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
দূষণ
‘পর্ষদের নির্দেশ সত্ত্বেও দূষণ ছড়াচ্ছে রেল ইয়ার্ড’ (১২-৯) শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে জানাই, ওই রেল ইয়ার্ডে দূষণমাত্রাকে নির্ধারিত সীমার মধ্যে আবদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে রেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আসানসোল রেল ইয়ার্ডে দূষণমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য মালগুদাম চত্বরটিকে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো হয়েছে ৫.৬ কোটি টাকা ব্যয়ে।
এ ছাড়া, মালগুদাম চত্বরে ২০ জুলাই ২০১২ বৃক্ষরোপণের কাজ হয়েছে। মালগুদাম চত্বরে মোট ১২০০টি নতুন চারাগাছ লাগানো হয়েছে। তা ছাড়া, অ্যাপ্রোচ রোড ও মালগুদামের উত্তর প্রান্তের রাস্তাটিও বাঁধানো হয়েছে। মালগুদাম চত্বরটি নিয়মিত পরিচ্ছন্ন করে ময়লা জমানো হচ্ছে। কয়লা পরিবহণ ও খালাসজনিত কারণে রানিগঞ্জ মালগুদাম চালু করে আসানসোল রেল ইয়ার্ডের ওপর থেকে চাপ কমানো হচ্ছে। এ ছাড়া, আসানসোল রেল ইয়ার্ডে মাল খালাস ও ওয়াগনে মাল ওঠানোর সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেটি রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
রেল ইয়ার্ডের মধ্যে ওয়াগনের গতি ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। ইয়ার্ডের মধ্যে মালবাহী গাড়িগুলির গতি নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে ‘স্পিড ব্রেকার’ নির্মাণ করা হয়েছে। মালবাহী যানবাহনে মাল ওঠানোর সময় ওভারলোডিং যাতে না-হয়, তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ধোঁয়া দূষণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে যাতে মালবাহী গাড়িগুলি মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট নির্ধারিত মাত্রার পরিপূরক হয়, তার দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.