নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জোট-বিচ্ছেদের পরে বিরোধী ভূমিকায় গিয়ে কংগ্রেস চাইছে রাজ্য সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা নিয়েই মানুষের কাছে পৌঁছতে। খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির (এফডিআই) সুফল বোঝানোর পাশাপাশিই রাজ্যের ব্যর্থতা-খতিয়ান নিয়েও ময়দানে নামবে প্রদেশ কংগ্রেস।
কংগ্রেস হাইকম্যান্ড রবিবারই প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার খতিয়ান চেয়ে পাঠিয়েছিল। এক দিনের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নানা জনবিরোধী সিদ্ধান্ত, আইনশৃঙ্খলা, শিল্প-সহ রাজ্যের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্য কংগ্রেস। অদূর ভবিষ্যতে এই যাবতীয় বিষয়কেই বিরোধী আসনে হাতিয়ার করবে তারা।
এআইসিসি-র তরফে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শাকিল আহমেদ এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আহমেদ পটেলকে পাঠানো ওই রিপোর্টে প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে রাজ্যের শিল্প-বিমুখ পরিস্থিতির বিষয়ে। পেনশন ও রেন্ট কন্ট্রোলের অন্য খাতে
খাটানো হচ্ছে বলেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ কংগ্রেসের। আর্থিক দেউলিয়া অবস্থার মধ্যেও গত ১৬ মাসে নতুন শিল্প না-আসা, নয়াচরে কেমিক্যাল হাব না-করার সরকারি সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানানো হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। গ্রামীণ স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ খরচ করতে না-পারা এবং বন্দর, জাতীয় সড়ক, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের পরিকাঠামোগত বেহাল অবস্থারও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো ভাঙন-দুর্গত জেলার পরিকাঠামো এবং চা-শিল্পের উন্নয়নে কোনও ব্যবস্থা না-নেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে রিপোর্টে। পঞ্চায়েতকে আমলাতান্ত্রিক করা, শিক্ষায় দলতন্ত্র এবং ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির কথাও বলা হয়েছে। এই অনুন্নয়ন-ধারাবাহিকতাকে তুলে ধরে লক্ষ্মী পুজোর পর থেকে কংগ্রেস জেলায় জেলায় মানুষকে বোঝাতে চায়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “হাইকম্যান্ডকে রাজ্যের পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। দলে বৈঠক করে এই বিষয়গুলি নিয়ে মানুষের কাছে যাব আমরা।” প্রধান শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে আগামী ১৬ অক্টোবর বৈঠক করবেন শাকিল। আগে ওই বৈঠক ১২ তারিখ হওয়ার কথা ছিল।
|