সম্পাদক সমীপেষু...
শব্দ পাল্টালেই কি মন বদলাবে
ব্যুরোক্র্যাট অর্থে আমলা (১৩-৯) বিষয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবেদনটি যথার্থ। দীর্ঘ মেধাচর্চা, কঠোর শ্রম, নিয়মানুবর্তিতা, নৈর্ব্যক্তিক ও বাস্তববাদী প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজ গঠন ও সংস্কারে তীব্র ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাস, এই গুণাবলি যে-জনপ্রশাসকের মাথার মুকুট, তাঁকে ‘আমলা’ অভিধা প্রদানে শুধুমাত্র ভুল এবং অন্যায় হচ্ছে এটি অল্পকথন মাত্র। এতে প্রকাশ পায় ক্ষুদ্রতা, নীচতা, শঠতা ও চক্রান্ত।
সমাজ পরিচালনায় নির্বাচিত ও মনোনীত জনপ্রতিনিধিদের দেশে দেশে দর্পণে অবলোকন করলে প্রতিভাত হয় মানবিক গুণাবলিহীন মুখোশ। সুতরাং উচ্চ মনন, উচ্চ শিক্ষা, উচ্চ আদর্শ, উচ্চ শির, উচ্চ চরিত্র অন্যান্য বহু পেশার মানুষদের মতো জনপ্রশাসককে ‘গণশত্রু’ গড়ে তোলে। জনপ্রশাসককে সমাজ-বিচ্ছিন্ন করার একটা চক্রান্ত তাঁকে ‘আমলা’য় রূপান্তরিত করে চেষ্টা করে ‘আমলাতন্ত্র’ (চামচাবাজি) প্রসারিত করতে। ব্যুরোক্র্যাট শব্দের তৎসম অনুবাদ যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেও এই হীন চক্রান্তের প্রসারের পরিপূরক স্বার্থেই। সমাজ সম্পর্কে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে আলাপনবাবুর অধীত উপলব্ধি আমার মতো অনেকের চেয়ে বেশি হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে সমাজতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক ব্যাখ্যা সযত্ন পরিহার করেছেন, তা তাঁর মতো দায়িত্বসচেতন প্রশাসকের পক্ষেই সম্ভব।
সামন্ত্রতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রশাসন ছিল ‘কর্তার ইচ্ছায় কর্ম’। সমাজতান্ত্রিক কিংবা কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলিতে ‘পার্টির ইচ্ছায় কর্ম’। অন্যান্য রাষ্ট্রব্যবস্থায় ‘মন্ত্রীর ইচ্ছায় কর্ম’। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও নির্বাচিত বা মনোনীত জনপ্রতিনিধি ক্ষমতার একমাত্র আধার এবং তাঁর ইচ্ছা-অনিচ্ছাই শেষ কথা। ‘জনপ্রশাসক’যিনি প্রকৃতপক্ষে সমাজ গঠন, সংস্কার ও উন্নয়নের কাণ্ডারি হতে পারেন, তাঁর জন্য কোনও স্বাধীন বিচরণক্ষেত্র রাখা হয়নি নানা আইনি ও শপথের বেড়াজালে। ‘জনপ্রতিনিধি’ এবং ‘জনপ্রশাসক’-এর সংঘাত এক সুবিদিত সত্য। সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক, কিন্তু প্রয়োগ প্রশাসকের হাত ধরে। এই রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও মাতব্বরি আরও সুনিশ্চিত হয় জনপ্রশাসককে ‘আমলা’য় নামিয়ে আনলে।
ব্যুরোক্র্যাট শব্দটির বাংলা পরিভাষা ‘আমলা’ শব্দের ব্যবহারকে ভুল এবং অন্যায় বলেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (১৩-৯)। এই প্রসঙ্গে ব্যুরোক্র্যাসি সম্পর্কে প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানীদের যে তত্ত্ব এবং মতামত পাওয়া যায়, তা যে খুব গরিমাপূর্ণ তা বলা যাবে না। দার্শনিক কার্ল মার্ক্স ব্যুরোক্র্যাসিকে বিশ্বজনীন স্বার্থের প্রতিনিধি হিসাবে একেবারেই দেখেননি। তাঁর মতে, ব্যুরোক্র্যাসি সম্পূর্ণ ভাবে কর্তৃত্বের পূজারি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করে এই ব্যুরোক্র্যাসি। লেনিনও ব্যুরোক্র্যাসি সম্পর্কে একই রকম নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন। অবশ্য তিনি ব্যুরোক্র্যাট এবং টেকনোক্র্যাটদের মধ্যে পার্থক্য করেছেন। কারণ, বিপ্লবোত্তর সেভিয়েত ইউনিয়নকে একটি শিল্পপ্রধান, সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তাঁকে ব্যুরোক্র্যাসির একটা সোভিয়েত মডেল গড়ে তুলতে হয়েছিল। যেখানে তিনি ব্যুরোক্র্যাসিকে কঠিন দলীয় শাসনব্যবস্থার অধীনে রাখার কথা বলেন। ইতালীয় সমাজতাত্ত্বিক মিশেলস ব্যুরোক্র্যাসি নিয়ে তাঁর তত্ত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে উপস্থাপিত করেছেন। তিনি অবশ্য ব্যুরোক্র্যাসিকে সুশৃঙ্খল, নিয়মনিষ্ঠ, উদ্যোগহীন, নৈর্বক্তিক, যান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখেছেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানে গোষ্ঠীতন্ত্রের প্রকাশ এবং গণতান্ত্রিক সমাজে তার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন।
সমাজতাত্ত্বিক ম্যাক্স ওয়েবার ব্যুরোক্র্যাসি বিষয়ে নতুন তত্ত্ব প্রদান করেন। এ কথা স্বীকার করতেই হয়, ব্যুরোক্র্যাসি সম্পর্কে প্রকাশিত নেতিবাচক ধারণা থেকে তিনি এটিকে মুক্ত করেন। তাঁর তত্ত্ব অনুযায়ী, আধুনিক ধনতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ব্যুরোক্র্যাসি প্রশিক্ষিত প্রশাসক এবং কর্মীদের একটি সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত। যার মাধ্যমে যুক্তিবাদী আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এই আধিপত্য গড়ে ওঠে কর্তৃত্বের উপর নির্ভর করে। ওয়েবেরীয় তত্ত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্র কৃত্যক (সিভিল সার্ভিস) এবং বুরোক্র্যাসি সমার্থক নয়। কারণ, রাষ্ট্র কৃত্যক বলতে ব্যুরোক্র্যাসির উল্লম্ব অবস্থার উপরের দিকে অবস্থানকারী আধিকারিকদেরই বোঝায়। এই ব্যবস্থাকে তিনি পুঁজিবাদী শাসনের পরিপূরক হিসেবে দেখেছেন।
ব্যুরোক্র্যাটের বাংলা পরিভাষা আমলা শব্দটি সাহিত্যে, সংবাদ মাধ্যমে এমনকী বৈঠকি আড্ডার আসরেও প্রবল ভাবে উপস্থিত এবং বর্তমানে সর্বজনগৃহীত। সংসদ অভিধানে ব্যুরোক্র্যাসির একটি মাত্র বাংলা অর্থ বা প্রতিশব্দ হিসেবে আমলাতন্ত্র ব্যবহার হয়। এই প্রেক্ষিতে উল্লেখ করা যায়, ভারতীয় রাজনৈতিক ইতিহাসে এই শব্দটির বহুল ব্যবহার শুরু হয় বামপন্থীদের কল্যাণে। ভারতীয় বামপন্থীরা রাষ্ট্রীয় সরকারের সঙ্গে যে তিনটি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে আক্রমণের কেন্দ্র করেছিল, সেগুলি হল বড় ভূস্বামী ও সামন্তপ্রভু, পুঁজিবাদী শক্তির দেশীয় প্রতিনিধি টাটা বিড়লা ডালমিয়ার মতো বৃহৎ পুঁজি এবং এই দুই শ্রেণির রক্ষক আমলাতন্ত্র। সত্তরের দশকে কংগ্রেস শাসনের শক্তিহীনতায় বিশেষত জরুরি অবস্থার সময় দেশের আমলাতন্ত্র অত্যন্ত সক্রিয় হয়। রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্বলতার সুযোগে আমলাতন্ত্র তার নখদন্ত প্রবল ভাবে প্রকাশ করতে শুরু করে। তখন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কংগ্রেস বিরোধী শক্তির প্রবল আক্রমণের মুখে পড়ে। ‘তানাশাহী’ এবং ‘আমলাশাহী’।
পশ্চিমবঙ্গেও এর প্রভাব ছিল খুব স্পষ্ট। তবে ষষ্ঠ বামফ্রন্ট ক্ষমতাসীন হওয়ার পর অবস্থাটা বদলে যায়। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাত থেকে ক্ষমতা ক্রমশই আমলাতন্ত্রের হাতে চলে আসে।
এর চরম পরিণতি দেখা যায় সপ্তম বামফ্রন্টের রাজত্বকালে। বামফ্রন্ট অন্তর্ভুক্ত সমস্ত দলই এই আমলাতান্ত্রিক অতিসক্রিয়তার সমালোচনা শুরু করে। মিশেলসের তত্ত্ব অনুযায়ী আমলাতন্ত্র তখন গোষ্ঠীতন্ত্রে পরিণত হয় এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কুক্ষিগত করে তোলে। এ সময় প্রবল প্রতাপশালী মন্ত্রীদেরও আক্ষেপ ছিল‘রাজ্য তো মন্ত্রীরা চালায় না, আমলারা চালায়’। এখানে আমলা বলতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কৃত্যকের আধিকারিকদের বোঝানো হত।
এখন প্রশ্ন, ব্যুরোক্র্যাটের বাংলা পরিভাষা আমলা শব্দটির স্থানে বৃত্তি অনুসারী সম্মানজনক একটি শব্দ সৃষ্টি প্রসঙ্গে। এত দিন ধরে প্রচলিত এবং প্রায় সর্বজনস্বীকৃত একটি শব্দযার মূল ইংরেজি কিংবা ফরাসি শব্দের মধ্যেই অধীনতার দ্যোতনা আছেতা কি শুধু পরিভাষার নব সংস্করণে জ্যোতির্ময় হতে পারবে? তা যদি হত, সে ক্ষেত্রে শ্রীবন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন প্রাজ্ঞ এবং প্রবীণ আধিকারিক কোনও গ্রহণযোগ্য পরিভাষার উল্লেখ করতে পারতেন, কিন্তু তা করেননি।
ঘটনা হল, পরিভাষার পরিবর্তন হলেও, সাহিত্য ও সংবাদমাধ্যমে তার বহুল প্রচলন হলেও আমলাদের একই দৃষ্টিতে দেখা হবে। হীনম্মন্যতা বা নেতিবাচক ব্যঞ্জনা দূর করার জন্য ব্যুরোক্র্যাসিকেই সযত্ন প্রয়াসী হয়ে সুশাসনের অঙ্গীকার নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। শুধুমাত্র পরিভাষার পরিবর্তনে প্রাথিত ফললাভ হবে বলে মনে হয় না।
গৃহিণী বেতন পেলে ক্ষতি কী
বিনা বেতনের দাসী (১৩-৯) প্রবন্ধটির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে নেদারল্যান্ডস থেকে লেখা শ্রীমতী তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যে (২৫-৯) অনেক ফাঁক আছে। গৃহিণীকে কর্তার আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ মাসিক বেতন দেওয়ার জন্য আইন যদি কোনও কালে বাস্তবায়িত হয়, তবে সে তো পরিবারের কল্যাণার্থে সন্তানের শিক্ষা-পুষ্টি খাতে ব্যয় হওয়ার সম্ভাবনা। সম্পাদকীয় প্রবন্ধেও তেমনটি বলা হয়েছে। নিজের ইচ্ছেকে রূপ দিতে হাত পাততে হবে না কারও কাছে। উদয়াস্ত পরিশ্রম, সংসারের জন্য কাজ মূল্যহীন, মর্যাদাহীন এ কথা ভেবে নতমুখে থাকতে হবে না নারীকে। নারীর ক্ষমতায়ন হলে সমগ্র পরিবার ও দেশের কল্যাণ হবে।
কত উচ্চশিক্ষিত, উপার্জনক্ষম বধূ সংসারের প্রয়োজনে নিজের চাকরি ছাড়েন। সংসারের জন্য প্রাণপাত করে সংসারের অর্থ সাশ্রয় করা, সন্তানের মঙ্গল চিন্তা, সকলের সুখ-সুবিধার দিকে নজর দেওয়া যেন তাঁদেরই একক দায়। নিজের বঞ্চনার দিকটি তাঁদের কাছেও উপেক্ষিত থেকে যায়। কর্মক্ষমতা কমে যায়, স্বামী-সন্তানের কাছে উপেক্ষিত অবহেলিত হতে হয়।
অবশ্য, স্ত্রীদের জন্য বরাদ্দ ‘আইনি’ অর্থ থাকলেও কতটা তাঁরা ইচ্ছে মতো খরচ বা সঞ্চয় করতে পারবেন, বলা যায় না। বাইরে আইন মানতে বাধ্য হলেও ঘরে এসে পুরুষ বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাবে। পণ দেওয়া-নেওয়াও তো আইনত নিষিদ্ধ, তবু সবই চলে ঘুরিয়ে। একই ছাদের নীচে থেকে সন্তানকে বড় করতে হবে, অতএব অনুগত হওয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না। তবু আইনের রক্ষাকবচ থাকলে অবস্থা কিঞ্চিৎ সহনীয় হবে, আশা করতে দোষ কী? অন্তত ‘নারীর কাজটা কিছু নয়’ এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য হবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতিতে। আসলে অর্থের সঙ্গে মর্যাদার প্রশ্নটি জড়িয়ে আছে। গৃহকর্মের জন্য আইনত অর্থ পাওনা হলে তখনই হয়তো স্ত্রী কিছু মর্যাদা পাবেন।
রেলযাত্রার আতঙ্ক
২৫ সেপ্টেম্বর পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ১২৮৩৯/ হাওড়া-চেন্নাই মেলে রওনা হয়ে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে নির্ধারিত সময়েই ট্রেন ছাড়ল। শেষরাতের দিকে টের পেলাম, কামরায় অস্বাভাবিক রকম বেশি লোকের আনাগোনা। কিন্তু উঠে বসে সতর্ক দৃষ্টি মেলার মতো শারীরিক ও মানসিক শক্তিটুকু এক করে উঠতে পারলাম না। সকালে খুরদা রোডে ঘুম ভেঙে দেখি, আমার ও বেশ কিছু যাত্রীর মালপত্র উধাও। এসি-৩ তো বটেই, এসি-২ থেকেও সেই একই বার্তা। অনেকেরই বক্তব্য: এত ঘুম তো কখনওই ঘুমাই না!
জানা গেল, নিয়ম অনুযায়ী এসি কামরায় যে অ্যাটেন্ড্যান্ট থাকার কথা, ওই কামরাগুলিতে তিনি প্রথম থেকেই অনুপস্থিত। বেড রোল ইত্যাদি সরবরাহকারী দুই ব্যক্তিই উক্ত ভূমিকায় নিজেদের উপস্থিত করেছিলেন। যদিও রাত দুটোর পর তাঁরা প্যান্ট্রি কারে গিয়ে ঘুমোতে থাকেন। কোনও আর পি এফ কর্মীকেও এই দীর্ঘ ভ্রমণপথে দেখা যায়নি।
প্রাথমিক চেঁচামেচির সময় প্রথম যে রেলকর্মী আবির্ভূত হন, তিনি সরস রসিকতায় কাঁধ ঝাঁকিয়ে জানান, এসি-তে নাকি বেশি চুরি হয়ে থাকে, যেহেতু মানুষ আরাম করে ঘুমোয়। তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, ওই আরামটুকুর জন্য আমরা রেলকে একটা মোটা টাকা দিই। ইতিমধ্যে টিকিট-পরীক্ষকের আগমন। দেখলাম কাগজপত্র যাতে ধরাবাঁধা গতে বানানো যায়, তাতেই তিনি আগ্রহী। যাত্রীদের অসহায় অবস্থায় তাঁদের উদ্ধত উদাসীনতা।
মনকে সান্ত্বনা দিই, আরও খারাপ কিছু তো ঘটতে পারত। রেলযাত্রার আগে কোন গাড়িতে কতটা স্বাচ্ছন্দ্য সেই বিচারের বিলাসিতা ছেড়ে এখন কোন গাড়িতে কতটা কম ক্ষতির সম্ভাবনা, তার হিসাব করাটাই যুগোপযোগিতার পরিচয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.