কত মানুষ আসেন।
ভিড় দেখাটা ফাউ। |
এ বারই প্রথম থিম নামাচ্ছি। দেখে নেবেন! |
পি সি সরকার যদি বাড়ির
ভিড় ভ্যানিশ করে দিতেন! |
ওস্তাদের বয়স দুই কুড়ি এক (৫০ করতে নয় নয় করে আরও দু’টো বিধানসভা নির্বাচন)
ট্যাঁকের জোর হিসেবের খাতা বলছে, লাখ কুড়ির কাছাকাছি। তবে এই পাড়ায় কোনও ‘গৌরী সেন’ নেই। তাই একটু চেপে খেলতে হচ্ছে আর কী!
প্লাস পয়েন্ট বেনাচিতির সবচেয়ে বড় পুজো। এত দিনের যাত্রাধর্মী ‘সিন-সিনারি’ আর ‘লাইটিং’ ছেড়ে এ বারই প্রথম ‘থিম’ ধরেছে। জায়গা এমনই, লোকে ভিড় করে দেখতে আসবেই। ‘থিম’ হচ্ছে শুনে এ বার আবার উৎসাহ কিঞ্চিত বেশি।
মাইনাস পয়েন্ট বেনাচিতি এমনিতেই ঘিঞ্জি। আড়ে-বহরে পুজো বেড়েছে। অথচ পাড়ার লোকের আব্দারে পাড়া ছেড়ে আর বেরোতে পারছে না মণ্ডপ। ফলে বরাবরের মতো এ বারও গলির রাস্তা আর কিছুটা ফাঁকা জায়গা ঘিরেই সব আঁটানোর চেষ্টা চালাতে হচ্ছে। বৃষ্টি হোক আর না হোক, দর্শক কোণঠাসা।
থিম কলকাত্তাইয়া পুজোর ব্যাকরণে একে খাঁটি ‘থিম’ বলা যায় কি না, তা নিয়ে তর্ক উঠতে পারে। তবে ইন্টারনেট ঘেঁটে বের করা হয়েছে নয়নাভিরাম মন্দিরের ছবি। তার সঙ্গে ‘আপন মনের মাধুরী’ মিশিয়ে গড়া হচ্ছে। মেদিনীপুরের শিল্পীরা আড়াই মাস আগে থেকে লেগে পড়েছেন কল্পনাকে বেনাচিতির গলিতে নামিয়ে আনার কাজে।
তুরুপের টেক্কা মণ্ডপের দেওয়াল, তার কারুকাজ থেকে অন্দরের সজ্জা সবই তারজালির। মুম্বইয়ে গণেশ চতুর্থীতে এমন মণ্ডপ দেখেই নাকি অনুপ্রাণিত হয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাঁদের দাবি, তারজালির এই অনুপম ব্যবহার তামাম দুর্গাপুরে সত্যিই উপমাবিহীন।
পুজো প্লাস তারকার চক্করে নেই। পাড়ার শিল্পীরাই হারমোনিয়াম ধরবেন, যাকে বলে ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’। সেই সঙ্গে কিছু দান-ধ্যানও না কি হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রসঙ্গে ওদের ট্যাঁকের জোর বেশি। কিন্তু ‘আমি আমার মতো’। |