এক বার নাটক করি।
এ বার রান্নার প্রতিযোগিতা। |
এত দিনের সাফল্য
ধরে রাখতে চাই। |
দেব এসেছিল এক বার।
যদি ফের আসত! |
ওস্তাদের বয়স ৫২ (সবে হাফ সেঞ্চুরি পেরোলেও ঠুকে খেলছে না কিন্তু)
ট্যাঁকের জোর কর্তাদের কেউ বলছেন, ২২ লাখ, কেউ ২৩। স্থানীয় এক বিভীষণের ফিসফিস, ‘পাড়ায় এক গৌরী সেন আছেন! বাজেট নিয়ে নো চিন্তা।’
প্লাস পয়েন্ট ইস্পাতনগরীর সবচেয়ে বড় পুজো। একে তো নগরীর একেবারে কেন্দ্রে। তার উপরে বছর-বছর থিমের বৈচিত্র্য এনে সেরা পুজোর পুরস্কার বগলদাবা করাটা প্রায় রুটিনে পরিণত করে ফেলেছে। এ বারও সকলের কৌতূহল, আবার কী চমক দেয়! পুজোর রাতে লাখো দর্শনার্থীর বাঁধ ভাঙা ভিড় সামাল দেওয়ার দক্ষতা দেখে পুলিশও অবাক!
মাইনাস পয়েন্ট কপালে ভাঁজ ফেলেছে আবহাওয়ার রকম-সকম। মণ্ডপের সামনেই খোলা মাঠ। হঠাৎ তেড়ে বৃষ্টি নেমে কাদায় কাদা হয়ে উঠলে হাই-হিল বসে যেতে পারে, বাঁচাতে গিয়ে হড়কে যেতে পারে পাশের মোকাম্বো শু্য। রেফারিরা (যাঁরা পুজো ঘুরে ঘুরে নম্বর দেন) স্লাইড করলে সেই হ্যাপা ট্যাকল করবে কে?
থিম এক কথায় ‘মাঙ্গলিক’। ৯০ ফুট উঁচু, ১০০ ফুট চওড়া বিশাল মণ্ডপ উঠে দাঁড়াচ্ছে আস্ত পঞ্চপ্রদীপ হয়ে। আশপাশে মঙ্গলঘট, ঘণ্টা, শাঁখ, প্রদীপ।
তুরুপের টেক্কা মণ্ডপ সাজছে জংলি জিনিসে। বেল, আমড়া, ডাবের শিস, কাজু বাদামের খোল, বনবেগুন, গুল্মের শিকড়, ঝাউয়ের ফল, বটগাছের ঝুড়ি আরও কত কী! অন্তত বিশ রকমের জংলি ফল জানাচ্ছেন মাস তিনেক আগে থেকে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা কাঁথির শিল্পী। আর আলোয় উঁকি দেবেন ওস্তাদের প্রায় তিন গুণ বয়সী বুড়ো রবীন্দ্রনাথ আর জোয়ান বিবেকানন্দ।
পুজো প্লাস চতুর্থীর দুপুরে ‘সাতপাকে বাঁধা’ টিভি সিরিয়ালের ‘দুষ্টু’ ঐন্দ্রিলা সেন, রাতে মীরের গানের ব্যান্ড ‘ব্যান্ডেজ’।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রসঙ্গে আমাদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। লড়াই নিজের সঙ্গে। বাকি ‘বালাই ষাট’! |