|
|
|
|
কাজের এক্তিয়ার বাড়ছে এবিজি-র, আশা হলদিয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হলদিয়া বন্দরের সঙ্কটমোচনের লক্ষ্যে বন্দর চেয়ারম্যান ৯ সদস্যের যে কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন, তারা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কয়েকটি বিষয়ে সহমত হয়েছে। তার ফলে অবশেষে হলদিয়ায় জট কাটার ইঙ্গিত মিলল বলে কলকাতা বন্দর (হলদিয়া বন্দর কলকাতার অধীন) সূত্রে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। হলদিয়ার সমস্যা মেটাতে বৃহস্পতিবার কলকাতায় সদর দফতরে বৈঠকে বসেছিলেন বন্দরের বিভিন্ন ইউনিয়ন, মাল ওঠানো-নামানো সংস্থার প্রতিনিধিরা। সেখানেই ওই কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছিল, যে কমিটিতে ছিলেন মেরিন অপারেশনস ক্যাপ্টেন এস এন চৌবে, ট্র্যাফিক ম্যানেজার দামোদর নায়েক, ম্যানেজার ফিনান্স শুভাশিস বাগচি, এবিজি-র তিন এবং প্রতিযোগী সংস্থার তিন জন প্রতিনিধি। রবিবার ও সোমবার ওই কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসে তিনটি প্রধান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বন্দর সূত্রে দাবি করা হয়েছে। |
|
কী সেই তিন সিদ্ধান্ত? কর্মী অসন্তোষের সময় হলদিয়ায় যে ২৭৫ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়, তাদের সকলকে পুনর্বহালের জন্য এবিজি-র কাছে আবেদন করবে কমিটির অন্য সদস্যরা। বন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে, এবিজি-র প্রতিনিধির বক্তব্য ইতিবাচক ছিল। বৈঠকে এবিজি-র প্রতিনিধি জানিয়ে দেন, বিষয়টি পরিচালন বোর্ডের সামনে রাখা হবে।এবিজি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদের আরও বেশি মাল ওঠানো-নামানোর সুযোগ করে দেওয়া হোক। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঠিক হয়েছিল, হলদিয়া বন্দরের ২ এবং ৮ নম্বর বার্থে কাজ করবে এবিজি। এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ওই দু’টি বার্থ ছাড়াও এবিজি ৪বি বার্থেও আংশিক ভাবে কাজ করবে। গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অবশ্য এই প্রস্তাব উঠেছিল। এ দিন সেই প্রস্তাবই গৃহীত হয় বলে বন্দর সূত্রের খবর।
সর্বোপরি, ২ এবং ৮ নম্বর বার্থে যাতে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে এবিজি কাজ করতে পারে, সে ব্যাপারে বন্দর-কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। হলদিয়া বন্দরের সম্প্রসারণের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, সাম্প্রতিক অশান্তির জেরে তা কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। এ দিনের বৈঠরে বন্দর-কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, তাঁরা ওই পরিকল্পনা কার্যকর করবেন। এ ব্যাপারে সকল পক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
শ্রমিক অসন্তোষের জেরে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে হলদিয়া বন্দরে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ওই শ্রমিক অসন্তোষের পিছনে তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের ইন্ধন রয়েছে বলে বন্দর-কর্তৃপক্ষ রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে অভিযোগ জানান। কাজ কমে যাওয়ায় এবিজি তাদের ২৭৫ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে। এর পরে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এবিজি মাল ওঠানো-নামানোর কাজ পুরো বন্ধ করে দেয়। বন্দর চেয়ারম্যানের গড়ে দেওয়া ৯ সদস্যের কমিটির সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করছিল হলদিয়া বন্দরের ভবিষ্যৎ। কমিটির সিদ্ধান্তের পরে তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, অন্তত একটা ইতিবাচক ইঙ্গিত তো মিলল। |
|
|
|
|
|