টুকরো খবর
পাত্রসায়র রেঞ্জে বিক্ষোভ
হাতির তাণ্ডবে চাষের দফারফা। অথচ বন দফতর হাতির বিরাট পালটিকে সরাতে উদ্যোগী নয়। এই অভিযোগে সোমবার পাত্রসায়র রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দা। গত সোমবার থেকে শতাধিক হাতির একটি দল সোনামুখী ও পাত্রসায়র বনাঞ্চলের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। পাত্রসায়র ব্লকের বীরসিংহ, নতুনগ্রাম, বাগানপাড়া, রাকাশোল, কেয়াডহরি, মানচা, বিদ্যানন্দপুর, কুশদ্বীপ, জামশোলা, পান্ডুয়া-সহ বেশ কিছু গ্রামে হাতির দল ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। কেয়াডহরি গ্রামের প্রশান্ত মিশ্র, পান্ডুয়া গ্রামের শাজাহান মিদ্যাদের ক্ষোভ, “হাতির দল জমির ধান মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। অথচ বনদফতর হাতি তাড়াতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) এস কুলন ডেইভাল বলেন, “ওই দলে ১০০টির বেশি হাতি রয়েছে। পুজোর আগে তাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু বিষ্ণুপুর বনাঞ্চলের বাসিন্দারা হাতিদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন। ফলে তারা পাত্রসায়র ও সোনামুখীর জঙ্গলে ফিরে আসছে।”

বুন্ডুতে প্রৌঢ়কে আছড়ে মারল মা-হাতি
রাঁচির বুন্ডুর জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে আজ ভোরে এক হস্তিনীর আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন এক গ্রামবাসী। হাতির হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল সাতটা থেকে গ্রামবাসীরা বুন্ডুর কাছে ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় অবরোধ ওঠে। রাঁচির এসডিপিও (বুন্ডু) নৌশাদ আলম জানান, মৃত ব্যক্তির নাম কমালাকান্ত মাহাত (৫৫)। তিনি জঙ্গল সংলগ্ন ভুঞ্জু গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি পুরুলিয়া থেকে হাতির একটি দল ঝাড়খণ্ডের সোনাহাতু হয়ে রাঁচির বুন্ডুর জঙ্গলে এসেছে। এ দিন ভোরে জঙ্গলের পাশে তিনটি বাচ্ছা হাতিকে নিয়ে বিশ্রাম করছিল ওই হস্তিনী। ভোরে আলো কম থাকায় কমলাকান্তবাবু হাতির দলটি না-দেখেই ওদের সামনে চলে যান। শেষ পর্যন্ত বিপদ বুঝতে পেরে তিনি চিৎকার করে দ্রুত পিছু হটার চেষ্টা করেন। আশপাশের লোকজন আসার আগেই হাতির আক্রমণের মুখে পড়েন কমলাকান্তবাবু। শুঁড়ে পেচিয়ে কমলাকান্তবাবুকে আছাড়ে মারে মা-হাতিটি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, সরকারি আইন মোতাবেক বন দফতর মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে।

বন্ধ কোরো না পাখা। জার্মানির নিম্ফেনবার্গের পার্কে
ত্রয়ীর উড়ান। সোমবার। ছবি: এ এফ পি

গাছ পাচার, নালিশ
বেআইনি ভাবে গাছ কেটে তা বাইরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ঘটনাটি ঘটে ভক্তিনগরের রায় কলোনিতে। অভিযোগ, সেখানে ভবন তৈরি করার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থা কয়েক মাস বেআইনি ভাবে প্রায় ৩০০টির উপরে গাছ কেটে ফেলা হয়। এদিন সেগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই সংস্থার ম্যানেজার খোকন মণ্ডল বলেন, “অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা এবং তা বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

শেয়াল-শকুন পরব
বিষ্ণুপুরের বাহাদুরগঞ্জে শেয়াল-শকুনের মূর্তির পসরার ছবিটি তুলেছেন শুভ্র মিত্র।
অন্য লোকায়ত পরবের মতোই হারিয়ে যাচ্ছে শেয়াল-শকুন পরব। নিয়ম অনুযায়ী, জিতাষ্টমী জিমূতবাহনের পুজোর দিন সন্ধ্যায় শিয়াল-শকুনের মাটির মূর্তি বাড়িতে রেখে রাঢ়বাংলার গৃহস্থ এই পরব পালন করেন। সোমবার ওই পরবের দিনেও শিয়াল-শকুনের বিক্রি তেমন জমল না বিষ্ণুপুরে। গোপালগঞ্জের মৃৎশিল্পী প্রিয়ব্রত সূত্রধর বলেন, “শিয়াল-শকুনের মূর্তি কেনার জন্য আগের থেকে ক্রেতা অনেক কমে গিয়েছে। লোকায়ত পরব বলে এখনও তৈরি করি।” ইতিহাসবিদ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, “শেয়াল-শকুন অমঙ্গলের প্রতীক। রাতভর ওই মূর্তি বাড়ির উঠোনে রেখে পরের দিন সকালে বিসর্জন দেওয়া হয়। এই লোক পরব এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।” তাঁর মতে, অপসংস্কৃতির প্রভাবেই বাংলার বহু লোক পরব হারিয়ে যাচ্ছে।

আপাতত বিশ্রাম
টানা দিন দশেকের ধকল, বর্শার ক্ষত, ঘুমপাড়ানি গুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অবশ হয়ে রয়েছে পবিতরার ঘরছুট গন্ডারটি। নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই উদ্ধার করতে হয়েছে তাকে। সাধারণত জলাশয়ের কাছাকাছি গন্ডারকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয় না। কিন্তু রবিবার বিকেলে কামরূপের মির্জায় গলাজলে ডুবে থাকা গন্ডারটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করে ট্রাকে তোলা হয়। চিকিৎসক এম এল স্মিথ জানান, গন্ডারের দেহে একাধিক ক্ষত রয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যায় ভাসা, অনাহার, টানা দৌড়ে বেড়ানোর ধাক্কায় সে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ দিকে, সোমবার ফের নলবাড়ির ভাংনাবাড়ির নদীচরে একটি গন্ডারের মৃতদেহ মিলেছে। খড়্গটি থাকলেও তা কাটার চেষ্টা হয়েছিল।

পাখি উদ্ধার
পরিযায়ী হাঁসের বাচ্চাকে উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দিলেন পাড়া থানার দুবড়া এলাকার কিছু বাসিন্দা। সোমবার সকালে তাঁরা ৮টি বালিহাঁসের বাচ্চাকে উদ্ধার করেন। বন দফতরের পাড়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী বলেন, “সাইবেরিয়া থেকে শীতের সময়ে ওই পরিযায়ী হাঁসগুলি এই এলাকায় চলে আসে। আপাতত বাচ্চাগুলিকে রাখা হয়েছে রঘুনাথপুরে বন দফতরের কার্যালয়ে।”

বিক্ষোভ
হাতির তাণ্ডবে চাষের দফারফা। অথচ বন দফতর হাতির বিরাট পালটিকে সরাতে উদ্যোগী নয়। এই অভিযোগে সোমবার পাত্রসায়র রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দা।

আর কত উঁচু? ভাবছে কাঠবিড়ালি। সোমবার বার্লিনে। ছবি: এ এফ পি


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.