চিত্তরঞ্জন ঝিলপাহাড়ি সর্বজনীন ওস্তাদের বয়স বিশে পা (অর্থাৎ সাবালক)
পুজো প্লাস
আশপাশের কয়েকটি স্কুলের দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের নতুন পোশাক দেওয়া হবে। ঢাকঢোল না পিটিয়েই।
প্লাস পয়েন্ট
মাইনাস পয়েন্ট
গত বার বেশ কয়েকটা পুরস্কার জুটেছে। এ বারও প্রচার ভাল হয়েছে। বিজ্ঞাপন তুলতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে না। বাছাই করে আনা হয়েছে ‘প্রতিষ্ঠিত’ শিল্পী। দরকারে কড়কড়ে নগদ টাকা গুনে কিনে আনা হচ্ছে সেরা জিনিসটা। এ ব্যাপারে ‘নো কমপ্রোমাইজ’। আনন্দটাই সারপ্লাস।
শহরের একেবারে শেষ প্রান্তে। একটাই রাস্তা। গাড়ি-ঘোড়াও চলে না। দেখতে হলে সঙ্গে গাড়ি থাকতে হবে অথবা পরের অলিম্পিকে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে ঠ্যাং-সম্বল। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রসঙ্গে চেষ্টা আছে, রেজাল্ট নেই। স্বর্গ-নরক কে দেখেছে? আরে, বাস্তবের মাটিতে তো থাকতে হবে!
শুরু থেকেই দেখছি, প্রায় তিন মাস ওরা পুজোর টানে ঘর-দোর ভুলে যায়।
থিম
মূল ভাবনা ‘ভাঙা দিয়ে গড়া’। সাইকেল, মেশিন, বাইক, পাখার যন্ত্রাংশ বা বাড়ি বানানোর সরঞ্জাম দিয়ে গড়া হচ্ছে থিম ‘দশ অবতার’। কিছু হাই প্রেশারের রোগীর আতঙ্ক, যন্তরের টুকরো-টাকরা সব চোরাই নয় তো! শ্রীঘরে যেতে না হয়। তবে কর্তাদের আশ্বাস, চিন্তার কারণ নেই।
তুরুপের টেক্কা
মণ্ডপ সাজছে বালুচরি শাড়িতে, যা নাকি এ তল্লাটে কস্মিনকালে হয়নি। ভাঁজে ভাঁজে ইতিহাস, বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের দশ অবতার আখ্যান। চোখ মটকে সংযোজন, “খান কয়েক ‘ট্রাম্প কার্ড’ লুকোনোও আছে!”
ট্যাঁকের জোর
ভণিতা না করেই কর্তারা বলছেন, প্রায় আড়াই লাখ। তবে এলাকার বাসিন্দাদের পকেটে চাপ পড়ছে না। দেবী এখন বিজ্ঞাপনেন সংস্থিতা...।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.