টুকরো খবর
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত ৩
ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হওয়া এক বাংলাদেশি-সহ ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দু’টি গুলি ভর্তি রিভলভার এবং ভোজালি উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাতে স্বরূপনগর থানার পুলিশ শোনপুর গ্রাম থেকে আলমগীর সর্দার, মামুদ মোল্লা এবং হাড়োয়ার ধর্মতলা থেকে শেখ ছাত্তার নামে এক বাংলাদেশিকে ধরে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত ১টা নাগাদ স্বরূপনগর থানার পুলিশ বিশেষ সূত্রে খবর পায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশে তেঁতুলিয়ার খালপাড় এলাকায় ৮-১০ জনের একটি দুষ্কৃতী দল জড়ো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেললে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বাকিরা পালালেও আলমগীর সর্দার, মামুদ মোল্লাকে গুলি-ভর্তি রিভলভার এবং ভোজালি-সহ ধরে ফেলে পুলিশ। অন্য দিকে, রাত ২টো নাগাদ হাড়োয়া থানার পুলিশ জানতে পারে, বারাসতের কাজিপাড়ায় থাকা এক বাংলাদেশি ধর্মতলা গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে এসেছে। বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। পালানোর চেষ্টা করেও সফল হয়নি ছাত্তার। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে গুলি-ভর্তি ছ’ঘরা একটি রিভলভার উদ্ধার করে। সীমান্ত পেরিয়ে ডাকাতি করতেই সে এ দেশে ঢুকেছিল বলে জেরায় জানতে পেরেছে পুলিশ।

গ্রামে এখনও পুলিশ পিকেট
পুজোর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে এখনও উত্তেজনা আছে সন্দেশখালির ন্যাজাটে। নতুন করে যাতে সংঘর্ষ না বাধে, সে জন্য পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। শনিবার দুই ক্লাবের সদস্যের মধ্যে সংঘর্ষের ধটনায় ৬ জন মহিলা-সহ জখম হন ১২ জন। কয়েক জনকে ভর্তি করা হয় বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশের হস্তক্ষেপে ইতিমধ্যেই রাস্তায় গাড়ি আটকে চাঁদা তোলা বন্ধ হয়েছে। চাঁদার জুলুম রুখতে কড়া নজরদারি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাজাটের দুখিরামপুলের পাশে বসিরহাট-ন্যাজাট রাস্তার ধারে দক্ষিণ আখড়াতলা দুখিরাম স্মৃতি আদিবাসী সঙ্ঘ। গত কয়েক বছর ধরে এই ক্লাবটি জগদ্ধাত্রী পুজো করে। রাস্তার উল্টো দিকে কিছুটা দূরেই হরদাঁড়পাড়া মহামায়া পল্লি উন্নয়ন সঙ্ঘ। তারা দুর্গাপুজো করে। পুজোর আগে দু’টি ক্লাবের সদস্যেরাই রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাঁদা তোলে। তা নিয়েই দিন দু’য়েক আগে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল ছড়ায়। পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে দু’পক্ষ স্থির করেছিল। শনিবার আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন সকালেই ফের দু’পক্ষের মারামারি বাধে। গণ্ডগোল ছড়িয়ে পড়ে দু’টি গ্রামের মানুষের মধ্যেও। লাঠি-রড-ইট নিয়ে দু’পক্ষই একে অন্যের উপকে চড়াও হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

জমির পটল কাটল দুষ্কৃতীরা
এক তৃণমূল কর্মীর প্রায় চার বিঘা জমির পটল কেটে নিল দুষ্কৃতীরা। শনিবার ভোরে বনগাঁ থানার ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের খেদাপাড়ার বাসিন্দা নিতাই বিশ্বাস নামে ওই তৃণমূল কর্মী নিজের খেতে গিয়ে দেখেন, সব পটল গাছ এবং বেশ কয়েকটি কদম গাছ কাটা। এর পরেই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের অনুমান, আগের রাতে ওই কাণ্ড ঘটানো হয়। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নিতাইবাবু বলেন, “রাতের অন্ধকারে কারা এমন ক্ষতি করল বুঝতে পারছি না।” তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন ঘোষ এর পিছনে সিপিএমের লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএম নেতা গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “এই পঞ্চায়েত এলাকায় এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। আমাদের কর্মীদের খেতও নষ্ট হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পাচারকারীরা এমন কাজ করে।”

গেটম্যানকে মার গোপালনগরে
কাজে গাফিলতির অভিযোগ তুলে রেলের এক গেটম্যানকে মারধর করল জনতা। রবিবার সকাল সওয়া ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে গোপালনগরের রামচন্দ্রপুরে। গোপালনগর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ-রানাঘাট শাখার একটি লোকাল ট্রেন সেই সময়ে আসছিল। সিগন্যাল লাল থাকায় ট্রেনটি লেভেল ক্রসিংয়ের কিছুটা আগে থেমে যায়। সেই সময়ে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট খোলা থাকায় একটি যাত্রী বোঝাই বাস পার হচ্ছিল। ট্রেন দেখেও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকায় গেটম্যান লেভেল ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ করেননি, এই অভিযোগ তুলে জনতা তাঁকে মারধর শুরু করেন। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটির একটি ডায়েরি করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বধূ নির্যাতন, ধৃত কনস্টেবল
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করল অশোকনগর থানার পুলিশ। শনিবার রাতে যাদবপুরের আজাদগড়ের বাসিন্দা মণীশ চক্রবর্তী নামে ওই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়। অশোকনগরের মানিকগড়ে মণীশবাবুর শ্বশুরবাড়ি। তাঁর স্ত্রী, আইবি-র কনস্টেবল কেয়াদেবী সম্প্রতি থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করে জানান, মাস ছ’য়েক আগে প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন করে তাঁকে বিয়ে করেন মণীশবাবু। পরে সে কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় কেয়াদেবীর উপরে মণীশবাবু নির্যাতন চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।

নেতাকে খুনের চক্রান্ত, ধৃত
এক তৃণমূল নেতাকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে চাঁদপাড়া রেল স্টেশন এলাকা থেকে বিশ্বনাথ তপাদার এবং রঞ্জিত রায় নামে ওই দু’জনকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা স্থানীয় তিলির মাঠ এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, ওই দু’জন ডুমা পঞ্চায়েত এলাকার এক তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করে। সেই কারণে তারা কল্যাণীর এক দুষ্কৃতীকে কয়েক হাজার টাকা দিয়েছিল। পুলিশ তা জানতে পারে। তৃণমূলের বনগাঁ সংসদীয় এলাকার চেয়ারম্যান গোবিন্দ দাস বলেন, “আমাদের ওই নেতা দলের দক্ষ সংগঠক। তাঁকে খুন করে তৃণমূলকে দুর্বল করা চক্রান্তকারীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল।”

বসিরহাটের স্কুলে জয়ী কংগ্রেস
তৃণমূলের সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ার পরে বসিরহাটে ফের জয় পেল কংগ্রেস। শ্রীনগর আদর্শ পঞ্চপল্লী বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির ভোটে ৬-০ জিতল তারা। সিপিএম ছাড়াও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সমর্থনে আলাদা প্রার্থী ছিল! সম্প্রতি বসিরহাটের একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনেও জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘোড়ারস গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং যুব কংগ্রেস নেতা আব্দুল হান্নান মণ্ডলের বক্তব্য, ওই এলাকায় এমনিতেই কংগ্রেস শক্তিশালী। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই জয়কে তাঁরা তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন।

গুদামে আগুন
ছবি: বিতান ভট্টাচার্য।
আগুনে পুড়ল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া চটকলের একটি গুদাম। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আগুন লাগে। দমকলের ৩টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুজোর আগে চটকলে আগুন লাগার ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। দমকল কর্মীদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল।

‘হুমকি’ ফোন, ধৃত
ফোনে টাকা চেয়ে হুমকির অভিযোগে রবিবার ধরা পড়ল রাজু শেখ ও সইফুল আলম গাজি নামে দুই যুবক। অভিযোগ, কাঁঠালবেড়িয়ার এক ব্যবসায়ীর কাছে ২ লক্ষ টাকা চায় তারা। খুনের হুমকিও দেয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.