রক্ত আনতে গিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে এক বিজেপি নেতা এবং রোগীর লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ ভারপ্রাপ্ত সুপারকে স্মারকলিপি দেন। অভিযোগ, শুক্রবার এক রোগীর জন্য রক্ত নিতে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন পরিবারের লোক এবং ওই নেতা। এক ইউনিট দেওয়া সম্ভব হবে জানিয়ে তাঁদের বলা হয়েছিল হাসপাতালের রোগীদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়তি থাকলে আরও রক্ত দেওয়া হবে। তাঁরা সে কথা না শুনে হইচই করেন। ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। হুমকিও দেওয়া হয়। অভিযুক্ত নেতা নন্দন দাস বলেন, “রক্ত চাইতে রোগীর লোকেরা গিয়েছিলেন। অভিযোগ ঠিক নয়। রক্ত না পাওয়া গেলে তা আবেদন পত্রে উল্লেখ করতে বলা হয়েছিল ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিককে। তা দেখিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রক্ত চাওয়া যেত। তাঁরা রাজি না হলে রোগীর লোকের সঙ্গে তর্ক হয়। ব্লাড ব্যাঙ্কের আধিকারিক, কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি।” তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে রক্ত পেতে সমস্যা হচ্ছে দেখে রোগীর লোক বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত সংগ্রহ করেন। রোগী গুরুতর অসুস্থ থাকায় তাঁর পরিবারের লোক প্রয়োজনে রক্ত চেয়েছিলেন। তাতে আধিকারিকেরা কিছু মনে করলে রোগীর বাড়ির লোকের হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে এসেছেন বলে দাবি করেন নন্দনবাবু। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার মুকুল চন্দ্র রায় বলেন, “চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা অভিযোগ জানিয়েছেন। হাসপাতালের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের রোগীদের চাহিদা মতো রক্ত অনেক ক্ষেত্রে দেওয়া সম্ভব হয় না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।” |