|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
৩০ সেপ্টেম্বর - ৬ অক্টোবর |
|
দামাস্কাস/ইস্তানবুল লন্ডন তেহরান ওয়াশিংটন |
|
আবারও বিশ্বময় হেডলাইন দখল করল সিরিয়া, কিন্তু এ বার অন্য কারণে! গত সপ্তাহের খবর: সিরিয়া তার প্রতিবেশী দেশ তুরস্কের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ! বিরোধীদের ধাওয়া করতে করতেই প্রেসিডেন্ট বাশারের বাহিনী তুরস্ক সীমান্ত অবধি চলে আসে, এবং সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গোলা-হানা শুরু হয়। তুরস্ক কালব্যয় না করে শুরু করে পাল্টা গোলাগুলি। পর পর চার দিন ধরে চলছে এই আক্রমণ-প্রতি-আক্রমণ। পশ্চিম এশিয়ায় কি আর একটি আঞ্চলিক যুদ্ধের সূচনা? সরব আমেরিকা, তুরস্কের পক্ষ নিয়ে। অথচ কিছু কাল আগেও সিরিয়া ও তুরস্ক বন্ধু দেশ ছিল! পাশে ছবিতে তুর্কিদের প্রতিবাদ।
• শেষ পর্যন্ত ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস-এর নির্দেশে ব্রিটেন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর (extradite) করা হচ্ছে আবু হামজাকে। বিশ্বের সেরা সন্ত্রাসবাদীদের অন্যতম তিনি।
• মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঠেলায় ইরানের নয়-দফা প্রস্তাব: ইউরেনিয়াম উৎপাদন কমানো বা নিষ্ক্রিয় করে ফেলার জন্য। সঙ্গে শর্তও একগোছা। মানেনি আমেরিকা। |
• মিট রোমনি। হিরো না ভিলেন? প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে প্রথম বিতর্কে তিনিই জয়ী। কিন্তু যে-ই না তাঁর সমর্থকরা উল্লসিত হতে শুরু করেছেন, অমনি খবর, রোমনি ক্ষমা চেয়েছেন, সে দিন বক্তৃতায় যে যে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন, তার জন্য। “না, ৪৭ শতাংশ নাগরিক আয়কর দেন না, এ তথ্য ভুল, ‘পুরো ভুল’, ক্ষমা চাইছি।” |
|
লন্ডন |
|
লাভ, লাভ মি ডু’। এই অমোঘ ডাক দিয়ে ক্রমে গোটা পৃথিবীর ভালবাসা কুড়িয়ে নিয়েছিলেন তাঁরা। অথচ মজার ব্যাপার, বছর-কুড়ির চার যুবকের প্রথম রেকর্ড করা এই গানটি রিলিজ করার পর কিন্তু জনপ্রিয়তার চার্টে মোটে ১৭-তম স্থানে পৌঁছতে পেরেছিলেন তাঁরা সে দিন। তাঁরা, অর্থাৎ জন লেনন, পল ম্যাকার্টনি, জর্জ হ্যারিসন আর রিঙ্গো স্টার। ১৯৬২ সালের ৫ অক্টোবর রিলিজ করেছিল ‘লাভ মি ডু’। দ্য বিটলস-এর বিশ্বজয়ের সূচনা। পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল। গোটা দুনিয়া মেতেছে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে।
|
আথেন্স |
আন্তোনিস সামারাস গভীর চিন্তায় তাঁর দেশে গণতন্ত্র এর আগে কখনও এত বড় সংকটের সম্মুখীন হয়নি। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী সামারাস হিসেব করে কথা বলার জন্য পরিচিত। তিনি যখন বলছেন, গ্রিসের অবস্থা উইমার রিপাবলিকের শেষ বেলার জার্মানির মতো, তখন তাঁর কথায় গুরুত্ব দেওয়াই ভাল। এই রকম অবস্থা থেকেই জার্মানিতে নাতসিদের উত্থান হয়েছিল। গ্রিসেও নব্য-নাতসি গোল্ডেন ডন পার্টিও ক্রমে শক্তিশালী হচ্ছে। উগ্র দক্ষিণপন্থীদের প্রতি জনসমর্থন বাড়ছে। সামারাসের মতে, বাঁচার একমাত্র উপায় গ্রিসের গলার ঋণের শর্তের ফাঁস খানিক ঢিলে করা। গ্রিসের সরকারি তহবিলে টাকার পরিমাণ বাড়ানো। সামারাস বলেছেন, এটাই শেষ সুযোগ।
|
স্টকহোম |
|
মুশকিলে পড়ে গিয়েছে আইকিয়া, পশ্চিম বিশ্বের অন্যতম বড় ফার্নিচার রিটেল চেন। তাদের ক্যাটালগ বিভিন্ন দেশের প্রচারিত হয়, এ দিকে এক এক দেশের সংস্কৃতি অন্য রকম। তাই সুইডেনের ক্যাটালগে যে ছবি ছেপেছে তারা, সৌদি আরবের ক্যাটালগে সেই ছবি থেকেই মহিলা চরিত্রটিকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। (দুটি ছবি পাশাপাশি) অভিযোগ উঠেছে সাংস্কৃতিক বৈষম্যের, মুসলিম দুনিয়ার চাপের কাছে নতিস্বীকারের। ক্ষমা চেয়েছে আইকিয়া। প্রশ্ন উঠবে, সাংস্কৃতিক বৈষম্য হিসেবে না দেখে ব্যাপারটা সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা হিসেবে দেখা হলে অসুবিধে কী?
|
ইসলামাবাদ |
|
ইমরান খান এখন তাঁর দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের অন্যতম। এবং তাঁর রাজনীতির জীবনরেখা হল আমেরিকা-বিরোধিতা। সুতরাং মার্কিন ড্রোন-আক্রমণনীতির বিরুদ্ধে বিরাট মিছিল নিয়ে ইমরান খান চললেন পশ্চিম পাকিস্তানে, যেখানে মার্কিনবাহিনীর হানার তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। ইসলামাবাদ থেকে তাঁর দল গাড়িতে পৌঁছল দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান, ৩২০ কিলোমিটার রাস্তা। মানবতাবাদী গোষ্ঠীগুলিও যোগ দিল। ইমরান চান, বর্তমান শাসক দল যে মার্কিন সহায়তায় নিজের দেশের মানুষের ‘সর্বনাশ’ করতেই ব্যস্ত, সে কথা প্রতিষ্ঠা করতে।
|
শেষ পাত |
আমার হোটেলটা একটু অন্য রকম হবে। মাত্র চল্লিশটা ঘর। সেই হোটেলের অতিথিদের একটু বেছেবুছে নেওয়া হবে। যেমন ধরুন, চিনাদের ওখানে ঢুকতে দেব না।’ একুশ শতকের পৃথিবীতে এই কথাটা কেউ বলতে পারেন, ভাবা মুশকিল। উঁহু, বর্ণবিদ্বেষের জন্য নয় সে তো আছেই। আজকের দুনিয়ায় চিনকে চটানোর মতো দুঃসাহস দেখানো! ফরাসি ডিজাইনার থিয়েরি গিলিয়ের এই কাজটাই করেছেন। তার পরেই অবশ্য ‘না না, ঠিক ওটা বলতে চাইনি’ মর্মে সংশোধনী দিয়েছেন, কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার, হয়ে গিয়েছে। আর ক’দিন পরেই গোটা দুনিয়ার মালিক হবে যারা, তাদের ঘাঁটানো! |
|
|
|
|
|