বিদেশি লগ্নি
রাষ্ট্রপতি ভবনের জেলে প্রণব, কটাক্ষ সুব্রতর
প্রণব মুখোপাধ্যায়কে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার বিরোধিতা করেছিল তাঁর দল। তখন তিনিও প্রায়ই কটাক্ষ করতেন প্রণববাবুকে। আর শনিবার সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই মনমোহন সিংহের সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বললেন, সংস্কার নীতির সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে একঘরে (শান্টিং) করে রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে!
শনিবার শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির বিরুদ্ধে দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র প্রচারসভায় পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রতবাবুর কটাক্ষ, “প্রণববাবু অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন এফডিআই আনা নিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধ ছিল। সে জন্যই প্রণববাবুকে রাষ্ট্রপতি করে, যাকে রেলের ভাষায় বলে শান্টিং, করে দেওয়া হয়েছে! রাষ্ট্রপতি ভবনের সুসজ্জিত জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রণববাবুকে! আর তার পরেই একের পর এক দেশ-বিরোধী কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী।”
এফডিআই-এর বিরুদ্ধে জনসভায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে। —নিজস্ব চিত্র
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ সফরে প্রণববাবুকে রাজ্য সরকারের সংবর্ধনার দিনেই খুচরো ব্যবসায় এফডিআই অনুমোদনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কথার উল্লেখ করে সুব্রতবাবু এ দিন বলেন, “খুচরো ব্যবসা-সহ বিমা, পেনশন মানুষের সামাজিক সুরক্ষার জায়গায় আঘাত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। একে রুখতে না-পারলে বড় সামাজিক অপরাধ করব।”
এফডিআই-বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানকে সমর্থন করার জন্য সকলের কাছেই খোলা আবেদন জানিয়েছেন সুব্রতবাবু। তাঁর কথায়, “ভোট-যুদ্ধ নয়। এফডিআইয়ের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোটা আমাদের ধর্ম-যুদ্ধ! তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করতে হবে না। দেশ ও মানুষকে বাঁচানোর যে ডাক উনি (মমতা) দিয়েছেন, তাকে সমর্থন করুন।” মনমোহন সরকারকে গদিচ্যুত করতে লোকসভার আগামী অধিবেশনে মমতা যে প্রস্তাব আনতে চান, সেই প্রসঙ্গ এনেই সুব্রতবাবু বলেছেন, “আমাদের সদস্যসংখ্যা (লোকসভায়) ১৯। কিন্তু আর যাঁরা দেশকে ভালবাসেন, তাঁরাও আমাদের প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন, আশা করি। তা হলে জনস্বার্থ-বিরোধী আইনগুলিকে আটকাতে পারব।”
ঘটনাচক্রে, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার সভাপতি বাবুলাল মরান্ডি এ দিনই মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, এফডিআই, গ্যাসের ভর্তুকি ছাঁটাই, পেনশন ও বিমা বিল নিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা তাঁদের আলোচনা হয়।
পরে মরান্ডি বলেন, ইউপিএ সরকার জনবিরোধী নীতি নিয়ে চলছে। সবাই বাইরে-বাইরে প্রতিবাদ করছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মতো কেউই হিম্মত দেখিয়ে সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারেননি। মরান্ডির বক্তব্য, “আমরা সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করতাম। সেই সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এখন সংসদের ভিতরে ও বাইরে আমরা তৃণমূলের সঙ্গে একযোগে কাজ করব।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ও জানান, ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার এখন দু’জন সাংসদ ও ১১ জন বিধায়ক আছেন। দু’দল সংসদের ভিতরে-বাইরে এক সঙ্গে কাজ করবে বলেই মমতা-মরান্ডি আলোচনায় ঠিক হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.