বাজার গরম করার জন্যই খুচরো ব্যবসায় বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগে কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা করে সরে এসে তৃণমূল। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে দলের প্রথম সাধারণ সম্পাদক পি সুন্দরাইয়ার জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। এদিন তিনি একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “২০০২ সালে এনডিএ সরকার খুচরো ব্যবসায় এফডিআই নিয়ে প্রস্তাব আনলে আমরা তার বিরোধিতা করি। প্রথম ইউপিএ সরকারকে আমরা বাইরে থেকে সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু সরকার খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব আনলে বামপন্থীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তার বিরোধিতা করে। এমনকী, সমর্থন প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়।” বিমানবাবু বলেন, “এনডিএ সরকারে মন্ত্রী ছিলেন আজকের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তখন বিরোধিতা করেননি। |
প্রথম ইউপিএ সরকারের সময়ও তিনি এফডিআই নিয়ে কোনও কথা বলেলনি। কিছুদিন আগে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিযোগ নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় বিরোধিতা করেছিলাম। তৃণমূলের কোনও সদস্য আপত্তি তোলেননি। এখন শুধুমাত্র বাজার গরম করার জন্যই আমাদের বই পড়ে আমাদের কথাই আওড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “বর্তমানে তৃণমূল সরকারের কাজে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই মানুষের মন ঘুরিয়ে দিতে বামপন্থীদের কথাই মানুষকে বলছে। তবে জনগন বোঝে কোনটা আসল আর কোনটা নকল।” তৃণমূল গরীব মানুষের বর্গার জমি কেড়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিমানবাবু। তিনি বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম নয়াচরে শিল্প করতে। কিন্তু তৃণমূল তার বিরোধিতা করেছিল। শিল্প হলে বহু বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হতো। শিল্পের বিরোধিতা করে তিনি রাজ্যকে পিছিয়ে দিচ্ছেন।” বিমানবাবু বলেন, “মহাকরনে মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারী ক্লিনটন এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন। কী আলোচনা হল মানুষ তার কিছুই জানতে পারল না। মুখ্যমন্ত্রী যুব উৎসবে মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওবামে এলে কলকাতা উথালপাতাল করে দেব।” তিনি বলছেন, “এই সরকার এখন মা-মাটি-মানুষের কথা কম বলছে। মা এখন ধর্ষিত হচ্ছেন। মাটি হচ্ছে রক্তাক্ত হচ্ছে। এই সরকার দুষ্কৃতীদের সরকার।” |