|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
হাতি পাতি ‘হস্তী’ বরং স্বস্তিকর |
বইপোকা |
খেলার ছলে ষষ্ঠিচরণ যখনতখন যাহা লুফিতেন তাহা কী? সাধারণ সুকুমার-পাঠক বলিবেন হাতি, কিংবা হাতী। বলাটাই স্বাভাবিক। কারণ ইউ রায় অ্যান্ড সন্স-প্রকাশিত প্রথম সংস্করণ আবোল তাবোল হইতে সুকুমার সাহিত্য সমগ্র (আনন্দ), সমগ্র শিশুসাহিত্য (আনন্দ), সুকুমার সমগ্র (দে’জ) আদি প্রায় সকল সুকুমার সমগ্র এবং আবোল তাবোল-এর সংস্করণগুলিতে ‘হাতী’ই আছে। কিন্তু তাহাতে মনটি খচখচ করে। দেহের ওজন যাঁহার উনিশটি মণ, শক্ত যেন লোহার গঠন, কেবল সকালবেলার জলপানিই যাঁহার তিনটি ধামা পেস্তা মেওয়া সেই ষষ্ঠিচরণ কি না তুচ্ছ হাতি লুফিবেন! বিস্ময়চিহ্নে বিস্মিত হইবেন না। খেয়ালরসের কবিতায় শব্দচয়নে খামখেয়াল মোটেই চলে না, প্রতিটি শব্দ ওজন করিয়া বসাইতে হয়। এবং কে না জানে ‘হাতি’ অপেক্ষা ‘হস্তী’র ওজন বেশি? জানিতেন সুকুমারও। সেই কারণে ‘সন্দেশ’ পত্রিকার পাঠে ‘হস্তী’ই আছে। সিগনেট-সংস্করণেও ‘হস্তী’। সিদ্ধার্থ ঘোষ ‘আবোলতাবোল: তখন আর এখন’ শীর্ষক এক প্রবন্ধে ‘হাতি’ পাঠটিকে অশুদ্ধ বলিয়াছেন। উহা অশুদ্ধ নহে, অস্বস্তিকর। কারণ, ষষ্ঠিচরণের পক্ষে হাতি নিছকই পাতি, ‘হস্তী’ লুফিয়াই নিশ্চয় তিনি স্বস্তি পান। এবং তাহাতে, মানিতে হইবে, ছন্দেও স্বস্তি ঘটে। |
|
|
|
|
|