...সময় এল কাছে
রিদেবপুর বিবেকানন্দ অ্যাথলেটিক ক্লাব: এ বছর পুজো ৪১-এ পা দিল। থিম ‘হাতে নিয়ে প্রদীপ, মুখোমুখি ঈশ্বর’। প্রায় ৩৩ হাজার প্রদীপ দিয়ে প্রদীপের শিখার আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। থাকছে পুজোর উপকরণ হাতে প্রায় ১০০-এর মতো মডেল। পাশাপাশি নীল আলোর মায়াবী খেলাও দেখা যাবে।
হরিদেবপুর নবীন সাথী ক্লাব: পুজোর থিম, ‘লড়কি বাঁচাও’। এ বারে ১৩ বছরে পা দিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কন্যাভ্রূণ হত্যা চলছে। দেবী এই অশুভের বিনাশ করবেন। সামঞ্জস্য রেখে আলোকসজ্জা।
সোদপুর আদর্শ সমিতি
হরিদেবপুর নস্করপাড়া পল্লি উন্নয়ন সমিতি: এ বছরে পুজোর থিম ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন ’। তাপমাত্রা বাড়ার ফলে প্রভাব পড়ছে পৃথিবীতে এবং প্রাণীজগতে। সেই দৃশ্যই ধরা পড়বে মণ্ডপসজ্জায়। প্লাই, প্লাস্টার অফ প্যারিস, ফাইবার এবং বিভিন্ন রঙের সমারোহে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। প্রাণীজগতের বিপদে দাঁড়িয়ে দেবী সকলকে শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছেন। প্রতিমা এখানে শান্ত রূপে লাল পাড় শাড়িতে অধিষ্ঠিতা।
সোদপুর আদর্শ সমিতি: ৪৪তম বছরের পুজোর থিম ‘ফিরিয়ে দাও সুখের বাসা।’ গাছ কমে যাওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে অনেক পাখি। পাখিদের বাঁচাতে দরকার গাছ কাটার বিরুদ্ধে জন সচেতনতা বাড়ানো। মণ্ডপসজ্জায় গাছ, পাখির সমারোহ। মণ্ডপের বাইরে গাছ ধ্বংসের ছবি। ভিতরে সবুজের সমারোহ। আদিবাসী মেয়ের রূপে প্রতিমা। মানানসই আলোকসজ্জা।
সোদপুর প্রগতি সঙ্ঘ: ৫৭ বছরের সাবেক পুজো। আলোকসজ্জাও সাবেক।
হরিদেবপুর বিবেকানন্দ অ্যাথলেটিক ক্লাব
কবরডাঙা নবীন সঙ্ঘ: বাঁশ, শালবল্লি আর প্লাস্টার অফ প্যারিস দিয়ে বাংলার ভেঙে পড়া কাল্পনিক এক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। লালচে, বাদামি রং ব্যবহার করা হচ্ছে। সাবেক প্রতিমা ডাকের সাজে সজ্জিতা।
ঠাকুরপুকুর হাঁসপুকুর আমরা সবাই ক্লাব: এ বার পুজো ৪১ বছরে পা দিল। থিম ‘জল ধরো, জল ভরো।’ টিনের মণ্ডপ। চালে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি পড়বে। সেই জল এসে পড়বে মাটিতে, নর্দমায়। কী ভাবে সেই জল নানা কাজে লাগানো হচ্ছে তা এ মণ্ডপে দেখা যাবে।

ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.