‘নো এন্ট্রির’ নির্দেশ উপেক্ষা করে শহরে ঢুকে পড়া একটি ট্রাক্টরকে ধাওয়া করে সেই ট্রাক্টরের ধাক্কায় জখম হলেন ওসি (ট্রাফিক)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ পুরুলিয়া শহরের জিলা স্কুল মোড়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জখম ওই পুলিশ আধিকারিকের নাম সনাতন ঘোষ। তিনি পুরুলিয়া শহরের ওসি ট্রাফিক পদে রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল আটটা থেকে শহরে ভারী যানবাহন ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল উপর নডিহা এলাকার জিলা স্কুল মোড়ের ওই রাস্তা প্রায় শহরের প্রাণকেন্দ্রেই। কাছেই জিলা স্কুল ছাড়াও একাধিক সরকারি, বেসরকারি অফিস ও শহরের মূল বাজার বড়হাট থাকায় ওই রাস্তায় থিকথিকে ভিড় থাকে।
ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) পিনাকি দত্ত বলেন, “ওসি ট্রাফিক সনাতনবাবু ওই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণে নজর রাখছিলেন। হঠাৎ একটি খালি ট্রাক্টর ওই রাস্তায় ঢুকে পড়ে। নিষেধাজ্ঞা না মানায় তিনি ট্রাক্টরটি থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ট্রাক্টরটি না থামিয়ে চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সনাতনবাবু স্কুটারে ট্রাক্টরটির পিছু ধাওয়া করেন। ট্রাক্টরের পাশে তিনি যেতেই স্কুটারটি ট্রাক্টরের নীচে ঢুকে যায়।” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রাক্টরটি সনাতনবাবুকে রাস্তার একপাশে চেপে দেয়। তখনই তিনি চাকার নীচে ঢুকে যান।
দুর্ঘটনার পর প্রথমে সনাতনবাবুকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ ট্রাক্টর চালক হিরালাল মাহাতোকে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি পুরুলিয়া মফস্সল থানার দামদা গ্রামে। পুলিশের দাবি, তাঁর কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না।
অন্যদিকে, শহরে এ ভাবে ‘নো-এন্ট্রির’ নির্দেশ না মেনে ঢুকে পড়া ভারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকার কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাস বলেন, শহরের ট্রাফিক সমস্যার সমাধান নিয়ে জনমত গড়ে তুলেতে আলোচনাসভার প্রয়োজন। পাশাপাশি শহরে গাড়ি রাখার জায়গা চিহ্নিত করা দরকার।” কয়েক মাস আগে ওই রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ঢুকে পড়া একটি লরি এক বালককে পিষে দেয়। তারপরেও দুর্ঘটনা ঘটায় বাসিন্দারা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “নিষেধাজ্ঞা না মেনে এ ভাবে ভারি যান ঢুকে পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।” |