দলীয় দ্বন্দ্বে তালা তৃণমূল কার্যালয়ে
লে দ্বন্দ্ব চলছে অনেক দিন ধরেই। এ বার তার জেরে বন্ধ হয়ে গেল তৃণমূল কার্যালয়। কার্যালয়টি কার ‘নিয়ন্ত্রণে’ থাকবে, তা নিয়েই গোলমাল।
ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা। স্থানীয় খানামোহন গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচগেড়িয়ায় তৃণমূলের এই কার্যালয়টি আপাতত তালাবন্ধ হয়েই রয়েছে। বহু দিন ধরেই রয়েছে এই পার্টি অফিস। আগে ছোট একটি ঘরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা দলের কাজকর্ম করতেন। রাজ্যে পালাবদলের পর নতুন করে কার্যালয়টি তৈরি করা হয়েছে। দেওয়াল তুলে অ্যাসবেসটসের ছাউনি দেওয়া হয়েছে। এই কার্যালয়টি কার ‘নিয়ন্ত্রণে’ থাকবে, তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে। এক দিকে, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিতাই মাইতির অনুগামীরা। অন্য দিকে, দলের ডেবরা ব্লক সভাপতি রতন দে’র অনুগামীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক সময় নিতাইবাবুর অনুগামীরা নিজেদের উদ্যোগে পাঁচগেড়িয়ার এই দলীয় কার্যালয়টি তৈরি করেছিলেন। ক’দিন আগে রতনবাবুর অনুগামীরা কার্যালয়ের চাবি নিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। তারপর থেকে সেটি তালাবন্ধই রয়েছে।
—নিজস্ব চিত্র।
কেন এই পরিস্থিতি? স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান নিতাইবাবু বলেন, “এক সময় স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলেই দলীয় কার্যালয়টি তৈরি করা হয়েছিল। ক’দিন আগে দলেরই কয়েকজন এসে সেটি বন্ধ করে দেন। ব্লক সভাপতির নেতৃত্বেই এ কাজ হয়েছে।” জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছেন? তৃণমূল প্রধানের মন্তব্য, “কাকে আর বলব। ঘটনাটি সকলেই জানেন। দলের এমন ব্যাপার বলতেও খারাপ লাগে।” তবে কার্যালয়টি বন্ধ থাকায় স্থানীয় মানুষের সমস্যা হচ্ছে বলেই মনে করেন নিতাইবাবু। তাঁর কথায়, “স্থানীয়রা এখানে এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতেন। এখন কার্যালয়টি বন্ধ। সমস্যা তো হবেই।”
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রতনবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, কার্যালয়টি এ ভাবে বন্ধ থাকবে না। খোলা হবে। তাঁর বক্তব্য, “স্থানীয় কয়েকজন আমাকে ওই কার্যালয়ের চাবি দিতে চাইছিল না। আমি ব্লক সভাপতি। চাবি আমার কাছে থাকতেই পারে।” ব্লক সভাপতি বলেন, “চাবি আমাদের কাছেই রয়েছে। কার্যালয়টি কারও ব্যক্তিগত নয়, তৃণমূলের। ওখানে দলেরই কাজকর্ম হবে। এ নিয়ে এত হইচইয়ের কী আছে। এটা সামান্য ব্যাপার।”
ডেবরা ব্লকে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতির সঙ্গে দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অলোক আচার্যের ‘বিরোধ’ সুবিদিত। পঞ্চায়েত প্রধান নিতাই মাইতি অলোক-অনুগামী বলে পরিচিত। সেই জন্যই দলের ‘ক্ষমতাসীন’ গোষ্ঠী কার্যালয়টির ‘নিয়ন্ত্রণ’ নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.