অবরোধে শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী |
রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থা নিয়ে আগেই সরব হয়েছে সিপিএম। নলহাটি থেকে মোরগ্রাম পর্যন্ত ২১ কিমি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বুধবার নলহাটি ২ ব্লকের বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিল সিপিএম। এ বার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নারকেলতলা মোড়ে অবরোধ করেন নলহাটি বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শ’খানেক ছাত্রছাত্রী। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। পড়ুয়াদের সঙ্গে সামিল হয়েছিলেন বিদ্যাপীঠের দুই শিক্ষকও। পড়ুয়াদের দাবি যুক্তিসঙ্গত বলে স্বীকারও করেছে পুলিশ। অবরোধে সামিল হওয়া দুই শিক্ষক মহম্মদ আজাদ হোসেন এবং মহম্মদ নৈমুদ্দিন জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য জেরবার হচ্ছে পড়ুয়ারা।” মহম্মদ আজাদ হোসেন বলেন, “শুধু জাতীয় সড়ক নয়, বোলপুর-রাজগ্রাম রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য সময় মতো পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে পারে না। অনেক রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” যদিও অবরোধে ছাত্রছাত্রী-সহ দুই শিক্ষক সামিল হওয়ায় বিস্মিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন কমিটি। প্রধান শিক্ষক লোকনাথ মণ্ডল বলেন, “এটা হওয়া উচিত ছিল না। এ ব্যাপারে পরিচালন কমিটির সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করা হয়েছে।” পরিচালন কমিটির সম্পাদক মহম্মদ নাজিমউদ্দিন বলেন, “এ দিনের কর্মসূচির ব্যাপারে পরিচালন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। আইন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শিক্ষক মহম্মদ আজাদ হোসেনের দাবি, “অবরোধ শুরু হওয়ার সময় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।” অবরোধের পাশাপাশি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা স্মারকলিপি নলহাটি থানার ওসির হাতে তুলে দেন।
|
তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, অভিযোগ |
বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে এক মহিলাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি মঙ্গলবার সন্ধ্যার হলেও নিগৃহীত মহিলা বুধবার মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ওই দিনই পুলিশ ‘মেডিক্যাল টেস্ট’ করানোর জন্য ওই মহিলাকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “পুলিশ দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হাট থেকে বাজার করে হেঁটে গ্রামের দিকে ফিরছিলেন। ওই মহিলার অভিযোগ, “প্রায় দিনই মহম্মদবাজার থেকে কাজ সেরে বা বাজার করে ওই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরি। সেদিনও তাই করছিলাম। মহম্মদবাজার থেকে সামান্য দূরে ফুল্লাইপুর ক্যানালের কাছে একটি মোটর বাইকে তিন যুবক এসে আমার পথ আটকায়। কাছেই একটি পুকুরের পাড়ে নিয়ে গিয়ে আমাকে দু’জন ধর্ষণ করে। আমি বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের আটকাতে পারিনি।” পরে ওই তিন যুবক বাইকে চেপেই মহম্মদবাজারের দিকে পালিয়ে যায় বলে তিনি জানিয়েছেন। বাড়ি ফিরে পরেদিনই তিনি ধর্ষণের অভিযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা অভিযুক্তদের চিনতে পারেননি। তবে প্রত্যেকেরই বয়স ২৫-৩০ বছরের মধ্যে। পুলিশ তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।”
|
রেলের সম্পত্তি বেআইনি ভাবে নিজেদের হেফাজতে রাখার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করল রেল পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বোলপুর আদালতে হাজির করানো হলে এসিজেএম তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে, জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। অভিযুক্তদের আইনজীবী ভাস্কর ঘোষ এবং পার্থসারথি ভট্টাচার্য বলেন, “এসিজেএম পীযূস ঘোষ তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। আগামী ১০ অক্টোবর ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।” সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, “রেলের সম্পত্তি বেআইনি ভাবে নিজেদের হেফাজতে রাখার অভিযোগে বোলপুরের মহিদাপুরের চার বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে রেলপুলিশ।” রেলপুলিশের দাবি, বুধবার পেশায় রাজমিস্ত্রি মহিদাপুরের ওই বাসিন্দারা রেলের পাত নিয়ে পালাচ্ছিলেন। ধাওয়া করে তাঁদের ধরা হয়।
|
কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির ‘দুর্নীতি’র তদন্ত-সহ এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের দাবিতে বৃহস্পতিবার নলহাটি ২ ব্লকের বিডিও-কে স্মারকলিপি দিল তৃণমূল। বিডিও গঙ্গাধর দাস বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ গিয়াসউদ্দিনের অভিযোগ, “এখানে বার্ড ফ্লুতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে।” এলাকার বিদ্যুৎহীন গ্রামগুলিতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, রাস্তা সংস্কার, প্রতিটি বাসিন্দাকে রেশন কার্ড দেওয়া, বিপিএল তালিকার সঠিক সার্ভে প্রভৃতির দাবিও জানান তাঁরা। সংশ্লিষ্ট নলহাটি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কংগ্রেসের বেলাল হোসেন বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবুও তদন্ত হলে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।”
|
ফের অচৈতন্য অবস্থায় এক দম্পতিকে উদ্ধার করল রামপুরহাটের রেলপুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে আপ বর্ধমান-বারহাড়োয়া প্যাসেঞ্জার থেকে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জানে বিবি ও কাউসার শেখ নামে ওই দম্পতির বাড়ি ময়ূরেশ্বরের ডাবুক গ্রামে। তাঁরা বর্ধমানে চিকিৎসা করাতে বুধবার গিয়েছিলেন। চিকিৎসক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মাদক মেশানো খাবার খাওয়ানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তাঁদের অবস্থা ভাল নয়। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।” মাসখানেক আগে রামপুরহাট স্টেশনে মুর্শিদাবাদের দুই দম্পতিকে বেহুঁশ অবস্থায় ট্রেন থেকে নামানো হয়েছিল। রেলপুলিশ সুপার (হাওড়া ডিভিশন) মিলনকান্তি দাস বলেন, “এ দিনের ঘটনার কথা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।” |