টুকরো খবর
নানা দাবিতে সরব ‘ডক বাঁচাও কমিটি’
হলদিয়া বন্দরে পণ্যখালাসের কাজে নিযুক্ত সংস্থা এবিজি’র ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবি জানাল ‘ডক বাঁচাও কমিটি’। বুধবার ওই কমিটির তরফে এক কনভেনশন হয় হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউট সভাঘরে। সেখানে বাম-ডান (তৃণমূল বাদে) চারটি শ্রমিক সংগঠন ও অফিসার্স ফোরাম নিয়ে তৈরি ‘ডক বাঁচাও কমিটি’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সদ্য ‘সাসপেন্ড’ হওয়া বন্দরের আধিকারিক রমাকান্ত বর্মনও। কনভেনশনে রমাকান্তবাবুকে বদলি ও সাসপেন্ড করার নির্দেশ প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে হলদিয়া বন্দরকে বাঁচাতে অবিলম্বে ইডেন চ্যানেল চালু করার দাবি ওঠে। এ দিনও বন্দরের চেয়ারম্যান মণীশ জৈনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন রমাকান্তবাবু। সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমাদের ধারণা চেয়ারম্যান চাপে পড়েই সব কিছু করছেন। যদি তাই হয়ে থাকে, তিনি আমাদের সব বলুন। আমরা ওঁর পাশে থাকব।” হলদিয়া বন্দরে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটাতে আজ, বৃহষ্পতিবার কলকাতায় এক বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ‘ডক বাঁচাও কমিটি’র অন্তর্ভুক্ত চারটি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেখানে এবিজি’র ছাঁটাই হওয়া ২৭৫ জন শ্রমিককে কাজে পুনর্বহালের পাশাপাশি বাকি দাবিগুলোও জানান তাঁরা। এ দিন কনভেনশন চলাকালীন ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের একাংশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা বলতে থাকেন, কাজে পুনর্বহালের দাবিটি যথাযথ ভাবে পেশ করা হচ্ছে না। ‘ডক বাঁচাও কমিটি’ যে বিষয়টি নিয়ে সত্যিই লড়ছে, তা লিখিত ভাবে চান ওই ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকেরা। রমাকান্তবাবুরা তাঁদের আশ্বস্ত করে জানান, এই দাবিটি যথাযথ গুরুত্বই পাচ্ছে।

স্কুলে ঢুকতে বাধা, মারধর
স্কুলে ঢুকতে বাধা দিয়ে মেট্রনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েতের বিষ্ণুদাসপুর বিবেকভারতী বিদ্যামন্দিরে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা-সহ ১০-১২ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে রাতে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বছর তিনেক আগে বাম আমলে স্কুলের মেট্রন পদে কাজে যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আইভি মান্না। চলতি বছর স্কুলের নতুন তৃণমূলের পরিচালন সমিতি ওই নিয়োগে ত্রুটি রয়েছে অভিযোগে স্কুলে আসতে বারণ করে দেন তাঁকে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান আইভিদেবী। হাইকোর্ট পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করে কাজে যোগ দিতে বলেন তাঁকে। সেই মতো মঙ্গলবার স্কুলে আসেন আইভিদেবী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা ও শ্বশুর। অভিযোগ, আইভিদেবী স্কুলে ঢুকে যাওয়ার পরে তাঁর বাবা ও শ্বশুরকে স্কুল চত্বরের বাইরেই মারধর করা হয়। পরে আইভিদেবীকেও তৃণমূলের লোকেরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। প্রহৃত তিন জনকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইভিদেবীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁর বাবা ও শ্বশুর এখনও চিকিৎসাধীন। ঘটনার কথা মেনে নিলেও এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি তৃণমূলের চন্দ্রকোনা ১ ব্লক সভাপতি চিত্ত পালের। তিনি বলেন, “স্কুলের ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ খতিয়ে দেখুক ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ আছে কি না।” পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “হাইকোর্টের রায় মতোই ওনাকে স্কুলে যেতে বলা হয়েছিল। এ দিনের ঘটনা জানি না।”

দুর্ঘটনায় মৃত্যু হোটেল ব্যবসায়ীর
দিঘায় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মোটর সাইকেল আরোহীর। জখম হয়েছেন তাঁর সঙ্গীও। মৃত পরিমল চট্টোপাধ্যায়ের (৪৩) বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলায়। জখম নির্মল বেরার বাড়ি হাওড়ার শ্যামপুরে। বুধবার ভোরে কাঁথি থানার ঘাঁটুয়াতে, দিঘা-কলকাতা সড়কে ওই দু’জনকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পরিমলবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নির্মলবাবুকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পরিমলবাবু দিঘার একটি হোটেল ‘লিজে’ নিয়ে চালাতেন। মঙ্গলবার রাতে হোটেলেরই কর্মী নির্মলবাবুর সঙ্গে দিঘায় যাচ্ছিলেন তিনি। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ খানাখন্দে ভরা রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশের অনুমান।

ধর্ষণের অভিযোগ
ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। বুধবার ওই কিশোরীর বাবা এগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বড়নিহারী গ্রামের অভিযুক্ত পঞ্চাশোর্ধ্ব গৃহশিক্ষক বীরেন দাসকে খুঁজছে পুলিশ। কিশোরীর বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ে ও আরও কয়েকজনকে নিজের বাড়িতেই পড়াতেন ওই শিক্ষক। এর আগেও ওই কিশোরীর শ্লীলতাহানি করেছেন তিনি। ভয়ে এতদিন ওই কিশোরী বাড়িতে কিছু বলেনি। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ওই কিশোরীকে গৃহশিক্ষক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। প্রথমে চুপ করে থাকলেও মঙ্গলবার ওই কিশোরী তার মাকে সমস্ত ঘটনা জানায়। বিষয়টি জানাজানির পরে গ্রামবাসীরা প্রাথমিক ভাবে আলোচনায় বসেন। পুলিশকেও জানানো হয়। পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে।

অনুর্ধ্ব ১৬ ফুটবল
‘পঞ্চায়েত যুব ক্রীড়া অউর খেল অভিযান’-এর অনুর্ধ্ব ১৬ ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। সোমবার এগরা ১ ব্লকের মেগুয়া সুন্দরনারায়ণ হাইস্কুলের মাঠে পাঁচটি স্কুল যোগ দেয় প্রতিযোগিতায়। ফাইনালে মেগুয়া হাইস্কুলকে ১-০ গোলে হারায় ষড়রং তেঁতুলিয়া হাইস্কুল। মঙ্গলবার বিদুরপুর হাইস্কুল মাঠে এগরা ২ ব্লকের আটটি স্কুল প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। ফাইনালে পাহাড়পুর হাইস্কুল ১-০ গোলে বালিঘাই হাইস্কুলকে হারায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.