|
|
|
|
টুকরো খবর |
টানা আন্দোলনে পুরকর্মীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুর-কর্তৃপক্ষের উপর ‘চাপ’ বাড়াতে টানা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করল পুর-কর্মীদের সমন্বয় মঞ্চ। ১ থেকে ৯ অক্টোবর এই কর্মসূচি চলবে। এই সময়ের মধ্যে শহরে পথসভাও হবে। সমন্বয় মঞ্চের এক নেতা বলেন, “শহরবাসীর কাছে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা তুলে ধরতেই পথসভার সিদ্ধান্ত। আমরা পুরসভা অচল করে আন্দোলন করতে পারতাম। তবে তা করছি না। আমরা ধর্মঘটের বিরোধী। তাই পুরসভা সচল রেখে গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” নিজেদের দাবি আদায়ে আন্দোলন জোরদার করতেই সমন্বয় মঞ্চ গড়েছেন পুর-কর্মীদের একাংশ। এতে ডানপন্থী-বামপন্থী, দুই শিবিরের সংগঠন রয়েছে। মেদিনীপুর মিউনিসিপ্যালিটি এমপ্লয়িজ কংগ্রেস (এমএমইসি), মেদিনীপুর মিউনিসিপ্যালিটি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (এমএমইএ) ও মেদিনীপুর মিউনিসিপ্যালিটি এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (এমএমইএফ) এই তিনটি সংগঠন মিলিত ভাবে মঞ্চ তৈরি করেছে। সেপ্টেম্বরের গোড়াতেও মঞ্চের আন্দোলন হয়েছে। পুজোর আগে ফের আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মূলত ছ’দফা দাবিতেই এই আন্দোলন। পুরসভার সামনে বিক্ষোভ-স্লোগান, পথসভা প্রভৃতি রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে শহরের কলেজ মোড়ে পথসভা হবে। ৯ তারিখও একটি পথসভা হবে।
কেন এই আন্দোলন? মঞ্চের নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল-কংগ্রেস জোট পরিচালিত এই পুরসভার অবস্থা রাজ্যে পালাবদলের পরেও বদলায়নি। আগেও পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি নিয়ে দরবার করা হয়েছে। তখন কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার রয়েছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। পালাবদলের পরেও সেই সব সমস্যার সমাধান হয়নি। উল্টে পুরকর্মীদের বঞ্চনা আরও বাড়ছে। অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণেরও দাবি জানিয়েছে মঞ্চ। মঞ্চের তরফে সমীর প্রামাণিক বলেন, “পুরসভায় প্রায় ৪১০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছে। এঁদের স্থায়ীকরণে কোনও উদ্যোগ নেই।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “আমরা অবসরের সময় প্রাপ্য গ্র্যাচুইটির ৫০ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ শুরুতে এখন মাত্র ২৫ হাজার টাকা দেন।” |
শালবনির স্কুলে বিজ্ঞান-প্রদর্শনী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিজ্ঞান প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল শালবনির ব্লকের মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠ ও কলসীভাঙা হাইস্কুলে। সর্বশিক্ষা মিশনের সহায়তায় এবং মেদিনীপুর সায়েন্স সেন্টার উদ্যোগে সোম ও মঙ্গল দু’দিনের এই কর্মসূচির আয়োজন। মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠে প্রবন্ধ, ক্যুইজ, ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা হয়েছে। আশপাশের সাতপাটি, গোয়ালডিহি ও ভাদুতলা হাইস্কুল থেকেও দেড় শতাধিক ছাত্রছাত্রী এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়। প্রদর্শনীতে প্রায় ৪০টি মডেল রাখা হয়েছিল। ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি বিজ্ঞান মনস্ক করতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সায়েন্স সেন্টারের সম্পাদক সুচাঁদ পান। পাশাপাশি, কুসংস্কার বিরোধী একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। মহাকাশ বিষয়ক একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হয়। মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক প্রসূন পড়িয়া বলেন, “এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা তাদের নানা অজানা বিষয় সম্পর্কেও জানতে পেরেছে।” |
ওয়ার্ড-ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ২১ নম্বর
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
নিজস্ব চিত্র। |
শহরে দিনরাতের ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল ২১ নম্বর ওয়ার্ড। মঙ্গলবার রাতে ফাইনালে ১-০ গোলে তারা ২ নম্বর ওয়ার্ডকে হারায়। মেদিনীপুর শহর যুব তৃণমূলের উদ্যোগে গত রবিবার থেকে শহরের কলেজ মাঠে শুরু হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। শহরের ২৪টি ওয়ার্ডের ২৪টি দল যোগ দিয়েছিল। টুর্নামেন্ট উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলেজ মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। শহর যুব তৃণমূলের উদ্যোগে ওই দিন সকালেই বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয়েছে। সফলদের পুরস্কৃতও করা হয়। উপস্থিত ছিলেন তমলুকের সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, শ্রীকান্ত মাহাতো প্রমুখ। রাতে ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় ২১ নম্বর ওয়ার্ড ও ২ নম্বর ওয়ার্ড। যুব তৃণমূলের শহর সভাপতি স্নেহাশিস ভৌমিক বলেন, “বছরভর যাঁরা ফুটবল খেলেন, তাঁদের উৎসাহ দিতেই আমরা এ ধরনের টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি। সকলে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।” আগামী দিনে মেদিনীপুর পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ড থেকে ২৪টি দল বানিয়ে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব তৃণমূলের শহর সভাপতি। |
|
|
|
|
|