রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়তে রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ না করলে, কংগ্রেসই ইচ্ছুক কৃষকদের থেকে জমি কিনবে বলে ফের জানালেন রায়গঞ্জের সাংসদ দীপা দাশমুন্সী। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে দীপাদেবী এ কথা জানান। তিনি বলেন, “হাসপাতাল গড়ার টাকা কেন্দ্র দেবে। রাজ্য জমি অধিগ্রহণ না করলে প্রয়োজনে কংগ্রেস উত্তরবঙ্গ এবং রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে ভিক্ষে করবে। সেই টাকা দিয়ে কৃষকদের থেকে জমি কিনে আমরা সরাসরি দিল্লিতে দরবার করব।” রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়ার দাবিতে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সভা করছে কংগ্রেস। এদিন জলপাইগুড়িতে ওই সভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনিও সভামঞ্চ থেকেই জানিয়ে দেন, প্রদেশ কংগ্রেসও চায় রায়গঞ্জেই হাসপাতাল হোক। যদিও রায়গঞ্জে এইমস ধাঁচের হাসপাতাল নিয়ে আন্দোলনে কংগ্রেসের মধ্যেই মতান্তর তৈরি হয়েছে। এদিনের সভায় জেলার অনান্য বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি দেবপ্রসাদ রায় উপস্থিত ছিলেন না। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “একটা সময় যখন রায়গঞ্জে এইমস নিয়ে রাজ্য সরকারের নেতিবাচক মনোভাব ছিল, তখন আমিও আন্দোলনে ছিলাম। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন জমি দিতে ইচ্ছুকদের সম্মতিপত্র দিলেই তা অধিগ্রহণ করা হবে। তা না করে শুধু জেলায় জেলায় আন্দোলন করে লক্ষ্য পূরণ হবে না।” এই প্রসঙ্গে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি দীপা দেবী। তাঁর কটাক্ষ, “কারও শরীর কংগ্রেসে আছে, আর মন রয়েছে তৃণমূলে। তাঁরা দল থেকে চলে গেলেই ভাল।” কেন্দ্র ও রাজ্যে জোট বিচ্ছেদ্দের পরে এদিন জলপাইগুড়িতে স্পোর্টস কমপ্লেক্স লাগোয়া মাঠে উপচে পড়া ভিড় দেখে খুশি কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। সভায় উপস্থিত কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের প্রদেশ সভাপতি প্রদীপবাবু বলেন, “আপনারা এত মানুষ এসেছেন, তাতেই প্রমাণ যে কংগ্রেসকে কোনওদিন কেউ শেষ করতে পারবে না। এতদিন সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আরও পাঁচটি বছর লড়াই করুন। তার পরে সিপিএম এবং তৃণমূল মুক্ত বাংলা তৈরি হবে।” |