জঙ্গিপুরের লোকসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের দলীয় পর্যবেক্ষক শাকিল আহমেদ। মঙ্গলবার সকালে বহরমপুরে কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। প্রণব মুখোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন জঙ্গিপুরে উন্নয়ন করেছিলেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিজিৎবাবু যোগ্য ব্যক্তি।”
এ দিন অবশ্য মুর্শিদাবাদের দুই সাংসদ অধীর চৌধুরী ও মান্নান হোসেনকে দু’পাশে বসিয়ে শাকিল বলেন, “জেলার তিনটি লোকসভার আসন কংগ্রেসের ছিল। আগামী দিনও কংগ্রেসেরই তিন জন সাংসদ থাকবে।” কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে পর পর আসবেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন রাজ বব্বর এবং গোলাম নবি আজাদ। তবে মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে জেলার কোনও কংগ্রেস সাংসদ রয়েছে কিনা বা জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মনোনীত করা হবে কিনা সে ব্যাপারে স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। শাকিল বলেন, “সাংগঠনিক দিক থেকে অধীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তবে এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রধানমন্ত্রী বা কংগ্রেস অধ্যক্ষ সনিয়াজী নেবেন।” জঙ্গিপুরের লোকসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কোনও প্রার্থী দেয়নি। শাকিল বলেন, “অভিজিৎ সাংসদ হিসেবে উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখবেন বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো প্রার্থী দেয়নি বলেই আমার ধারণা।” জেলা তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আলি বলেন, “ওই উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেশের সময়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের জোট ছিল। তাই জোটের স্বার্থে তৃণমূল ওই লোকসভা কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেয়নি। এ ছাড়াও শেষ মুহূর্তে হয়তো প্রার্থী দেওয়া যেত, কিন্তু রাজনীতির সৌজন্যের কারণে প্রার্থী দেওয়া হয়নি।” এ দিন এফডিআই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি হলে দেশেরই মঙ্গল হবে। আর ২০০২ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার তাদের ‘ভিশন ২০০২’-এ এফডিআই-এর সিদ্ধান্ত নেয়। এখন তারা কোন মুখে এফডিআই-এর বিরোধিতা করে। সেই সময়ে তারা এক তরফা ভাবে এফডিআই-এর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের উপরে চাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে ইউপিএ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেরাজ্য সরকারগুলি চাইলে তার রাজ্যে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি চালু নাও করতে পারে। এ ছাড়া ১০ লক্ষ জনবসতির শহরেই তা চালু করা যাবে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা, বর্ধমান ও আসানসোল ছাড়া রাজ্যের সব মানুষ তার আওতায় পড়বেন না।” |