ফুড কর্পোরেশন সময় মত চাল সরবরাহ করতে না পারায় কোচবিহারের শতাধিক বিদ্যালয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মিডডে মিল প্রকল্প বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোচবিহার সদর, তুফানগঞ্জ, দিনহাটা ও মেখলিগঞ্জ মহকুমার প্রাথমিক এবং হাইস্কুলে স্কুলগুলিতে সমস্যা বেশি। ঘটনায় অভিভাবক মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন খাদ্য সরবরাহ দফতরের থেকে ‘চাল ধার’ নেওয়ার পরিকল্পনা নেয় জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “ফুড কর্পোরেশনের মজুত চাল শেষ হয়ে যাওয়ায় কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে খাদ্য সরবরাহ দফতরের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট স্কুলে যাতে চাল দেওয়া যায়, সে চেষ্টা হচ্ছে।” ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার জেলার এরিয়া ম্যানেজার প্রবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক আন্দোলন ঘিরে সমস্যায় গত দুই মাস পর্যাপ্ত চাল আনা যায়নি। মজুত চাল ফুরিয়েছে। সিউড়ি থেকে চালের রেক আসছে। কাল, বুধবার ডিস্ট্রিবিউটরদের ওই চাল দেওয়া হবে।” কোচবিহারে প্রাথমিক ও হাইস্কুল মিলিয়ে দুই হাজারের বেশি স্কুল রয়েছে। ওই সব স্কুলের তিন লক্ষাধিক পড়ুয়ার মিডডে মিলের জন্য প্রতিমাসে গড়ে সাড়ে ৫ হাজার কুইন্টাল চাল দরকার হয়। ফুড কর্পোরেশনের ডিস্ট্রিবিউটরেরা তা স্কুলে পৌঁছে দেন। ২-৩ দিন সময় লাগে। গত অগস্ট এবং সেপ্টেম্বর থেকে চালের সমস্যা ধীরে ধীরে শুরু হয়। গত এক সপ্তাহ আগে ফুড কর্পোরেশনে চাল শেষ হওয়াতেই সমস্যা বাড়ে। তুফানগঞ্জের গোবিন্দপুর সুভাষিনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজয় দাস বলেন, “চাল ফুরিয়ে যাওয়ার পরে নতুন বরাদ্দ না মেলায় দশ দিন ধরে মিড ডে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি” একই ভাবে মারুগঞ্জের পূর্ব মরাডাঙা প্রাথমিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক নাজমল হক বলেন, “২১ সেপ্টেম্বর থেকে মিড ডে চালাতে পারছি না। প্রশাসনকে জানিয়েছি।” এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের ক্ষোভ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে। সোমবার চিলাখানা জুনিয়র বেসিক স্কুলে মিডডে মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে প্রধান শিক্ষিকা রমা দেব জানিয়েছেন। দিনহাটা শোনিদেবী জৈন হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক অজিত সাহা বলেন, “দুই সপ্তাহ মিডডে মিল বন্ধ। চাল পাইনি।” |