জুয়াড়িদের ‘অভিশাপ’ উডসকে
শেষ লড়াইয়ে নাটকীয় জয় ইউরোপের
বিশ্বজুড়ে জুয়াড়ি এবং গল্ফপ্রেমীরা ধরেই নিয়েছিলেন, রাইডার কাপ যেতে চলেছে আমেরিকায়। কিন্তু শেষ দিন ইউরোপের গল্ফারদের অসম্ভবকে সম্ভব করার লড়াইয়ে রাইডার কাপ পাড়ি দিল ইউরোপে।
তবে দিনটা স্মরণীয় হয়ে রইল টাইগার উডসের স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের জন্য!
আগের দিন আমেরিকা এগিয়ে ছিল ১০-৬। শেষ দিন ররি ম্যাকইলরয়-ইয়ান পল্টাররা পরপর জিতে শেষ পর্যন্ত রাইডার কাপ দখলে নেন ১৪.৫-১৩.৫ ফলে। শেষ লড়াইয়ে যখন উডস এবং ইউরোপের ফ্রান্সেস্কো মোলিনারি মুখোমুখি হচ্ছেন তখনই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল টুর্নামেন্টের ভাগ্য। কিন্তু এই লড়াইয়ে টাইগার উডস হয়ে গেলেন ১৯৮৭-এর কোর্টনি ওয়ালশ। ’৮৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপে কোর্টনি ওয়ালশ যে রকম স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখিয়ে রান আউট করেননি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া আব্দুল কাদিরকে। ম্যাচও হেরে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রায় সে রকমই নজির গড়েছেন উডস। উডসের সামনে সুযোগ ছিল এই লড়াইটা জিতে ১৪-১৪ ড্র করে ফেলার। উডস মাত্র তিন ফুট দূরত্বে পাট মিস করেন। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খেলোয়াড়োচিত মনোভাব দেখিয়ে তিনি মোলিনারিকে একই দূরত্ব থেকে পাট করতে বাধ্য করেননি। ফলে সেই ‘হোল’ চলে যায় ইউরোপের দখলে। সেই সঙ্গে রাইডার কাপও সরাসরি চলে যায় ইউরোপের অধিনায়ক হোসে মারিয়া ওলাজাবালের হাতে। যদিও ড্র থাকলেও কাপ ইউরোপই জিতত। কারণ, আগের বারের ট্রফিও জিতেছিল ইউরোপ।
রাইডার কাপের শেষে হাল্কা মেজাজে ম্যাকইলরয়-উডস।
এই হারে আমেরিকানদের মতোই ক্ষিপ্ত দুই মহাদেশের জুয়াড়িরাও। উডসের মহানুভবতাকে চুলোয় পাঠিয়ে শাপ-শাপান্তও চলছে। ৩৯তম রাইডার কাপ শেষ দিনের আগে যে জায়গায় ছিল তাতে মনে হয়েছিল আমেরিকার জয় নিশ্চিত। জুয়াড়িরা সেই অনুযায়ী বাজি ধরেন দুই মহাদেশেই। কিন্তু শেষ দিন ইউরোপিয়ানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে চাকা ঘুরতে থাকে ম্যাকিলরয়-পল্টারদের দিকে। শেষ পর্যন্ত আমেরিকার হারে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয় বেটিং সংস্থাগুলোর। ক্ষতির পরিমাণ নাকি ৬৫০ হাজার পাউন্ড। যা দাঁড়াচ্ছে, এই মুহূর্তে টাইগার আর কোনও বুকিরই বন্ধু নয়!

বিদায় বাংলার
তুমুল লড়াই করলেন ঋদ্ধিমান সাহা, সন্দীপন দাস ও দেবব্রত দাস। তিনজনে মিলে বাংলার স্কোরবোর্ডে দিলেন ২২২ রান। ভারত ‘বি’-র তোলা ৩২৮ (চেতেশ্বর পূজারা ১২৪, মুরলী বিজয় ৯৩) রানের বেশ কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিল বাংলা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ৩০৭-এ গিয়েই থেমে গেল বিজয় হাজারে ট্রফি চ্যাম্পিয়নরা। চ্যালেঞ্জার্স ট্রফি থেকে বিদায় বাংলার। সন্দীপন দাসের পাঁচ উইকেটও কাজে এল না। জলে গেল বাংলা অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহার (১১৬)। রান পান সন্দীপন দাসও (৫৭)। দেবব্রত ৪৯ রান করে একটা শেষ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।

সুরভির ত্রিমুকুট
বি এম চট্টরাজ টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে দক্ষিণ কলকাতা ডিস্ট্রিক্টের সুরভি পাটওয়ারি সিনিয়র মেয়ে, জুনিয়র এবং সাব জুনিয়রতিন বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হলেন। দ্বিমুকুট পেয়েছে হুগলির বিমান পাত্র, সাব জুনিয়র ও ক্যাডেট বালকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে। বিভিন্ন বিভাগে সেরা হয়েছেন সুমিত দাস, শোভন কোলে, ইরানি দত্ত, উপায়ন ভট্টাচার্য ও অঙ্কিতা দাস।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.