...গন্ধ এসেছে হোয়াইট হাউসে উঁকি

বালি উত্তরপল্লি সর্বজনীন (নব যুব সঙ্ঘ):
৬৪তম বর্ষের এই পুজোর ভাবনা, ‘পদ্ম’। অকাল বোধনে ১০৮টি পদ্ম ব্যবহারের গল্পকে ভিত্তি করে পরিবেশবান্ধব মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। চার ধারের দেওয়াল জুড়ে ১০৮টি ফাইবারের পদ্ম। ঢুকেই দেখা যাবে তির দিয়ে রাম নিজের চোখ তুলতে যাচ্ছেন। পদ্মের উপরে প্রতিমা।

বালি দেশবন্ধু ক্লাব সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি: নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে ঢোকা যাবে বিধানসভা ভবনে। বারান্দায় মনীষীদের ছবি ঝোলানো থাকবে। ভিতরে প্রতিমা। ভিতরে ঢোকা-বেরনো ও ঘোরার প্রতিটি মুহূর্ত ধরা পড়বে গোপন ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরায়।
বসছে মেলাও।

বালি বাদামতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি: রাজস্থানের শিল্প, স্থাপত্য ফুটে উঠবে ৫৫তম বর্ষের কাল্পনিক মণ্ডপে। বিশেষ আকর্ষণ সোনালি রঙের জাফরির কারুকার্য। কুমোরটুলির প্রতিমার সাজও রাজস্থানী ঘরানার।

বালি ব্যারাকপুর সর্বজনীন: দেবরাজ ইন্দ্রের রাজ-দরবার এ বার হাজির হচ্ছে বেলুড় পালঘাট লেন ঘোষেস লেনে। দেবরাজ ছাড়াও থাকবেন প্লাস্টার অফ প্যারিসে তৈরি অন্যান্য দেবতাও। কৃষ্ণনগরে তৈরি প্রতিমা। নবমীর দিন ৫১ কেজি চালের অন্নকূট আর ৫১ রকমের পদ এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

বেলুড় নিস্কো হাউজিং সর্বজনীন: সম্পূর্ণ বাঁশের তৈরি ৩৫ ফুট উচ্চতার তিতুমিরের বাঁশের কেল্লায় ঢোকার আগে খাল পেরোতে হবে। খালে থাকবে কুমির। দোতলায় দেখা মিলবে নানা ঘরের। সেখানে টাঙ্গি, ঢাল, বল্লম, তির-ধনুকের মতো অস্ত্র দেখা যাবে। পাহারা দেবেন রক্ষী। নেমে দেখা যাবে প্রতিমা। চালচিত্র বাঁশের।

ষষ্ঠীতলা সেবা সমিতি: বালি সাঁপুইপাড়ার এই পুজোর ভাবনা ‘বন্দেমাতরম’। খড়ের চালাঘরে ৩৫ জন মহাপুরুষের ছবি। স্বাধীনতার ইতিহাসের লেখা দিয়ে সাজানো হবে মণ্ডপের চারধার। মাঝে অশোকস্তম্ভ। চট, মাদুর, কুলো, খড়, বাঁশ দিয়ে তৈরি চারচালার মূল মণ্ডপে ভারতমাতারূপী প্রতিমা। থাকবে প্রদীপের আলো।

নেতাজি সঙ্ঘ: বালির পূর্ব সাঁপুইপাড়ার এই পুজোর থিম ‘স্বর্গরাজ্য’। সিংহদুয়ার পেরিয়ে মেঘের মধ্য দিয়ে উঠতে হবে প্রায় ২০ ফুট। সেখানে দেবরাজ ইন্দ্রের সভায় দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাবে পরী, অপ্সরারা। অপ্সরাদের নৃত্য দেখার পরেই দেখা মিলবে অস্ত্রবিহীন দেবীর। দেবীর দশ হাতেই থাকবে পদ্ম।

শান্তিনগর সর্বজনীন: বালি শান্তিনগর সেবা সমিতি পরিচালিত এই পুজোর ভাবনা ‘বিশ্ব শান্তি’। গেরুয়া কাপড়ে তৈরি কাল্পনিক মণ্ডপে ডাকের সাজের একচালার সাবেক প্রতিমা। ভিতরে যামিনী রায়ের আঁকার প্রতিলিপি, ঝিনুক, পুঁতির কারুকার্যে ভরা।
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
কুমিল্লাপাড়া পল্লিমঙ্গল সমিতি: জয়পুরের চন্দ্রমহলের আদলে তৈরি হবে ৬২তম বর্ষের মণ্ডপ। মাদুরকাঠির কারুকার্যে সাজানো মণ্ডপ। সিলিংয়ে থাকবে মাদুরকাঠির ঝাড়লন্ঠন। কৃষ্ণনগরের প্রতিমার টেরাকোটার সাজ।

সাঁপুইপাড়া বালক সঙ্ঘ: ১২ নম্বর পোলের কাছে জলাশয়ের উপরে হোয়াইট হাউসের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে।

নিশ্চিন্দা বারোয়ারি: রাজবাড়ির নাটমন্দির উঠে আসবে এই পুজোর মণ্ডপে। ডাকের সাজের সাবেক প্রতিমা। রাজবাড়ির সিংহদুয়ার টপকে ভিতরে ঢোকা যাবে। ফোয়ারা ও নানা পুরনো জিনিস দেখে উঠতে হবে নাটমন্দিরে। বড় তালপাতার পাখা হাতে থাকবেন দু’জন জীবন্ত মডেল। থাকছে স্বামীজির জীবনের
উপর প্রদর্শনী।

ঘোষপাড়া সর্বজনীন: তিরুপতির মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। বাইরে দেব-দেবীর প্রায় দু’শোটি ছোট-বড় মূর্তি। ভিতরে কাঠের কারুকার্য করা ঝাড়লন্ঠন। মণ্ডপের দেওয়ালে থাকবে রামায়ণের নানা কাহিনির আঁকা ছবি।

সাঁপুইপাড়া নবযুব সঙ্ঘ (সাবর্ণী আশ্রম): পুরুলিয়ার গ্রামের আদলে মণ্ডপ। ছো নাচ ও রামায়ণের একটি অংশের অভিনয়েরও ব্যবস্থা করা হবে। সাবেক ধাঁচের একচালার প্রতিমা।

ডনবসকো বিবেকানন্দ সম্মিলনী: থিম ‘হিমাচল প্রদেশ’। পাথুরে পথ বেয়ে উঠতে হবে প্রায় ১২ ফুট। তার পরে নামতে হবে উপত্যকায়। থাকবে সাতটি পাথরের মন্দির। মূল মন্দিরে থাকবে আট-হাতের শেরাওয়ালি।

ঘোষপাড়া কিশোর ভারতী অগ্রণী: শুধু থিম নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই মূল আকষর্ণ। পুজোর টাকা বাঁচিয়ে বস্ত্র দান, বাউল গানের আয়োজন করা হবে। সাবেক প্রতিমা।

মহাকালী সেবা সঙ্ঘ (ঘুসুড়ি বাজার): বিহার ও বাংলার শিল্পের মিশ্রণে তৈরি মণ্ডপ। মধুবনী শিল্প, পট, টেরাকোটা দিয়ে সেজে উঠবে মণ্ডপ। থাকবে বাউল, ভোজপুরি গান।

লিলুয়া মিতালী সঙ্ঘ: ঘাসের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে পুরো মণ্ডপই তৈরি হবে ঘাস দিয়ে।

এ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য পুজোগুলির মধ্যে আছে বেলুড় রাজেন শেঠ লেন পল্লি দুর্গোৎসব কমিটি, বেলুড় বাস্তুহারা কলোনি, সাঁপুইপাড়া রবীন্দ্রপল্লি কল্যাণ সমিতি, ঘুসুড়ি প্রজেক্ট সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.