সেই ছোটবেলা থেকে এই একটা শহর দেখার আমার সবচেয়ে বেশি সাধ ছিল।
লন্ডন।
ইওরোপের বিভিন্ন জায়গায় শ্যুটিং করার সময় বারবার মনে হয়েছে, কবে লন্ডনে শ্যুটিং করব? এবার ‘চ্যালেঞ্জ ২’-এর শ্যুটিং করতে গিয়ে সেই সাধ অবশেষে মিটল। ছিলাম প্রায় ন’ দিন। আর বিশ্বাস করুন এত মজা খুব কম আউটডোরে করেছি।
শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমরা সবাই টিউবে করে লন্ডনের বিভিন্ন জায়গা দেখতে চলে যেতাম। পিকাডেলি সার্কাস, ট্রাফালগার স্কোয়ার, লাল ডবল ডেকার বাস, লন্ডন আইকিছুই বাদ দিইনি। এমনিতে আমরা থাকতাম হিথরো এয়ারপোর্টের কাছেই একটা হোটেলে। প্রত্যেকদিন রাতে পার্টি করে মেট্রো চড়ে হিথরো ফেরার মধ্যে একটা
দারুণ থ্রিল ছিল। |
রাতের লন্ডন যেন আরও মায়াবী। শুধু দু’টো জিনিস প্ল্যান করে গিয়েছিলাম, কিন্তু সময়ের অভাবে যেতে পারিনি। একটা লর্ডস, আর একটা ওভাল। তবে পরের বার ওগুলো যে মিস করব না, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
এই প্রথম বিদেশে গিয়ে আমার কিন্তু মনে হয়নি যে, আমি বিদেশে আছি। লন্ডনে এত ভারতীয় আর বাংলাদেশি, যে মনে হচ্ছিল কলকাতাতেই শ্যুটিং করছি।
আর সত্যি বলছি, লন্ডনে গিয়ে আমি রিয়েলাইজ করেছি বাংলা ছবি নিয়ে লোকের মনে কতটা আগ্রহ আর উৎসাহ। কারণ লন্ডন মেট্রোতে কী শ্যুটিংয়ে অনেক অটোগ্রাফ দিয়েছি, প্রচুর ছবি তুলেছি ফ্যানদের সঙ্গে।
বাংলা ছবির হিরো হয়ে লন্ডনে ফ্যানদের অটোগ্রাফ দেওয়া আমার জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত তো বটেই। |