টুকরো খবর
পুজোর আগেই শেষ করতে হবে রাস্তা মেরামতি
সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো শুক্রবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন, পুজোর আগে বৃহত্তর কলকাতার সব রাস্তা মেরামতির কাজ শেষ করা হবে। এ জন্য রাস্তার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিন পুরমন্ত্রী ও মেয়র ফের বৈঠক করে পর্যালোচনা করবেন। শহরে কত সংখ্যক রাস্তা বেহাল অবস্থায় আছে? সরকারের নির্দেশে পুলিশের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৬০টি রাস্তায় ছোট-বড় সংস্কারের কাজ করতে হবে। এর অর্ধেকের (৩১টি রাস্তা) মেরামতির দায়িত্বে কলকাতা পুরসভা। বাকি রাস্তার সংস্কার করবে কেএমডিএ (৫টি রাস্তা), কলকাতা বন্দর (৬টি রাস্তা), রাজ্য পূর্ত দফতর (১২টি রাস্তা), ট্রাম কোম্পানি (৫টি রাস্তা) এবং রেল (১টি রাস্তা)। এই সব ক’টি সংস্থার কর্তাদের নিয়ে এ দিন মহাকরণে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মহাকরণ সূত্রে খবর, মাত্র কয়েক দিন আগে কলকাতার রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে পুরমন্ত্রী ও মেয়রের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁদের বলেন, “রাস্তা মেরামতির দায়িত্বে যে সংস্থাই থাক, পুজোর আগে সব সারাই করতে হবে। আমি এর অন্যথা চাই না।” ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, দশ দিনের মধ্যে সব রাস্তার মেরামতির কাজ শেষ করতে হবে। কাজ ঠিক মতো হল কি না, ৯ অক্টোবর বৈঠক করে তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে।” যে রাস্তাগুলি মেরামত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার অধিকাংশেরই ‘প্যাচ ওয়ার্ক’ করতে হবে। কিছু রাস্তায় পিচ ফেলতে হবে। পুরমন্ত্রী জানান, কলকাতা বন্দরের অধীনের রাস্তাগুলি মেরামত করবে পুরসভা। এ জন্য প্রয়োজনীয় খরচ মেটাবে তারাই। পাশাপাশি, খিদিরপুরে সুইং সেতু মেরামতির কাজেও হাত দেওয়া হবে। যৌথ ভাবে এর খরচ দেবে রেল, কলকাতা বন্দর এবং নগরোন্নয়ন দফতর। কিন্তু এতগুলি রাস্তা মেরামতির কাজ কী দশ দিনে শেষ করা সম্ভব? পুরমন্ত্রীর জবাব, “বৈঠকে বিভিন্ন সংস্থার কর্তারা জানান, বেশির ভাগ রাস্তার কাজই হয়ে গিয়েছে। বাকিটা সময়সীমা মেনেই হবে।”

রাস্তা সম্প্রসারণে উঠল কোর্টের স্থগিতাদেশ
মহেশতলা থেকে জিঞ্জিরা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার রাস্তার সম্প্রসারণ ও তার পাশ দিয়ে জলের পাইপলাইন বসানোর কাজে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার তা প্রত্যাহার করে রাজ্য সরকারকে কাজ শুরুর নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। ওই অঞ্চলের দোকানদারেরা হাইকোর্টে মামলা করে জানিয়েছিলেন, তারা দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করছেন। জমি তাঁদের বা তাঁরা কেউ কেউ ভাড়াটে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন ছাড়াই জেলাশাসক তাঁদের উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছেন। এ দিন শুনানির পরে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে হওয়া এই কাজ জনস্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই অঞ্চলে যে ভাবে নগরায়ণ হয়েছে, তাতে রাস্তার সম্প্রসারণ না হলে এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হবে। আবেদনকারীরাই যে জমির মালিক, তাঁদের পক্ষ থেকে তেমন নথি হাইকোর্টে পেশ করা হয়নি। কয়েক জনের কাছে রয়েছে পুরসভার থেকে পাওয়া ট্রেড লাইসেন্স। কোর্টের অভিমত, ট্রেড লাইসেন্স থাকা মানেই তাঁরা জমির মালিক বা ভাড়াটে প্রমাণ হয় না। একমাত্র জমির মালিক বা ভাড়াটে হলেই ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের প্রশ্ন ওঠে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই রাস্তাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। সেটি সম্প্রসারণ না হওয়ায় সারাদিন তীব্র যানজট লেগে থাকে। এ ছাড়াও, ওই অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিস্রুত ও পর্যাপ্ত জল সরবরাহের জন্য বড় ব্যাসের পাইপ বসাতে হবে। শুনানির পরে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আর রইল না। তবে যদি কোনও ব্যক্তির জমি প্রকল্প এলাকায় থাকে, তিনি আদালতে দেওয়ানি মামলা করতে পারেন।

রাজভবনের পথে বাধা, ক্ষোভ পথেই
রাজ্যপালের কাছে দাবি জানাতে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হল সিপিআইয়ের যুব সংগঠন এআইওয়াইএফ-কে। পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, একগুচ্ছ দাবিতে বৃহস্পতিবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল শেষে রাজভবনে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের মিছিলে বাধা দেয় এবং প্রতিবাদ করলে কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি গৌতম রায়, রাজ্য সম্পাদক তাপসকুমার সিংহেরা নির্ধারিত সময়ে অবশ্য রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের বিশেষ সচিবের কাছে দাবিপত্র দিয়ে এ দিনের ঘটনার কথা জানান। পুলিশি আচরণের প্রতিবাদে পরে মৌলালি মোড়ে পথ অবরোধও করে এআইওয়াইএফ। তার আগে সাংসদ বরুণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আর এক বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলও রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সঙ্গে দেখা করে। কোচবিহারের সিতাইয়ে স্কুল পরিচালন কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের হাতে ফ ব সমর্থকেরা কী ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, সরেজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে এসে তারই রিপোর্ট রাজ্যপালকে জানাতে গিয়েছিলেন ফ ব রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পাঁচ সদস্য। তাঁদের দাবি, স্কুল কমিটির নির্বাচনেও রাজনীতির এমন দাপটের কথা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল।

ছাত্রকে ঠেলে ফেলে মার, ধৃত গাড়িচালক
এক পড়ুয়াকে মারধর করে স্কুলগাড়ি থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল ওই গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে আলিপুরে। অভিযুক্ত গাড়িচালক রামপ্রসাদ হালদারকে পুলিশ শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করে। পরে আদালত তাকে জামিন দেয়। পুলিশ জানায়, গোপালনগর নব রায় লেনের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ সেনের ১১ বছরের ছেলে ঋতম বালিগঞ্জ প্লেসের পাঠভবনের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। ওই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গাড়িতে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঋতম এক বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল। রামপ্রসাদ রেগে গিয়ে ঋতমের কলার ধরে গাড়ির সামনে টেনে আনে। ওই ছাত্রকে মারধর করে সে গোপালনগর মোড়ের কাছে ঠেলে ফেলে দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় তার ব্যাগটিও। ইন্দ্রজিৎবাবু বলেন, “এক প্রতিবেশী ছেলেকে উদ্ধার করেন। তার পরেই আলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করি।”

মিউটেশনে যাচাই সরকারি সার্টিফিকেটও
একটি সরকারি দফতরের নামে বার করা জাল ‘নো অবজেক্শন’ সার্টিফিকেট কিছুদিন আগে উদ্ধার করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা মৎস্য দফতরের আধিকারিকেরা। মিউটেশনের জন্য সেগুলি কলকাতা পুরসভায় জমা দেওয়া হতে পারে আঁচ করে দু’দিন আগে পুর-কর্তৃপক্ষের হাতে সব তুলে দেন তাঁরা। তাতেই টনক নড়ে পুর-কর্তাদের। জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে মিউটেশন রুখতে শুক্রবার মেয়র পারিষদদের বৈঠক হয়। মেয়র পারিষদ (কর-মূল্যায়ন) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “এতকাল মিউটেশনে সরকারি সার্টিফিকেট যাচাই করা হত না। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বার থেকে তা-ও সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে যাচাই করা হবে।” ফলে ‘ওয়ান টাইম’ মিউটেশনেও কিছুটা বিলম্ব হবে বলে জানান তিনি। পুর সূত্রে খবর, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৬২ ও ৫৬৩ প্লটে ১৪১ জনের কাছে জাল ‘নো-অবজেক্শন’ মিলেছে।

দু’টি দুর্ঘটনা, মৃত ২
দু’টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। বৃহস্পতিবার, রুবি মোড় ও বাইপাসের ভিআইপি বাজারে। প্রথমটিতে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় মানিক চক্রবর্তী (৪২) নামে এক ব্যক্তির। অন্য ঘটনাটিতে বাসের ধাক্কায় মারা যায় অনিশা সিংহ (১০) নামে এক বালিকা।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানায়, শুক্রবার বেলেঘাটার বাসিন্দা সুশান্ত দাস (১৫) নামে ওই যুবক বাড়িতে কাজ করার সময়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

কারখানায় আগুন
গ্যাস লিক করে আগুন লেগে পুড়ে গেল একটি গয়না তৈরির কারখানা। শুক্রবার, শশীভূষণ দে স্ট্রিটে। জখম হন তিন কর্মী। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এক ঘণ্টায় আগুন নেভায়। মলয় মিত্র, বিবেক মল্লিক ও তপন মিত্র নামে ওই তিন কর্মী মেডিক্যালে ভর্তি।

সদ্যোজাত স্থিতিশীল
সল্টলেকের সিএ ব্লকে ঝোপ থেকে উদ্ধার হওয়া সদ্যোজাত এখন স্থিতিশীল। শুক্রবার এন আর এস হাসপাতাল সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। বুধবার ক্ষতবিক্ষত শিশুটিকে উদ্ধার করেন দুই গ্রিন পুলিশকর্মী।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.