রাতভর তারস্বরে গান হইহুল্লোড় করার অভিযোগে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের ছাত্রদের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ জানালেন শহরের সিঙ্গাতলার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাতে ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি শোনার পরেই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছাত্রদের ডেকে সতর্ক করেছেন। পাশাপাশি তাঁদের অভিভাবকদেরও ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ উচ্ছ্বল ভদ্র বলেন, “বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, হস্টেলে ছাত্ররা গভীর রাত পর্যন্ত গান বাজনা করছে। তাঁরা রাতে ঘুমোতে পারেননি। আমি এ সব বরদাস্ত করব না। ছাত্রদের সতর্ক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের অভিভাবকদেরও ডাকা হচ্ছে।” প্রয়োজনে হস্টেল খালি করে দেওয়া হতে পারে বলেও অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। আর জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি দেখছি।” মালদহ মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া ইংরেজবাজার পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিঙ্গাতলা ও পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দারের অভিযোগ, প্রতিদিন সন্ধ্যার পরেই মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাত্ররা তাণ্ডব শুরু করেন। প্রথমে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে নাচ শুরু হয়। তার পরে চিৎকার করে দান। এমনকী, বাড়ির জানলায় টর্চের আলো ফেলা হয়। ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করতে পারছে না। কয়েকজন বাসিন্দার কথায়, “এই সব বন্ধ করার জন্য অধ্যক্ষকে বলা হয়েছিল। কিন্তু কিছু হয়নি। উল্টে হস্টেলের কিছু ছাত্র এসে শাসিয়ে গিয়েছে।” গত মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ হস্টেলে গান বাজনা, চেঁচামেচি শুরু হয়। তা শেষ পর্যন্ত না থামায় সিঙ্গাতলার ৭০-৮০ জন বাসিন্দা ইংরেজবাজার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, “রাতে ওঁদের আচরণে বাড়ির জানলা খোলা যায় না। ছাত্ররা হস্টেলের জানলা খুলে অশ্লীল ভাবে নাচানাচি করে। পুলিশ বা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কী ভাবে এ সব বন্ধ করতে হয় তা দেখিয়ে দেওয়া হবে।” বাসিন্দাদের তোলা অভিযোগের সঙ্গে একমত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রমাপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায়। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের তান্ডবে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনও ছাত্রদের সংযত না করলে যে কোনওদিন বড় গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।” |