তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন তো বীরেন্দ্র সহবাগ? সেই প্রশ্নের জবাব আজ পাওয়া গেল বীরুর ব্যাট থেকে।
ভারতীয় নেটে আজ আবার দেখা গেল সেই পুরনো সহবাগ-ঝড়। কিন্তু এই ঝড় একই সঙ্গে স্বস্তি এবং অস্বস্তিতে ফেলে দিল ভারত অধিনায়ককে। তাঁর বিস্ফোরক ওপেনারের ফর্মে ফেরাটা অবশ্যই স্বস্তির খবর ধোনির কাছে। কিন্তু সহবাগ সুস্থ হওয়া মানে আবার উঠে আসছে সেই পুরনো প্রশ্ন: তা হলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের কম্বিনেশন কী হবে? আপাতত যা ইঙ্গিত, সহবাগকে টিমে ঢোকাতে হলে ধোনিকে সেই সাত ব্যাটসম্যান-চার বোলারের ছকে ফিরতে হচ্ছে। অর্থাৎ তিন স্পিনার খেলিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে আটকানোর ফর্মুলা আর কাজে লাগানো যাবে না।
এ দিন সবার আগে আজ যাঁকে নেটে ঢুকতে দেখা যায় তাঁর নাম সহবাগ। অনেক ভারতীয় ক্রিকেটার তখন পর্যন্ত কিট ব্যাগই কাঁধ থেকে নামাতে পারেননি। সহবাগ প্রথমে চলে যান স্পিনারদের নেটে। |
বেছে নেন পীযূষ চাওলাকে। চাওলার বেশ কয়েকটি বল উড়ে যায় বাউন্ডারি লাইনের কাছে। সহবাগের ২৫ মিনিট ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হয়নি কোনও রকম অস্বস্তিতে আছেন বলে।
অস্ট্রেলিয়া শিবির থেকেও এ দিন আবার বলে দেওয়া হল, সহবাগের অফ ফর্ম বলে নাকি কিছু হয় না। বক্তা মাইক হাসি। হাসি এ দিন বলেন, “কখনও বলব না বীরেন্দ্র সহবাগের অফ ফর্ম চলছে। ওর আবার অফ ফর্ম বলে কিছু হয় না কি?” কেন এ রকম বলছেন? হাসির ব্যাখ্যা, “ও হয়তো কয়েকটা ইনিংসে রান পাবে না, কিন্তু তখনই বোঝা যাবে সহবাগ বড় রানের দিকেই এগোচ্ছে। আর ও যখন বড় রান করে, তখন খুব তাড়াতাড়িই সেটা করে।”
সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে অবশ্য ভারতের জন্য একটা ভাল খবর থাকছে। আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারানোর পর আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ভারত উঠে এসেছে তিন নম্বরে। একেবারে সাত নম্বর থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকা রয়ে গিয়েছে এক নম্বরেই। টি-টোয়েন্টির ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের থেকে প্রথম দশে রয়েছেন শুধু সুরেশ রায়না। |