শান্তিনিকেতনে আমার বাস যে পাড়ায় তার নাম অবনপল্লি। জায়গাটি রতনপল্লির উত্তর পূর্ব দিকে। পূর্বপল্লির উত্তরে। অধিকাংশ বাসিন্দাই বিশ্বভারতীর বর্তমান প্রাক্তন অধ্যাপক- কর্মী। কিছু বাইরের বিশিষ্টজন। হাজার কয়েক স্থায়ী বাসিন্দার অনেকেই প্রবীণ ও অবসরপ্রাপ্ত। আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে পাড়ার প্রবীণরা নামকরণ করেছিলেন অবনপল্লি। কারণ এখানে শিল্পাচার্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র অলোকেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি। পাড়ার সকলেই ভারতের নাগরিক। বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় পাড়ার জন্মলগ্ন থেকেই এখানকার মানুষজন নাগরিক পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। যাতায়াতের রাস্তাঘাট দুর্গম। কোনও সংস্কার হয় না। রাতে আলো নেই। মাঝেমধ্যেই চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। রাতে প্রবীণ নাগরিকদের বাইরে বের হওয়া বিপজ্জনক। বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে শুনে আসছি এই অঞ্চল বিশ্বভারতী না পুরসভা না পঞ্চায়েত, কারও অধীনে নয়। |
অথচ এর অনেক পরে শ্যামবাটি, সীমান্তপল্লি, নব গুরুপল্লি পাড়াগুলি পুরসভা বা পঞ্চায়েতের অধীনে হওয়ায় সেখানকার মানুষজনের এ সমস্যা নেই। প্রাক্তন সাংসদ ও এসএসডি-র সভাপতি সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় জার্মান প্রকল্পে জলের ব্যবস্থা করায় সেই সুবিধাটুকু সকলের সঙ্গে অবনপল্লির মানুষও পেয়ে আসছেন। বর্তমানে এই অঞ্চল এসএসডি-র অধীনে হওয়ায় তাঁদের তরফ থেকেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে নাগরিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বর্ষায়। রাস্তার চতুর্দিকে খানাখন্দে জমা জলে পথ চলাই দায়। এ প্রসঙ্গে জানাই শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ জন্মলগ্ন থেকে শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন পল্লির অধিবাসীদের নিয়ে গঠিত বিশ্বভারতী অঞ্চল আবাসিক সমিতির সভাপতি এসএসডি-র কার্যকরী সমিতির সদস্য হয়ে আসছিলেন। বিগত কয়েক বছর আমিও শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলাম। বর্তমানে তা আর মান্যতা না পাওয়ায় আবাসিক সমিতির পক্ষ থেকে কথা বলার সুযোগ নেই। আমার সময়ে এস এস ডি-র সভায় আমি যত বার এই অঞ্চলের দুরবস্থার কথা তুলেছি প্রতিবারেই আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে এই অঞ্চল রূপপুর পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সরকারি নোটিফিকেশন জারি হয়েছে, শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। তা আজও বিশবাঁও জলে। আমরা যে তিমিরে ছিলাম সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি। মাননীয়া সভাপতি শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ, আমরা এখনও আপনার অধীনে। তাই আপনাকে বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করছি।
সুব্রত সেন মজুমদার। অবনপল্লি, শান্তিনিকেতন।
|
উত্তরপ্রদেশে সীতাপুর জেলার বসন্তপুর গ্রামে এক মৃতদেহের আচ্ছাদনবস্ত্র পা দিয়ে সরাতে দেখা গেল এক পুলিশ আধিকারিককে। পিটিআই-এর তোলা ওই ছবি দেখে আতঙ্কিত হলাম (আঃবাঃ ১৯/৭)। এ হল মানবতার চরমতম অবমাননা। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই কিন্তু সমস্যার মূলে পৌঁছনো যাবে না। আসলে পুলিশের মধ্যে মানবতা ও মানবাধিকার সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা না-থাকার কারণেই এমন ঘটনা ঘটে। আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত না-হওয়া অবধি একজন ব্যক্তি অভিযুক্তই থাকে, অপরাধী নয়। কিন্তু অভিযুক্তদের প্রতি পুলিশ হামেশাই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অমানবিক আচরণ করে থাকে। সমগ্র দেশের পুলিশ বাহিনীকে মানবতা তথা মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলা প্রয়োজন।
কাজী আসফাক আহমেদ। দোস্তপুর, দঃ ২৪ পরগনা।
|
ঝাড়গ্রাম মহকুমার প্রতিটি ব্লকেই সে রকম নির্দিষ্ট কোনও জল নিকাশি ড্রেন না থাকায়, সামান্য বৃষ্টিতেই উপচে পড়া জলে রাস্তাঘাট পরিপূর্ণ হয়ে বইতে থাকে। এতে সাধারণ মানুষজনের চরম ভোগান্তি ঘটে। এর যথাযথ সুরাহা না হলে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেবে, সে কথা বলা-ই বাহুল্য।
অশোক মল্লিক। নতুনডিহি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম
|