আচমকাই বেল বাজিয়ে দরজায় হাজির অতিথি ! আর সেই অপ্রত্যাশিত আগমনের জেরেই বাড়ি থেকে সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের সাড়া ফেলে দেওয়া টুইট, “আমার বাড়িতে কে এসেছিল জানো? একজন অসাধারণ ক্রিকেটার। আমার খুব কাছের বন্ধু ! ” সচিনের সেই ‘কাছের’ বন্ধুটি কে? টি -২০ বিশ্বকাপের ভরা বাজারে তাঁকে খুঁজতে অবশ্য হয়রান হতে হয়নি সংবাদমাধ্যমকে। ‘আধুনিক ডন’ ফেসবুক এবং টুইটারে ত্রিনিদাদের সেই বন্ধুর সঙ্গে তোলা ছবিও আপলোড করে দিয়েছেন। যে ছবিতে সচিনের কাঁধে হাত, হাসিমুখে পোজ দিয়েছেন ব্রায়ান লারা।শনিবার রাতে হঠাৎই পেরি ক্রস রোডে সচিনের বাংলো ‘লা মের’-এ হাজির হয়েছিলেন লারা। তাঁকে দেখে বেশ আপ্লুত হয়ে পড়েন সচিন। খানাপিনার সঙ্গে দেদার আড্ডা দেন এক সময়ের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। আজকের বন্ধু।দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনে লারা -সচিন সম্পর্ক ‘তেরি জিত মেরি জিত’ মার্কা। গোটা দেশে যখন সচিনের অবসর নিয়ে হাজারো বিতর্ক তখন দিন কয়েক আগেই বন্ধুর সমর্থনে লারা বলেছিলেন, “এখনও দু -তিন বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলার রসদ মজুদ সচিনের মধ্যে।” যদিও শনিবার রাতে লা মের -এ দুই নক্ষত্রের মহামিলন সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি ত্রিনিদাদের ক্রিকেট রাজপুত্র।
|
অলিম্পিকের ব্যর্থতা বিশ্বকাপের আসরেই কাটিয়ে উঠলেন দীপিকা কুমারী। টোকিওয় অনুষ্ঠিত তিরন্দাজি বিশ্বকাপে এ দিন রুপো জিতলেন রাঁচির অষ্টাদশী। ভারতীয় মেয়েদের মধ্যে বিশ্বকাপের মঞ্চে এর থেকে বড় কৃতিত্ব আছে আর একমাত্র দোলা বন্দোপাধ্যায়ের। ২০০৭ সালে দুবাই বিশ্বকাপে সোনা জিতেছিলেন দোলা। এ দিন ফাইনালে লড়াইটা ছিল বিশ্বের এক নম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বো বে কি বনাম বিশ্বের দু’নম্বর দীপিকা। এবং সেই লড়াইয়ে খুব অল্পের জন্য হারলেন ভারতীয় মেয়ে। স্কোর হল বো বে কি -র পক্ষে ৬ -৪। তবে লন্ডন অলিম্পিকের সোনাজয়ী সঙ্গে দীপিকা প্রতি রাউন্ডে টক্কর দিলেন সামনে -সমানে। শেষ রাউন্ডের লড়াইয়ে দীপিকাকে যেখানে ১০ পয়েন্টর লক্ষ্যভেদ করতে হতো, সেখানে ৭ পয়েন্টে পান তিনি। আর ৯ পয়েন্ট মেরে অলিম্পিকের পর বিশ্বকাপেও সোনা জিতে নেন বো বে কি।
|
এশীয় ট্যুরে চলতি মরসুমে সেরা পারফরম্যান্স করলেন শিব কপূর। এশিয়া-প্যাসিফিক প্যানাসনিক ওপেনে চতুর্থ স্থানে শেষ করলেন তিনি। পুরস্কার মূল্যে জিতলেন আশি হাজার মার্কিন ডলার। যার জোরে এশীয় ট্যুরের অর্ডার অব মেরিট তালিকায় ২২ থেকে উঠে এলেন ১১ নম্বরেও। “আমি খুশি। পরপর চারটে দারুণ রাউন্ড খেলতে পেরে ভাল লাগছে,” মরসুমে নিজের সবচেয়ে বড় পুরস্কার-চেক হাতে নিয়ে বলেন শিব। সঙ্গে যোগ করেছেন, “নিজের কাছে কিছু প্রমাণ করার ছিল এখানে। গত কয়েকটা টুর্নামেন্টে ভাল শুরু করলেও শেষটা ভাল হচ্ছিল না। এখানে চারটে রাউন্ডেই ফর্ম ধরে রেখে খেলতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি।” চার রাউন্ডে ৬৭, ৬৮, ৬৯ এবং ৬৭ স্কোর করে শিব শেষ করলেন ১৩ আন্ডার ২৭১ মোট স্কোরে। ভারতীয় গল্ফার আত্মসমালোচনার সুরে বলেছেন, “চেয়েছিলাম অন্তত ১৫-আন্ডার স্কোর রাখতে। সেটা পারলে খেতাব জেতার লড়াইয়ে থাকা যেত। কিন্তু শেষ হোল-এর মুখে এসে আমার পাট-টা আটকে গেল। একটুর জন্য পারলাম না। তবে গল্ফে এ সব মেনে নিতেই হয়।” এই নিয়ে এ বছর দ্বিতীয় বার কোনও টুর্নামেন্টে সেরা পাঁচে থাকলেন শিব। প্যানাসনিক ওপেন জিতে নিলেন চতুর্থ রাউন্ডে শিবের জুড়িদার এবং নয়-আন্ডার ৬২ স্কোর করে সাড়া ফেলা জাপানের মাসানোরি কোবিয়াশি।
|
দুরন্ত লড়েও এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে রুস্তম আক্রামভের উজবেকিস্তানের কাছে ২-৩ হারল কলিন টোলের ভারত। রবিবার ম্যাচের শুরুতেই আট মিনিটের মাথায় রক্ষণের দুর্বলতায় গোল করে যান উজবেকিস্তানের মুখিদ্দিন। বিরতির পর ১-১ করেন উত্তম রাই। কিছু পর ইব্রোখিমের গোলে ১-২ পিছোয় ভারত। ফের উত্তমের গোলে ২-২ হলেও শেষ দিকে উজবেকদের পক্ষে জয়সূচক গোল করেন আব্দুলাইয়েভ। মঙ্গলবার ভারতের পরবর্তী ম্যাচ সিরিয়ার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এই প্রতিযোগিতার প্রথম চার দল আগামী বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে।
|
লক্ষ্য নিজেদের মাঠে আই লিগের ম্যাচ আয়োজন। সেটা মাথায় রেখেই মাঠে ফ্লাড লাইট বসাতে উদ্যোগী হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ময়দান সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে বলে ফ্লাড লাইট বসাতে তাদের ছাড়পত্র দরকার। কর্তারা ছাড়পত্র চেয়ে ইতিমধ্যেই ফোটর্র্ উইলিয়ামে চিঠি দিয়েছেন। স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ প্রায় শেষ। তাই কর্তারা এ বার নজর দিয়েছেন ফ্লাড লাইট বসানোর কাজে। অপেক্ষা শুধু সামরিক বাহিনীর অনুমতির। রবিবার ইস্টবেঙ্গলের বার্ষিক সাধারণ সভায় এটাই ছিল প্রধান বিষয়।
|
ইরানি ট্রফির তৃতীয় দিনে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ভাল জায়গায় অবশিষ্ট ভারত। মুরলী বিজয়ের ২৬৬ -র সৌজন্যে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৩১১ রানে এগিয়ে তারা। প্রথম ইনিংসে রাজস্থান ২৫৩ রানে অল আউট হয়। জবাবে অবশিষ্ট ভারতকে টানেন বিজয়। অবশিষ্ট ভারত প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ৬০৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান আপাতত ৪৩ -১।
|
মোহনবাগান: মহমেডান (শিলিগুড়ি, ৭-০০), এয়ার ইন্ডিয়া: চার্চিল ব্রাদার্স (৩-০০)
প্রয়াগ ইউনাইটেড: ইউনাইটেড সিকিম (জামশেদপুর, ৩-০০), সালগাওকর: পুণে এফসি (৩-০০) |