ফের আটকে গেল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ।
শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের আমডাঙায় জমি পরিদর্শন ও মাপজোকের কাজে গেলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের বাধা দেন বাসিন্দা ও দোকানিরা। বেলা ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা রাস্তা অবরোধও করেন তাঁরা। জেলার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “মাপজোকের কাজে যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এক জায়গায় অবরোধ হলেও পুলিশ তা তুলে দেয়।” ততক্ষণে অবশ্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি এবং ইঞ্জিনিয়ারেরা ফিরে গিয়েছেন।
কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে। কাজ শুরুর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কয়েক বার বৈঠক করলেও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা মেটেনি। জমি চিহ্নিত করে কোন কোন জমি অধিগ্রহণ করা হবে, সম্প্রতি তার নোটিস দেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। |
এ দিন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও ইঞ্জিনিয়াররা জমি পরিদর্শন করে খুঁটি পুঁততে যান। কিন্তু বারাসতের শুড়িপুকুর থেকে নদিয়ার জাগুলিয়ার আগে প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশের দোকানি ও বাসিন্দাদের নিয়ে তৈরি ‘ভূমি ও ব্যবসা রক্ষা কমিটি’ কাজে বাধা দেয়। সন্তোষপুর, কামদেবপুর এলাকায় কিছু খুঁটি উপড়ে ফেলা হয়। বাসিন্দা ও দোকানিদের বক্তব্য, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আগে তা জানাতে হবে। তা না হলে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করতে দেওয়া হবে না। জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, ১৬টি মৌজায় কাজ চললেও এখানেই বারবার বাধা আসছে। এখানেও সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু জমি মাপজোক করতে না দিলে সেই ব্যবস্থা হবে কী ভাবে? এ ব্যাপারে তৃণমূল পরিচালিত আমডাঙা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালিদাসী প্রামাণিক বলেন, ‘‘এ দিন সাধনপুর, আদহাটার মতো এলাকায় মাপজোকের কাজ ভালই হয়েছে। আমিও সেখানে ছিলাম। কিন্তু পরে শুনেছি কয়েক জায়গায় বাধা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে আন্দোকারীদের দাবি সঙ্গত। তবে রাস্তার কাজও তো বন্ধ হতে দেওয়া যায় না। সব দিকই বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।” |