সিন্ডিকেট-দৌরাত্ম্যে লাগাম টানতে এ বার জনতাকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তোপ দাগলেন প্রোমোটার-রাজের বিরুদ্ধেও। আম জনতার উদ্দেশে তিনি বললেন, “এ সব চলতে দেবেন না। যে পার্টির নেতাই হোক না কেন, কাউকে ছাড়বেন না।’’ শনিবার উত্তর কলকাতার টালায় এক জল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই বক্তৃতায় এ দিন বারবার ফিরে এসেছে সিন্ডিকেট ও প্রোমোটার চক্রের বিরোধিতা। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক বার জোর করে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। তাতে আটকে পড়েছে সরকারি কাজও। কখনও কখনও সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কিছু কিছু প্রোমোটারের গ্রাসে শহরের সবুজ ধ্বংস হচ্ছে। আর তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিন্ডিকেটের দাপট। জোর করে ওদের মাল নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।” এই সব কাজ রুখে দিতে সাধারণ মানুষকেই এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি। এ দিন মমতার বক্তৃতায় উঠে এসেছে শহরের সৌন্দর্যায়নের প্রসঙ্গও। দলীয় কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এলাকায় ঘুরুন। কোথায় সবুজ নষ্ট হচ্ছে, রাস্তাঘাট খারাপ হয়ে আছে সে সব দেখুন।” শহরের সৌন্দর্য তুলে ধরতে তিনি হরিশ মুখার্জি রোডের উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “সেখানে যে ভাবে কাজ হয়েছে, সারা শহর সে ভাবে সাজাতে পারলে কলকাতার ‘শ্রী’ বাড়বে।
|
রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি তোলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে তৃণমূল। অথচ, সরকারি পরিবহণ থেকে ভর্তুকি তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সেই ভর্তুকি তোলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। শনিবার রানি রাসমণি রোডে প্রতিবাদ সভা করে আইএনটিইউসি। সরকারি পরিবহণ থেকে ভর্তুকি তোলার প্রতিবাদে তারা রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপিও দেয়। আইএনটিইউসির প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার পরিবহণের উপর থেকে ভর্তুকি তোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ভর্তুকি না তোলার জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।” পরিবহণ কর্মীদের ছাঁটাই না করা এবং অবসরের পরেই তাঁদের পেনশন দেওয়ারও দাবি জানান প্রদীপবাবু। |