টুকরো খবর
ক্ষতিপূরণ দিতে রায়
অস্ত্রোপচারের সময় এক বিএসএফ অফিসারের স্ত্রীর একটি চোখ খারাপ করার অভিযোগে মালদহের চক্ষু চিকিৎসক দীপক চট্টোপাধ্যায়কে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিদের্শ দিল মালদহের ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। শুক্রবার মালদহ ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে বিচারকদ্বয় অজুর্নপ্রসাদ গুপ্ত ও কৃষ্ণপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় একমাসের মধ্যে ওই চিকিৎসককে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নিদের্শ দিয়েছেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক দীপক চট্টেপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে আবেদন করব। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের নারায়ণপুরে থাকাকালীন ৬৯ ব্যাটালিয়ানের বিএসএফের সাব ইন্সপেক্টর মিথিলেশ সাকসেনা’র স্ত্রীর ডান চোখে ছানি পড়ে। ছানি অপারেশন করার জন্য তিনি দীপকবাবুর কাছে যান। ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর অপারেশন পর থেকেই চোখে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাঁকে কলকাতার একটি নাসিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জানানো হয়, চোখটি অনেকটাই নষ্ট হয়েছে। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। পরে ২০১০ সালে ৪ মার্চ ওই বিএসএফ অফিসার ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন। প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে মামলা চলার পর শুক্রবার ক্রেতা সুরক্ষা আদালত রায় ঘোষণা করেন।

স্কুলের উদ্যোগে ডেঙ্গি সচেতনতা
স্কুল ছাত্রছাত্রীদের ডেঙ্গি সম্পর্কে সচেতন করতে এক শিবির হল বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমিতে। শুক্রবার দুপুরের এই শিবিরে এসেছিলেন বেলদার বিএমওএইচ আশিস মণ্ডল। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরাই শিবিরে ছিল। জেলার বিভিন্ন এলাকাতেই এ বার ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২০৬। এঁদের সকলেই বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ডেঙ্গি আক্রান্তের চিকিৎসা হয়েছে বেলদা ব্লক হাসপাতালেও। অভিযোগ উঠেছিল, ডেঙ্গি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য দফতর গোড়ায় তৎপর না হওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই রোগ ছড়ায়। স্বাস্থ্য দফতরের অবশ্য বক্তব্য, সচেতনতায় নানা কর্মসূচি হয়েছে। গঙ্গাধর অ্যাকাডেমির ইকো ক্লাবের উদ্যোগে ডেঙ্গি সচেতনতা শিবির হয়। প্রধান শিক্ষক ননীগোপাল শীট বলেন, “মশাবাহিত এই রোগ সম্পর্কে পড়ুয়াদের সচেতন করতেই শিবির।” স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “এখনও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি।”

অ্যাম্বুল্যান্স দান
বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে বলরামপুরের বাঁশগড় গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স দিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। শুক্রবার অ্যাম্বুল্যান্সটি আনুষ্ঠানিক ভাবে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, বিধায়ক নেপাল মাহাতোর বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে অযোধ্যা পাহাড়ে সম্প্রতি দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্সটি পাহাড়ের নীচে বাঘমুণ্ডিতে নিয়ে রাখায় এলাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নেপালবাবুর আশ্বাস, “ওই অ্যাম্বুলেন্সটি অযোধ্যা পাহাড়ের বাসিন্দের জন্যই দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো করানো ও চালক পরিবর্তন হওয়ায় বাঘমুণ্ডিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শীঘ্রই পাহাড়ে পাঠানো হবে।”

নিরাপত্তা দাবি চিকিৎসকদের
জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসকদের প্রোগ্রেসিভ ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন। শুক্রবার দুপুরে সংগঠনের এক প্রতিনিধিদল হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দেখা করে ওই দাবি জানায়। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, গাফিলতির অভিযোগে চিকিৎসকেরা অভিযুক্ত হন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তদন্তের পর দেখা যায় চিকিৎসকদের দোষ নেই। কিন্তু রোগীর পরিবারের লোকজনের একাংশ হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে চিকিৎসকদের একাংশকে নানাভাবে হেনস্তা করেন। হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। সংগঠনের দাবি, কোনও ঘটনা ঘটলে তা তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, ‘স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশেরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।”

ডেঙ্গি নিয়ে শিবির
ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা শিবির হল কালনায়।
ডেঙ্গি নিয়ে পুরবাসীদের সচেতন করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালনা পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিবির করল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ছিলেন কালনার এসিএমওএইচ সুভাষচন্দ্র মণ্ডল, মহকুমা হাসপাতাল সুপার অভিরূপ মণ্ডল, কালনা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ গোস্বামী, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু প্রমুখ। অভিরূপবাবু জানান, সরকারি ভাবে রোগীদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাঁর আশ্বাস, “জেলা ও মহকুমা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রয়েছে।”

খাদ্যে বিষক্রিয়া
ঝালওয়ার ও চিতোরগড়ে ঋষি পঞ্চমীর প্রসাদ খেয়ে বিষক্রিয়ার অসুস্থ হলেন শতাধিক লোক। তাঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা বেশি।

স্বাস্থ্য শিবির
শুক্রবার একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছিল দুবরাজপুরের জনকল্যাণ সমিতি নামে একটি ক্লাব। আয়োজক ক্লাবের পক্ষে জানা গিয়েছে, দু’জন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রায় ২০০ রোগী দেখেছেন। বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.