জাতীয় রাজনীতির টানাপোড়েনের মধ্যেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জন্য একগুচ্ছ উপহার ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাইঘাটার ঠাকুরনগর হাইস্কুল মাঠে প্রস্তাবিত প্রমথরঞ্জন ঠাকুর সরকারি কলেজের শিলান্যাস করতে শুক্রবার গাইঘাটায় আসেন তিনি। শিলান্যাস সহ জনসভাটি হয় গাইঘাটার ঠাকুরনগর হাইস্কুল মাঠে।
প্রস্তাবিত কলেজটির কাজ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের শয্যা ১৫০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ করা হবে। এছাড়াও তিনি জানান, সারা রাজ্য মোট ৩৭ টি মাল্টিসুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে একটি হবে বনগাঁতে। এর শয্যা সংখ্যা হবে ২১ টি। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদিন সত্যিই ছিলেন কল্পতরু! জেলার স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা, ভাটপাড়া সহ মোট ৭ টি স্টেট জেনারেল হাসপাতালের উন্নতির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। |
তিনি আরও বলেন, হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তৈরি করা হবে ব্লাড ব্যাঙ্ক এবং বারাসাত জেলা হাসপাতালে হবে আইসিউ ও থ্যালাসেমিয়া ইউনিট। গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় ১৫ শয্যা বিশিষ্ট গ্রামীণ হাসপাতালকে ৩০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের জন্যও সুখবর এনেছিলেন মমতা। জেলার প্রতিটি ব্লকে একটি করে আইটিআই এবং প্রতিটি মহকুমায় একটি করে পলিটেকনিক কলেজ তৈরি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কাজীপাড়ায় হাজী মহসীনের নামে সংখ্যালঘু মহিলাদের জন্য একটি স্কুল ও প্রসঙ্গত, বনগাঁয় ইতিমধ্যেই পলিটেকনিক কলেজের জন্য জমি দেখার কাজ শুরু হয়েছে। আয়লা বিধ্বস্ত এলাকার উন্নতির জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে তিনি জানান। মিঁনাখাতে একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথাও তিনি ঘোষনা করেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস, উদাস্তু ও পূর্ণবাসন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর সহ উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়কেরা। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই প্রস্তাবিত কলেজটির ক্লাস শুরু হবে। আপাতত ঠাকুরনগর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী ক্লাসের পরিকাঠামো প্রদান করতে রাজি হয়েছেন।
মমতার আজকের ঘোষণাগুলি রূপায়িত হয়ে জেলার চেহারা বদলাবে কিনা সেটা অবশ্য ভরিষ্যত বলবে। |