|
জবরদখলকারী হঠাতে অভিযান শীঘ্রই
গত ৩১ অগস্ট কাঁথি পুরসভার সভাকক্ষে আনন্দবাজারের পাঠকদের
মুখোমুখি হয়েছিলেন পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী। নানা দাবি-দাওয়া,
প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় ওঠে আলোচনায়। সঞ্চালনায় সুব্রত গুহ।
বাছাই প্রশ্নোত্তরের শেষ পর্ব আজ। |
|
• দোকানপাট গজিয়ে ওঠায় ঘিঞ্জি পরিবেশ। ভিড়ে যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। এছাড়া বাস ঘোরাতে জায়গার অভাবে হিমসিম খেতে হয় চালকদের। পুরসভা এখনই কোনও ব্যবস্থা না নিলে যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
শিবরাম মাইতি, পরিবহণ শ্রমিক নেতা।
পুরসভার নজরে রয়েছে বিষয়টি। বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকেই পুরসভার পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে জবরদখলকারী দোকানগুলি উচ্ছেদের জন্য অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
|
• কাঁথি শহরে বিভিন্ন মনীষীর নামে রাস্তার নাম রয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মসার্ধশতবর্ষে তাঁর নামে শহরের একটি রাস্তার নামকরণ করলে ভাল হয়।
সোমনাথ দাস, শিক্ষক।
খুবই ভাল প্রস্তাব। বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে।
|
• কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে অনেক দূরদুরান্ত থেকে রোগীরা আসেন। কিন্তু রোগীর পরিজনদের প্রতীক্ষালয়ের অভাবে খোলা আকাশের নিচে রোদ, বৃষ্টির মধ্যে অপেক্ষা করতে হয়। পুরসভা একটি প্রতীক্ষালয়ের ব্যবস্থা করলে সমস্যার সুরাহা হয়।
সৌরভ দাস, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী।
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের মানোন্নয়নে ইতিমধ্যেই প্রাক্তন সাংসদ শিশির অধিকারী ও বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী তাঁদের এলাকা উন্নয়নের তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করেছেন। এছাড়া বিধায়ক তহবিলের টাকায় প্রতীক্ষালয় নির্মাণের কাজও শুরু করা হয়েছে।
|
• কাঁথিতে যথেষ্ট সংস্কৃতি চর্চা হলেও শহরে সেরকম কোনও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নেই। সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাঁথি শহরে পুরসভার উদ্যোগে একটি আধুনিক মানের সাংস্কৃতিক ভবন নির্মাণ করা দরকার।
অমলেন্দুবিকাশ জানা, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
শহরে বীরেন্দ্র মেমোরিয়াল টাউন হল আছে। তবে, আরও একটি উচ্চ মানের সাংস্কৃতিক ভবন নির্মাণ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পুরসভা ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের যৌথ উদ্যোগে এই সাংস্কৃতিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
|
• কাঁথি শহরে কোনও উদ্যান বা পার্ক নেই। শহরের মধ্যে যদি একটি পার্ক হয় তাহলে বয়স্ক, শিশু ও মহিলারা উপকৃত হতেন।
সমরেন্দ্রনাথ দাস, স্কুল অধ্যক্ষ।
শহরে পার্ক নেই-কথাটা ঠিক নয়। বিশ্বম্ভর শিশু উদ্যান নামে একটি পার্ক আছে। পুরসভা আরও একটি পার্ক করতে চাইলেও জায়গার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
|
|
• কাঁথি শহরে প্রভাতকুমার কলেজই একমা। প্রচুর ছাত্রছাত্রীর চাপ রয়েছে। ফলে অনেকেই ভর্তির সুযোগ পান না। একটি মহিলা কলেজ স্থাপনে পুরসভা উদ্যোগী হলে ভাল হত।
কাঙালচন্দ্র দাস, প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
একটি মহিলা কলেজ এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের আশা। তবে বিষয়টি পুরসভার এক্তিয়ারে পড়ে না। এটি শিক্ষা দফতরের অধীন। তবুও কলেজ স্থাপনের বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী থাকাকালীন শিশির অধিকারী উদ্যোগী হয়েছেন।
|
• কাঁথি শহরের ঐতিহাসিক নুনকুঠি বা নিমকমহলকে ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’ হিসাবে ঘোষণা করার জন্য পুরসভা উদ্যোগী হলে ভাল হয়। এছাড়া শহরে একটি সুইমিং পুলের ব্যবস্থা থাকলে ভাল হয়।
অমলেন্দু পাহাড়ি, চিকিৎসক।
নিমকমহলকে ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’ হিসাবে ঘোষণার জন্য হেরিটেজ কমিশনে ইতিমধ্যেই আবেদন জানানো হয়েছে। বিষয়টি এখন হেরিটেজ কমিশনের ব্যাপার। সেখানে পুরসভার কিছু করার নেই। তবে কাঁথিতে সুইমিং পুল তৈরির বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
|
• আগে আমরা দেখেছি নিয়মিত শহরের খাল পরিষ্কার হত। কিন্তু এখন তা বন্ধ হয়ে নোংরা জমে খালগুলি মজে যাচ্ছে, জমা জলে মশার সমস্যা বাড়ছে।
কৃষ্ণা পাহাড়ি, সমাজসেবী।
খাল-বিল সংস্কারে পুরসভা বিশেষ নজর দেবে।
|
• কাঁথি শহরে একটি আর্ট গ্যালারি-সহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা আশু প্রয়োজন।
ইভা মাইতি, লেখিকা।
তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। যৌথভাবে একটি আধুনিক মানের সাংস্কৃতিক ভবন তৈরি করতে চলেছে। তাতে অডিটোরিয়াম, আর্ট গ্যালারি, তথ্যকেন্দ্র থাকবে।
|
• কাঁথি শহরে স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের একটি পূর্ণাবয়ব মূর্তি পুরসভার পক্ষ থেকে বসানো হোক।
স্বদেশরঞ্জন মণ্ডল, প্রাক্তন অধ্যাপক।
কাঁথি শহরে দীর্ঘ দিন আগেই দেশপ্রাণের একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। |
|