...গন্ধ এসেছে পার্বতীপুর থেকে ঢোলকপুর

সালকিয়া ছাত্র ব্যায়াম সমিতি:
অজানা এক গ্রাম পার্বতীপুর। সেখানে এখনও রেলস্টেশনে গ্যাসবাতি জ্বলে। রাতে শোনা যায় ঝিঁঝির ডাক। ঘণ্টা বাজলে কু-ঝিক-ঝিক আওয়াজ তুলে ভাঙাচোরা প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায় কয়লার ইঞ্জিন। স্টেশনের পাশে কুপি জ্বালিয়ে বসে বাজার। এখানেই রয়েছে পার্বতীর মন্দির। সাবওয়ে দিয়ে মন্দিরে যেতে হবে।

আলাপনী: ৬৫ বছরের এই পুজোর ভাবনা ‘নবরূপে নারায়ণী, আবাহনে আলাপনী’। শুধু অসুরদলনী নন, রূপদায়িনী, জয়দায়িনী, যশোদায়িনী, ধনদায়িনীর মতো দুর্গার আরও ন’টি রূপ দেখা যাবে। আলোর ব্যবহারে এবং টিনের উপরে নকশায় ফুটে উঠবে নানাদেবদেবীর চিত্র। দুর্গার রণচণ্ডী রূপ। থাকবে ধর্মদণ্ড, নবপত্রিকা। প্রবেশপথের দেওয়াল সাজবে মাটির প্রদীপ, স্বস্তিক চিহ্ন, মঙ্গল ঘট, ডাব, আমের পল্লব দিয়ে।

ঘাসবাগান স্পোর্টিং ক্লাব: হাওড়া ব্রিজ থেকে নেমে গোলাবাড়ি থানার দিকে এগোলেই এ বার চোখে পড়বে এক টুকরো দার্জিলিং। থাকবে সবুজ বন, বরফের মধ্যে চলবে টয় ট্রেন। থাকবে রোপওয়েও। থাকছে চা বাগানও। এর পাশাপাশি ৪৪তম বর্ষে সপ্তমীর দিন দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হবে।
সালকিয়া তরুণ দল: ‘ধাঁই কিড়িকিড়ি’। ঠাকুর দেখতে হবে তাড়াতাড়ি। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। ৭৫তম বর্ষে এই পুজোর বাড়তি আকর্ষণ পুরীর একটি বিখ্যাত খাজার দোকানের আদলে তৈরি দোকান। সেখানে থাকবে জীবন্ত কাকাতুয়াও। সঙ্গে চন্দননগরের আলোকসজ্জা।

লালবিহারী বোস লেন সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি: সালকিয়াতে এ বার কুমিরের হানা! পুকুরে কুমির থাকবে চার দিন। উদ্দেশ্য কুমির সংরক্ষণ। পাশাপাশি ২৫তম বর্ষে দেখা মিলবে দীর্ঘ দিন খেতে না পাওয়া কঙ্কালসার মানুষের জীবন্ত মডেল। মণ্ডপ তৈরি হবে কালীঘাট মন্দিরের আদলে।

গোলমোহর সর্বজনীন শারদোৎসব কমিটি: হাওড়া স্টেশন থেকে কিছু দূরে ডবসন রোডে তৈরি হচ্ছে আর একটি হাওড়া স্টেশন। টিকিট কাউন্টার থেকে ঐতিহ্যবাহী ‘বড় ঘড়ি’ সবই থাকছে। তবে ঢোকার জন্য টিকিট কাটার বালাই নেই। ৬৮তম বর্ষে বসছে মেলাও।

অগ্রদূত: সালকিয়া রামলাল মুখার্জি লেনের ৩৪তম বর্ষের এই মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে ওড়িশার সম্বলপুরের ঘণ্টেশ্বরী মন্দিরের আদলে। সিংহদরজা পেরিয়ে মূল মণ্ডপে পৌঁছলে দেখা মিলবে ওড়িশি শিল্পের নানা কারুকার্য। থাকবে লালচে দুর্গামূর্তি। মণ্ডপ জুড়ে ঝোলানো থাকবে নানা আকৃতির অসংখ্য ঘণ্টা।

ব্যানার্জিবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি: সালকিয়া বাবুডাঙার এই পুজোয় কৃষ্ণনগরের শিল্পী সুবীর পালের তৈরি প্রতিমার চালচিত্রে ফুটে উঠবে প্রকৃতি।


সালকিয়া সাধারণ দুর্গোৎসব (জটাধারী পার্ক পল্লিবাসীবৃন্দ):
৭৯ বছরের এই পুজোর ভাবনা ‘ঢাকের তালে ঢোলকপুরে/ মাতল সবাই শারদ সুরে।’ কচিকাঁচাদের প্রিয় ছোটা ভীম ও তার গোটা ঢোলকপুর গ্রামই এ বার হাজির হচ্ছে জটাধারী পার্কে। পাহাড়ি দুর্গে দেবীর আরাধনার সময় ছোটা ভীম তার বন্ধু রাজু, জগ্গু, সঙ্গে কালিয়া, ধলু এবং ভলুকে নিয়ে টুনটুন মাসির দোকান থেকে লাড্ডু চুরির পরিকল্পনা করবে।

সালকিয়া শৈলেন্দ্র বসু রোড সর্বজনীন মহাপূজা কমিটি: এ বারের থিম রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ। রঙিন কাপড়, কাঠ দিয়ে তৈরি তিন চালার মণ্ডপে থাকবে পুতুলের আদলে প্রতিমা। মণ্ডপ সাজবে নানা আকৃতির পুতুল দিয়ে। থাকবে পুতুল নাচের ব্যবস্থাও।

বামুনগাছি রিক্রিয়েশন ক্লাব: দশরথ ঘোষ লেনে রাজস্থানের সাঁইবাবার মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে পাট, কাচের টুকরো, থার্মোকল দিয়ে।

জগদীশপুর দেবীরপাড়া ৩ নম্বর ভারতমাতা পুজো কমিটি: দক্ষিণ ভারতের একটি মন্দিরের অনুকরণে তৈরি মণ্ডপে সিংহের উপরে ভারতমাতারূপী দুর্গার দু’হাতে থাকবে পদ্ম ও জাতীয় পতাকা। ভাসানে থাকবে ছো নাচ, ঝুমুর নাচ, রণ-পা।

ঘুসুড়ি তালতলা শক্তি মন্দির: ৭৯তম বর্ষের থিম সোনার কেল্লা। কেল্লার পাশে মহল্লা, দোকানপাট সবই তুলে ধরা হবে এই পুজোর মণ্ডপে।

ঘুসুড়ি মিলন মন্দির: ৫০তম বর্ষের থিম আগ্নেয়গিরি। চন্দননগরের আলোয় দেখা যাবে অগ্ন্যুৎপাতের মধ্যে দুর্গামূর্তি।

এ ছাড়াও বেনারস রোডের স্বামীজি নগর স্পোর্টিং ক্লাব, সালকিয়া ভৈরব ঘটক লেন ইয়ং সোসাইটি’র সাবেক পুজোও উল্লেখযোগ্য।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.