টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় ধস ও ডুয়ার্সের ওদলাবাড়িতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শনিবার দার্জিলিং এর তিন মহকুমার বেশ কয়েকটি ছোট রাস্তায় ধস নামে। কোচবিহারে, ওদলাবাড়িতে বিভিন্ন নদীর জলও ক্রমশ বাড়ছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শনিবার দুপুরে জওয়ানেরা কাজ শুরু করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
শনিবার সকালে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়েই নতুন করে ঘিস নদীর জল ঢুকতে শুরু করে ওদলাবাড়ির বিভিন্ন এলাকায়। মজুমদার কলোনি, চুঁইয়াবস্তি সহ বিভিন্ন এলাকায় এদিন সকালে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা শনিবার মালবাজারের মহকুমাশাসককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। টানা বৃষ্টিতে ৩১ ডি জাতীয় সড়ক বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবারের মতই শনিবার সকাল থেকেই জাতীয় সড়ক যানজটে আটকে ছিল। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “মৌসুমী অক্ষরেখা তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে উত্তর দিকে সরে আসা এবং বিহারে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়া, এই দুইয়ের প্রভাবেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে সোমবার থেকে পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হতে পারে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, ওদলাবাড়ি এবং বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত। গত মঙ্গলবার রাতে ওদলাবাড়িতে ঘিস নদীর ২০০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে আন্দাঝোরা নদীর সাথে মিশে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এমতাবস্থায়, প্রশাসনের অনুরোধে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনি থেকে ক্যাপ্টেন অ্যালেক্স অ্যান্টনির নেতৃত্বে সেনা বাস্তুকার ও জওয়ানরা দুপুরে কাজে নামেন। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন ,“পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করছি। তবে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে।”
জেলা জুড়ে অবরোধ। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করল ফরওয়ার্ড ব্লক। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দু’ঘন্টা অবরোধ চলে। খাগরাবাড়ি চৌপতি, ঘুঘুমারি, দিনহাটা চৌপতি, সাহেবগঞ্জ, চৌধুরীহাট, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি-সহ জেলার ৪০টি এলাকায় রাস্তা অবরোধ হয়েছে। |