|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
৯ সেপ্টেম্বর - ১৫ সেপ্টেম্বর |
|
ত্রিপোলি লস অ্যাঞ্জেলেস মালে টেক্সাস সিটি আমস্টার্ডাম লন্ডন |
|
লিবিয়া। ইয়েমেন। সুদান। টিউনিসিয়া। জর্ডন। লেবানন। ইরাক। ইন্দোনেশিয়া। মিশর। অস্ট্রেলিয়াও। কাশ্মীরও। গোটা পৃথিবী জুড়ে আগুন জ্বলছে। চলছে হিংসার তাণ্ডব। লক্ষ্য কেবল মার্কিন নয়, জার্মান, ব্রিটিশ ইত্যাদি নানা ইউরোপীয় দূতাবাস, মানুষজন, কেএফসি বা ম্যাকডোনাল্ডস-এর মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। (ছবিটি লেবাননের ত্রিপোলিতে) এত ভয়াবহ গণবিক্ষোভ বহু দিন পর। লিবিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিহত। নিহত-সংখ্যা বাড়ছে। বিক্ষোভ কেন? মার্কিন দেশে তৈরি একটি ফিল্মে মহম্মদ বিষয়ে কুরুচিসম্পন্ন বক্তব্যের ছড়াছড়ি।
• এশিয়া-আফ্রিকার সঙ্গে মনোবিকারে সমান পাল্লা দিচ্ছে আমেরিকাও। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস-এর ক্যাম্পাস নিমেষে ফাঁকা করে দেওয়া হল, আল কায়দা হানার গুজব ছড়ানোয়। ফাঁকা গুজব অবশ্যই।
• নেদারল্যান্ডস-এ নির্বাচনে কনজারভেটিভরা জয়ী। লেবার পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়বে তারা। হারল অতি-দক্ষিণপন্থী গিয়ার্টজ ওয়াইল্ডার্স-এর পার্টি। হারল অতি-বামপন্থী সোশ্যালিস্ট পার্টিও। বোঝা যাচ্ছে, ডাচরা তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকতেই চাইছেন।
• ব্রিটেনের রাজবধূ কেট-এর নিরাবরণ ছবি প্রকাশিত ফরাসি সেলিব্রিটি ম্যাগাজিন ‘ক্লোজার’-এ। উইলিয়ামস ও কেট-এর পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এই পত্রিকাটির মালিকের নাম: প্রাক্তন ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী সিলভিয়ো বার্লুস্কোনি।
|
• ইনিই তবে তিনি! ইনিই নাকুলা বাসেলি নাকুলা, ‘দি ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ নামক সিনেমাটি তবে প্রধানত ইনিই বানিয়েছেন। ইনিই তবে এই মুহূর্তে অন্তত দশ-বারোটি দেশে তীব্র ও হিংসাত্মক মুসলিম বিক্ষোভের কারণ। বয়স ৫৫। আদি দেশ, মিশর। বর্তমান নিবাস, লস অ্যাঞ্জেলেস। অনেকগুলি ছদ্মনাম। জেল খেটেছেন আগেও। আপাতত আবার মার্কিন পুলিশের হেফাজতে। |
|
তেহরান
|
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খামেনেই (ছবি) স্পষ্ট কথা বলেন। এই জঘন্য সাম্প্রতিক চলচ্চিত্রটির সঙ্গে তিনি তুলনা করেছেন সলমন রুশদি-র অতিবিতর্কিত বই স্যাটানিক ভার্সেস-এর সঙ্গে, কিংবা সেই মহম্মদ-বিরোধী ডেনিশ কার্টুন-এর সঙ্গে, কিংবা সম্প্রতি আমেরিকায় কোরান-পোড়ানোর ঘটনার সঙ্গে। অভিযোগের আঙুল কার দিকে তুলতে হবে, তিনি পরিষ্কার জানেন। ইসলামের বিরুদ্ধে যে সমানেই এত কিছু হয়ে চলেছে, তার কারণ ইহুদিদের জায়নবাদের প্রভাব। আমেরিকা তো আছেই সর্বক্ষণ সেই প্রভাবে পা মিলিয়ে নাচতে। চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তিনি: এই অভিযোগে আপত্তি আছে আমেরিকার? তবে অপরাধীদের (অর্থাৎ এই ফিল্ম-রচয়িতাকে) শাস্তি দিয়ে তারা প্রমাণ করুক, তারা জায়নবাদের প্রভাবমুক্ত, নিরপেক্ষ!
|
ইসলামাবাদ |
ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করতে মার্কিন সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেছিলেন ডাক্তার শাকিল আফ্রিদি (ছবি)। এখন ইসলামাবাদের জেলে বন্দি তিনি। তাঁর এক সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হল। আফ্রিদি বলেছেন, আই এস আই আমেরিকাকেই চরম শত্রু মনে করে। সাক্ষাৎকারের খবরে ডাক্তার আফ্রিদির আইনজীবী বিস্মিত। পরিবারের লোকের সঙ্গেই দেখা করতে দেওয়া হয় না তাঁকে কোনও সাংবাদিক তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন কী করে! জেলে তাঁকে প্রায় কুকুরের মতো বাঁচতে বাধ্য করা হচ্ছে, জানিয়েছেন আফ্রিদি। সরকারি অভিযোগ, তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মদত দিতেন। সবাই অবশ্য জানে, আসলে মার্কিন সেনাবাহিনীর সহায়ক হওয়ারই শাস্তি এটা।
|
বেজিং |
সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকেই চিনের ভাবী প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং-এর (ছবি) কোনও খোঁজ নেই। বেশ কয়েক জন বিদেশি প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকও বাতিল করেছে তাঁর অফিস। কোথায় তিনি? অসুস্থ? কোনও উত্তর নেই। সরকারি প্রতিনিধিদের যত বারই প্রশ্ন করা হচ্ছে, ধারাবাঁধা উত্তর ভাইস প্রেসিডেন্টের বিষয়ে কোনও খবর নেই। অনুমান করা হচ্ছে, তিনি পিঠের ব্যথায় শয্যাশায়ী। কিন্তু যা-ই হোক, তাঁর ছবি বা ভিডিয়ো প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন? সরকারি উত্তর নেই, তবে বেসরকারি অনুমান আছে। এক তরফের মত, এই রকম ছবি প্রকাশ হলে জল্পনা আরও বাড়বে। অন্য তরফ বলছে, নেতাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাথা ঘামানোর কোনও প্রয়োজন নেই।
|
লন্ডন |
১,০৬,৭১০। ব্রিটেনের সব স্কুল মিলিয়ে মোট এতগুলো গোপন ক্যামেরা লাগানো আছে। ক্লাসঘরে, কমনরুমে, খেলার মাঠে, এমনকী শৌচালয়ে, পোশাক বদলানোর ঘরেও ক্যামেরার নজরদারি। সরকারি যুক্তি, ছেলেমেয়েরা যাতে ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম না করতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা। মানুষ অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। এই ক্যামেরায় ওঠা ফুটেজ কোথায় পৌঁছচ্ছে, স্পষ্ট করে জানাতে হবে দাবি উঠেছে।
|
শেষ পাত |
নিজের বউয়ের পাশে বসে একটু কফি খাবেন ভাবছেন? অন্তত পাকিস্তানে থাকাকালীন ভুলেও সেই চেষ্টা করবেন না। করাচি শহরে এক ম্যাকডোনাল্ডস রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন নোমান আনসারি, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে। পাশাপাশি বসে সবে স্ত্রীর চেয়ারের পিঠে নিজের হাতটা রেখেছেন, অমনই এক কর্মী এসে বললেন, উল্টো দিকের চেয়ারে বসুন। নারী-পুরুষ পাশাপাশি বসা সেখানে নীতিবিরুদ্ধ। পাকিস্তানে বিতর্ক আরম্ভ হয়েছে দেশটা কি শেষ পর্যন্ত উগ্র মৌলবাদীদের অঙ্গুলিহেলনেই চলবে? বিতর্ক না আবার তাঁদের অঙ্গুলিহেলনে থেমে যায়, এই যা ভয়! |
|
|
|
|
|