একমাত্র ছেলেকে নিজেদের কাছে ফেরত পাবেন কি না, তা জানতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে কর্মরত বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস সাহা এবং তাঁর স্ত্রী পামেলাকে অপেক্ষা করতে হবে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। সাহা পরিবার সূত্রের খবর, শুক্রবার নিউ জার্সির মরিস কাউন্টির আদালতে এ ব্যাপারে শুনানি ছিল। অসুস্থতার কারণে ওই দিন ওই আদালতের বিচারক অনুপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারক মামলাটির পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছেন ১ নভেম্বর। শনিবার যোগাযোগ করা হলে দেবাশিসবাবু বলেন, “আদালত থেকে আমাকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।” তবে তাঁর শাশুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা প্রগতি বসাক বলেন, “নিউ জার্সি থেকে খবর পেয়েছি, শুক্রবার আমার জামাই দেবাশিস আইনজীবী জোগাড় করতে পেরেছিল। নাতিকে (ইন্দ্রাশিস ওরফে তোজো) ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে শুনানি হবে ১ নভেম্বর। শুক্রবার মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে আদালতে খুব কম সময়ের জন্য তোজোর দেখা হয়েছিল।” এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন দেবাশিসবাবুর বাবা নির্মলকৃষ্ণ সাহা। রাষ্ট্রপতি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয়েছেন বলে নির্মলকৃষ্ণবাবুকে আশ্বাস দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র ওমপ্রকাশ মিশ্র। বালুরঘাট থেকে কলকাতা পৌঁছে এ দিন ফোনে নির্মলকৃষ্ণবাবু বলেন, “কী হবে বুঝতে পারছি না! রাষ্ট্রপতিকে সব জানাব। যদি কোনও উপায় হয়!”
বালুরঘাটের বাসিন্দা দেবাশিস সাহা বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার চাকরি নিয়ে জুলাই মাসে পৌঁছন নিউ জার্সির পার্সিপ্যানি শহরে। তাঁর দাবি, ৯ অগস্ট তিন ফুট উঁচু খাট থেকে খেলতে খেলতে বেকায়দায় পড়ে গিয়ে চোট পায় এক বছরের ইন্দ্রাশিস। কিন্তু যে হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসা হয়, সেখানকার ডাক্তারেরা মনে করেন, মারধরে আহত হয়েছে শিশুটি। হাসপাতাল থেকেই খবর যায় ‘নিউ জার্সি চাইল্ড প্রোটেকশন টিম’-এর কাছে। তারা এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে দেবাশিস ও তাঁর স্ত্রী পামেলাকে। এখনও এ ব্যাপারে ওই ‘চাইল্ড প্রোটেকশন টিম’ তদন্ত করছে। তাদেরই করা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে ইন্দ্রাশিসকে বাবা-মা’র থেকে আলাদা রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। |